শান্তির প্রতিক অমর বাণী এবং মুখের বাণী সব এক সাথে
আল্লাহ্ রাসুল ইয়া রাসুল আল্লাহ্
“ বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও ”
প্রকাশক- মরহুম মোঃ লাল মিয়া
পিতা- মরহুম উমর মিয়া
www.santirbani.com
** সত্যানু সন্ধান **
একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত ; মান্য অতিথির মতো সম্বর্ধনা করে না আনলে সে ঘরে আসতে নারাজ। অনাহূত গৃহে প্রবেশ করতে সকলেরই লজ্জা হয় নবযুগও লজ্জা অনুভব করছে, তার লজ্জা ভাঙ্গানোর ভার আমাদের উপড় কিন্তু যে অতিথী এল সে শত্রু না মিত্র ? প্রকৃত হিতকামী না প্রতারক ? তা না জেনে তো তাকে গ্রহন করা যায় না। তাই তার যথা সম্ভব পরিচয় নেওয়া দরকার।
আগন্তক আমাদের পর নয়, মানব সভ্যতার শিশু, অতীত ও বর্তমানের সন্তান। সে নিজ থেকেই এসেছে, তার সম্পর্কে আমাদের অবহিত হতে হবে মাত্র, আর এ ক্ষেত্রে অবহিত হওয়াই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা, তার কন্ঠে যে অস্পষ্ট বাণী, তার অর্থ হে মানুষ ভয় করোনা, তোমার মধ্যে যা শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান, অবিনশ্বর ও অশেষ সম্ববনাপূর্ণ তার রক্ষার ভার আমার হাতে, আর সে জন্যেই আমার আগমন।
তার বর্তমান যুগে কি সে সব রক্ষার ক্ষমতা নেই ? শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান কে ভুলে বর্তমানে আমরা কি শুধু অপকৃষ্টের সাধনা করে চলেছি ? ব্যতিক্রম হয়ত আছে, তবে মোটের উপড় কথাটা সায় না দিয়ে উপায় কি ? মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিব্যাক্তি সৃজনশীলতা আজ শোচনীয় রূপে পরাভুত। ধূর্ততা ও ফন্দিবাজীতার স্থানে সমাসীন। এ দুর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার জন্যই নব যুগের আগমন।
সত্যই ধর্ম, সত্যই শান্তি
সত্য আছে যেখানে
আল্লাহ্ রাসুল আছে সেখানে
সত্য আছে যেখানে
শান্তি আছে সেখানে
প্লাবিত অসত্যের মাঝে সত্যকে ভাসিয়ে তুলতে গেলে উপাধি পেতে হয় পাগল, ভন্ড, প্রতারক নাস্তিক। সাজা হিসেবে গ্রহন করতে হয় কারাভোগ, আবার গন-পিটুনিতে ভবলিলা সাঙ্গ করতে হয়। সত্য সে যুগে যুগে গোপন থেকে যায়। অসত্যের মাঝে মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। এটা সত্যের যুগ।
এবার আসুন সবাই নির্ভয়ে সত্যকে খুজে বের করে অসত্যের মাঝে দাড় করিয়ে নিরাশ আর হতাশনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করি।
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুন না কেন সকলে সত্যের পতাকা নিয়ে বের হওন। আর নিরব থাকলে চলবে না, গোপন থাকলে চলবে না। পরিচয় দিয়ে জগৎকে বহুমুখি সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। সবে মিলে একত্রিত হয়ে, সকল দোষী লোক গুলোকে চিহ্নিত করে, অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ম বিচার করে জগৎকে শান্তির রাজ্য গড়ে তুলি।
কাগজের পাতায় লিখে দিলাম আল্পনা
অমর বাণী কইবে কথা যেদিন আমি থাকব না
সংসারের মাঝে কয়েকটি সুর
রেখে দিয়ে যাব করিয়া মধুর
দু একটি কাটা কড়ি দেব দুর তারপর ছুটি নিব
ইতি - মোঃ লাল মিয়া
** রহস্য উদ্ঘাটন **
শান্তি ও সুখ কথা দুটি শুনলে পর সবার মনে আনন্দ ধরে, মনে মনে কামনাও করি তাই, কিন্তু সে সুখ, সে শান্তি, কি ভাবে কোথায় পাব ? শান্তি ক্ষণস্থায়ী নয়, শান্তি চিরস্থায়ী। পরপারের মুক্তি ও মিলনের আসে সঠিক পথ অনুসন্ধানের জন্য কেউ বৃক্ষের নীচে, কেউ পাহাড়-পর্বতে, কেউ মসজিদে, কেউ মন্দিরে, যার যেখানে মন ছুটে বেড়াচ্ছে সেখানেই সে অনুসন্ধান করছে।
আমরা দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, আটরশি, বেলতলি, বাঘের হাট সিলেট ভিবিন্ন স্থানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটা-ছুটি করে হয়রান হচ্ছি। এ হয়রানীর পেছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে আর তা হচ্ছে পরপারের মুক্তি।
যে যেখানে গমন করেছেন তথা হতে যে বাণী শ্রবণ করেছেন, তা পেয়েই সে সন্তুষ্টি লাভ করছেন
সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য বিগত দির্ঘ দিন যাবৎ আপনাদের সু-পরিচিত, বিশ্ব শান্তিকামী মোঃ লাল মিয়া শান্তির বাণী প্রচার করে মুক্তি ও মিলনের ডাক দিচ্ছেন। আমরা নিরক্ষর ভেবে পাগল উপাধি দিয়ে দুরে সরিয়ে রাখছি।
চক চক করলেই স্বর্ণ হয় না। গোবরে ও পদ্ম ফুল ফুটে
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়িয়ে দেখ তাই
পাইলে ও পাইতে পার মানিক রতন।
একজন মানুষকে তার বাহিরের চাকচিক্য দেখে বা তার নোংরা পরিবেশ দেখে তার আসল পরিচয় জানা যায় না। যতদিন পর্যন্ত তার ভিতর বাহির সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত না হব। তাহলে আপনারা দয়া করে একবার লাল মিয়ার কাছে আসুন আসল পরিচয় জানার জন্য। তিনি জীবনে কোন দিন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় বিদ্যাভ্যাস করেননি, এমন কি কোন পীরের মুরিদও হননি। এখন ভাববার বিষয় তাহলে তিনি কি ভাবে কোথায় পেলেন এ গভীর তত্ত্বকথা। কি জন্যে ? কেন এত ত্যাগ স্বিকার করে মানুষের দ্বারে দ্বারে কাঙ্গাল বেশে মুক্তির ডাক ছাড়েন। মানুষে বলে পাগল, ফকির, সাধু সন্ন্যাসী যার যা মনে ধরে। তার এসব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ আমরা গোপন তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরছি। কি ভাবে কোথা হতে তিনি এ তত্ত্ব কথা লাভ করেন।
সে অনেক বড় ইতিহাস তাই সংক্ষেপে আংশিক জানাতে চেষ্টা করছি।
তিনি একজন খেয়া ঘাটের মাঝি নৌকা চালাতে অনেকে দেখেছেন, দুরের যারা তারা হয়ত শুনেছেন আবার কেউ কেউ হয়ত শহর বন্দরে কোর্ট কাচারীতে, মসজিদ, মন্দিরে, গীর্জায়, হাটে, বাজারে ফকিরের মেলায়, ওয়াজ মাহফিলে সর্বত্র শান্তির বাণী প্রচার করতে দেখেছেন। তিনি ধলেশ্বরী খেয়াপার তরণী ঘাটে খেয়াপার করতেন।
একদিন সন্ধ্যার পর তিনি একাই নৌকায় বসা, কোথাও কোন লোকের সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। রাত্র যখন ৮ - ৯ টা হল তখন হঠাৎ করে দেখা গেল একজন লোক ধীর পথে তার নৌকায় এসে উঠলেন, উঠে বললেন, মাঝি নৌকা ছাড়। একজন লোক নিয়ে পারাপার করলে পোষাবে কি ? না ইতস্ততঃ করতে লাগলেন কিন্তু আগন্তক পরপর কয়েকবার বলার পর তিনি নৌকা ছাড়লেন। নদীর কিছু দুর যেতে না যেতেই দেখলেন নৌকায় সাত জন লোক। সাত জন লোক দেখে তিনি থমকে গেলেন, মনে মনে ভাবলেন আরে ব্যাপার কি ? একজন লোক নিয়ে নৌকা ছাড়লাম এখন সাত জন লোক এলো কত্থেকে ? এরকম ভাবার পর নৌকা যখন নদীর মাঝ খানে অবস্থান করল, তখন দেখতে পেলেন ছায়ার মত কায়া ধরা অসংখ্য লোক। সবাই নিশ্চুপ। এত লোক দেখে তার ভয়ে শরীরের পশম খারা হয়ে গেল, মনে হল এ যেন এক আজব পরিস্থিতি।
আল্লাহ রাসুলের লিলা বুজা দায়। তাই তার মুখ দিয়ে আপনি সরাসরি গালি বের হয়ে এল যে তোরা এক চোর নৌকায় উঠলি এত চোর কোথা হতে এলি ? সব আমার নৌকা হতে নাম। সবাই বলল মাঝি নৌকা চালাও। তিনি বললেন তোরা কারা ? কেন এলি ? পরিচয় না দিলে নৌকা চালাব না। নৌকা নদীর মাঝ খানে স্থির হয়ে রহিলো। তখন সবাই প্রত্যেকের মুখ পানে চেয়ে বলা বলি করতে লাগলেন পরিচয় দিতে আসছি পরিচয় দাও। প্রথম ব্যাক্তি তার নিজের পরিচয় হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বলে তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল, ফাতেমা জান্নাত যার নাম, ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, উসমান গনি এ ভাবে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের নাম বলে সকলের পরিচয় দেন।
তারপর বলেন তুই কি চাস ? তুই যদি নদীর পানি, মাটি, গাছের পাতা, যে কোন রুগীর হাত দেছ, যে কোন রোগ ভাল হবে। তিনি বললেন আমি এ সবের কিছুই চাই না। আপনার উম্মতকে হেদায়েত করার জন্য চাকুরী চাই। চোখের পানি ফেলে বললেন, আমার উম্মত কে গান-বাজনা, ওয়াজ নছিহত সবই দিয়াছি কোন ক্রমেই আমার উম্মত হেদায়েত হয় নাই। উম্মতের মার-পিট, জুলুম-অত্যাচার, আমি সহ্য করতে পারি নাই, তুই এ চাকরী পারবি না। তিনি বললেন আপনার দোয়ায় আমি পারব। মুখ বাক্য দিলেন গালি দিয়ে আমার উম্মত কে হেদায়েত কর, মার খাইছ, মারিছ না। আমিই বিচার করব। যখন আমার উম্মত বুজে শুনে চিনে তোকে রেডিওতে পাঠাবে, সেখানে গিয়ে দেখবি আমি বসা। রেডিওতে তোকে বলতে হবে না, আমার উম্মত কে আমিই হেদায়েত করব। লোকে দেখবে তুই বলতেছিস, যাদের মনশ্চুক্ষু আছে তারা আমাকে দেখবে। আখের জাখের বায়তন ও গুপ্তন সব জায়গায় ই আমি, এ সমস্ত কথা কথোপকথনের পরই তারা নিমিষে উধাও হয়ে যান।
এখান থেকেই তিনি মুখ বাক্যদ্বারা তত্ত্ব কথা লাভ করলেন। এখন আপনারা নিশ্চয় জানলেন, তিনি কি ভাবে কোথা হইতে তত্ত্ব কথা লাভ করলেন, তাকে আরো ভাল করে জানতে হলে চিনতে হলে তার স্মরণাপন্ন হয়ে গোপন তত্ত্ব সংগ্রহ করুন।
প্রত্যেক যুগেই একজন করে মহা মানবের আগমন ঘটে। এটা আউলিয়াদের যুগ। রাজা যদি আউলিয়া হন তবে প্রজাও আউলিয়া হবে, এ সত্য যুগে যে মহামানবের আগমন ঘটবে তার নাম হচ্ছে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ)
ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমন সম্পর্কে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যদি বিতর্কের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সেই মহা মানব কে আপনাদের মাঝে শান্তি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পেতে চান তবে
“অমর বাণী” গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করে বিবেকের সাথে বুজাপড়া করে হৃদয়ঙ্গম করুন। সব কিছু পরিস্কার বলে হালকা বলে মনে হবে।
শান্তির বাণী
মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়ারাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, তুমি দয়া কর, তোমার দয়া চাই তুমি শান্তি দাও, তুমি বাচাঁও, তুমি বাচাঁনে ওয়ালা, তুমি রহমত করনেওয়ালা, তুমি আহসান করনেওয়ালা, তুমি শাফায়ত করনে ওয়ালা, তুমি ব্যাতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না। হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড় কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে তুমি মাফ কর। কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রাহমানির রাহিম, তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর।
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুক না কেন হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই। সকলে মিলে ক্ষমা করে সারা দুনিয়া এক হয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।
আমার কথা গুলি প্রথমতঃ শুনলে মনে হবে নতুন, উল্টো এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু তাই বলে চটে যাবেন না উত্তেজিত হবেন না, ক্ষেপে মার মুখী হবেন না। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে পরম আত্মা অর্থাৎ দিল কুরআন দিয়ে বিবেকের মাপ কাঠিতে যাচাই করে সত্যতা ও সঠিকতা নিরুপন করবেন। বর্তমানে পৃথিবীতে সত্যকে মিথ্যার মাঝে দাড় করাতে গেলে সত্যই মিথ্যা হয়ে ধরা দেয়, আসল নকল হয়ে ধরা দেয়। আক্কেলের বিচার হবে, আক্কেল দিয়ে সত্য মিথ্যা আসল নকল যাচাই বাছাই করে নিবেন।
আজ আমরা পার্থিব শান্তির জন্য, ভব পারের মুক্তির জন্য দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, কিছু আটরশি, কিছু বেলতলি, কিছু বাঘের হাট, কিছু সিলেট শাহজালালের দরগাহ বিভিন্ন তির্থস্থানে খুজে খুজে হয়রান হচ্ছি। সারা দুনিয়া কি ভাবে এক নামে, এক ধর্মে, এবং এক আইনে আসতে পারবে। কি ভাবে গজবের হাত থেকে, বাহত্তুর মতবাদ থেকে অভাব অনটনের হাত থেকে, বিশ্ব যুদ্ধের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করতে পারবেন। সে জন্য মুক্ত কন্ঠে পরিষ্কার ভাষায় জগৎ কান্না গোটা বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক দিচ্ছেন।
প্রিয় বিশ্ববাসী ? আপনারা এখনো নিদ্রা মগ্ন, ঘুম আপনাদের এখনো ভাঙ্গেনি
মুসলমানদের পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়া খাটি মুসলমান হতে হবে। হিন্দুদের মহাভারতে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক হতে হবে কিন্তু আশি হিজরী পেরিয়ে বহু বৎসর গত হতে যাচ্ছে এখনো কিয়মত হল না, সারা দুনিয়া এক হলনা। হাশরের মাঠে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচাঁর ও হলনা।
কোরআনের ভাষায় নবী, ভরতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসী এবং বাইবেলের ভাষায় যিশুখৃষ্ট আজও পূর্ন্যবার ফিরে এলো না, যুগে যুগে পথ ভুলা অন্ধ মানুষ গুলোকে সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়ে অন্ধকার নরক হতে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটে ছিল কিন্তু তারা অন্ধ মানুষের নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ যুগের সত্য বিচারের আশা বুকে নিয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। এটাই শেষ যুগ এটাই শাফায়াতের যুগ।
তাই যারাঃ-
পথ ভুলে গিয়েছিল আবার এসেছে ফিরে
দাড়িয়ে রয়েছে দুরে লাজ ভয়ে নত শীরে
সম্মুখে চলে না পথ তুলিতে পারে না আখি
কাছে গিয়ে হাত ধরে ওরে তোরা আন ডাকি
ফিরাসনে মুখ আজ নিরব ধিক্কার করি
আজ আন স্নেহ সুধা লোচন বোচন ভরি
অতীতে বরষি ঘৃণা কি বা তাহার হবে ফল
আধার ভবিষ্যত ভাবি হাত ধরে লয়ে চল
স্নেহের অভাবে আছে এই লজ্জাবন প্রাণ
সঙ্কোচ হারায়ে ফেলে আন তারে ডেকে আন
আসিয়াছে ধরা দিতে শত স্নেহ বাহুপাশে
বেধে ফেল আজ ওরে গেলে যদি নাহি আসে।
দিনেকের অবহেলা, দিনেকের ঘৃণা ক্রোধ
একটি জীবন তোরা হারাবী জীবন শোধ
তোরা কি জীবন দিবি অপেক্ষা বিষ বান
দুঃখ ভরা ক্ষমা লয়ে আন, ওরে ডেকে আন।
ক্ষমাই পরম ধর্ম, এটা আউলিয়াদের সত্য বিচার করে ক্ষমার যুগ, এ যুগে ন্যায় অন্যায়ের বিচার করে কলির জীব কে ভব পার করে বিশ্ব বাসিকে স্বর্গ সুখ দান করার জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের পূর্ণ্যবার আগমন ঘটবে। এ যুগে পূর্ব যুগের সকল অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ণ বিচার হবে। সকল দোষী লোক গুলো ধরা পড়বে সারা দুনিয়ার সবাই কম আর বেশি দোষী, একজন মাত্র নির্দোষী এবং নিষ্পাপ, এ যুগে সেই নির্দোষী নিষ্পাপ, বিশ্ব শান্তিকামি, বিশ্ব নেতা সত্যের সাধক, আল-আমিন ঈমানদার ব্যাক্তি, সত্য, শান্তি ও মিলনের বাণী নিয়ে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন।
যুগে যুগে যিনি
এ যুগে ও তিনি
যুগে যুগে একই জন
একজন ছাড়া কেউ উম্মতি উম্মতি করতে পারবে না, এক বিন্দু দুই জানলে হবে গুনাহগার। যিনি শাফায়াতের মালিক পাড়ের কান্ডারী, উম্মতের জামিনদার উদ্ধারকর্তা ও মুক্তিদাতা। এটাই শাফায়াতের যুগ, শাফায়াতের আশে যিনি পূর্ব যুগে বাদশাহী পেয়ে বাদশাহী না করে উম্মতের জন্য দিওয়ানা হয়ে দারিদ্রতার চরম শিখরে আরোহন করে দিন যাপন করে গেছেন। যার হাতে রয়েছে আলৌকিক ক্ষমতা, যার এলেম হবে গাইবি এলেম। যার তত্ত্ব কথায় খন্ডন হবে বাহাত্তুর মতবাদ। ভুল ভাংবে গোটা বিশ্ব বাসির। যার সত্য ও সঠিক রাজনীতি দেবে সারা বিশ্বকে স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে। যার পরশে মাটি হবে স্বর্ণে পরিণত। শেষ যুগের উম্মতের জন্য যিনি পূর্ব যুগের স্বর্নের পাহাড় ব্যায় না করে বর্তমান আখেরী শেষ যুগের উম্মতের জন্য আমানত রেখে গেছেন, তার দ্বারা উদ্ধার হবে পূর্ব যুগের লুকানো গুপ্ত ধন রত্ন। পরিবর্তন হবে নামদারি মানুষের মাঝে জীব আত্মার।
আজ আমাদের গাছে ফল নেই, নদীতে মাছ নেই, জমিনে বরকত নেই, গাভির দুধ নেই, প্রকৃত যেন বদলে গিয়ে বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে পশু আত্মা মানব কায়া ধরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা রোগে শোকে অভাব-অনটনে, অন্যায় অত্যাচারে, সুদে, ঘুষে আরজকর্তা, জটিল সমস্যায় জর্জরিত।
কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না
কেউ খাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে না
কিন্তু না
তা হবে না
তা হবে না।
এ যুগে সবাইকে সমান ভাবে সব কিছু বন্টন করে নিতে হবে, যুদ্ধ করে সংগ্রামের ভিতর দিয়ে নয় মানবতার মধ্য দিয়ে।
তাইঃ- আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই
সকলের সুখ সখা, সুখ শুধু তাই
আমার একার আলো সে যে অন্দকার
যদি না আমি সবারে অংশ দিতে পাই।
সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে যাইব
কাহারে বল ফেলিয়া পশ্চাতে
ভাইটি আমার সেজে, ভাইটি আমার
নিয়ে যদি নাহি পারি হতে অগ্রসর
সে আমার দূর্বলতা শক্তি সে আমার নয়।
সবাই আপন কে আমার পর ?
হৃদয়ের যোগ সে কি কভু ছিন্ন হয়
এক সাথে বাচিঁ আর এক সাথে মরি
এসো বন্ধু জীবন সুমধুর করি।
ন্যায্য অধীকার হতে প্রতিটি মানুষ বঞ্চিত, চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি, বদমাসী, নাচ-গান, বেশ্যালয়ে গমন ইত্যাদি পাপ কার্যে লিপ্ত। আমরা দুঃখের মহা সমুদ্রে সাতার কাটছি, গজবের মাঝে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। কে দেবে এই গজবের হাত থেকে রেহাই ? কে দেবে এর পূর্ণ সুষ্ঠ সমাধান ? আজ ক্লান্তি লগ্নে চরম বিপদের দিনে এই ভয়াভহ পরিস্থিতিতে তিনি কোথায় ? ভয় নেই বন্ধু গন, ভয় নেই।
আজও তিনি জিন্দা, অমর হায়াতুন্নবী আখের, যাখের, বায়তন, গুপ্তন, সব জায়গায়ই তিনি, যুগে যুগে শুধু ভিবিন্ন নাম ধারন করে কায়া পরিবর্তন করে নুরতনে নুরের খেলা খেলিতেছেন। যিনি দুঃখের মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সুখের পর্বত চুড়ায় পৌছে দেবেন।
তাই তিনি বলেনঃ-
আমরা চাই বিশ্বদার উদার প্রাণ
অভেদ খৃষ্টান হিন্দু
দ্বোষ নাই এক বিন্দু
নিরেখ জগতে ভরা এক আল্লাহ রাসুল
জ্ঞান সত্য নীতি পুজে
দলা দলি নাহি বুজে
সে জানে সকলে এক মায়েরই সন্তান
মরমে মহত্ব পূর্ন
হীনতা করেছে চুর্ন
হৃদয়ের ভাব সব উদার মহান
ন্যায় তরে প্রিয় ত্যাগী
প্রীতিতে পরানু বাগী
সমাদরে রাখে জ্ঞানি গুনীর সম্মান
অনুতপ্ত অশ্রুদার
কখনো সহেনা তার
অনুতাপি পাপী পেলে পূন্য করে দান।
বিশ্বের উন্নতি আশা
বিশ্বময় ভালবাসা
বিশ্বের মঙ্গল করি দান
মরতে সে দিবে পথ
উপাস্য নমস্য মম
বসুদা কৃতার্থ তারে কোলে দিয়ে স্থান
আমরা সাধি সাধনা সে দেবে তার প্রাণ
সবারে বাসবে ভাল
নইলে মনের কালি ঘুচবে না
আছে তোর যাহা ভাল ফুলের মত দে সবারে
করিস তুই আপন আপন
বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।
যারে তুই ভাবিস কনি তার মাথায় আছে মনি
বাজা তোর প্রেমের বাশি, ভবের বনে ভয় বা কারে
সবাই যে তোর মায়ের ছেলে
রাখবি কারে কারে ফেলে
একই নায়ে সকল বায়ে যেতে হবে ওপাড়ে।
যিনি জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একই নায়ে ভবপার করবেন বলে পাড়ের ঘাটে বাসা বেধে কেদে কেদে নয়ন জলে বুক ভাসিয়ে সবাইকে মুক্তির ডাক ছেরে আশায় আশায় মুক্তি ও মহামিলনের দিন গুনছেন। তাই তিনি ভার ক্রান্ত হৃদয়ে অশ্রু সজল নয়নে গাইছেন।
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
বেলা বইয়া যায়।
মনের দুঃখ মনে রইয়া যায়
কেমনে পাড়ি ধরি রে ডেউ ওঠছে সাগরে রে
দিবানিশি কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া
ও মনো রে যারা ছিল চতুর নাইয়া তারাই গেল বাইয়া
হায় হায় আমি অদম রইলাম পরে আমার ভাঙ্গাতরি লইয়া।
মনের দুঃখ কইনারে বন্ধু রাইখাছি অন্তরে রে
দিবা নিশী কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া।
নদীর একুল ঐ ধইরা উথাল পাতাল ঢেউ
বৈঠা হাতে আমি একা সঙ্গে নাই মোর কেউ
চারিদিকে তর্ক ওঠে সাঙ্গ নাহি হয়
কথায় কথায় ভারে কথা, সংসয়ের উপরে চাপিয়ে সংসয়
কেবলি বাড়িছে ব্যাকুলতা
ফেনার উপড়ে ফেনা ডেউয়ের পরে ডেউ
গর্জনে বধির শ্রবন তীর কোন দিকে আছে নাহি জানে কেউ
হা হা করে আকুল পভন কল্ললের মাঝে নিয়ে এসো কেহ
পরিপূর্ন একটি জীবন
নিরবে মিটিয়া যাবে সকল সন্দেহ, থেমে যাবে শহস্র বচন।
তাই আজ সারা দুনিয়ার সেই নির্দোষি নিষ্পাপ, বিশ্ব নেতা নবি-কুল শ্রেষ্ঠ বর্তমান যুগে যিনি হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) নাম ধারন করে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন। সেই দয়াশীল ক্ষমাশীল, উধার, মহৎ, মিলনদূত মুক্তিদাতা বিশ্ব শান্তিকামি কে যদি আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পেতে চান, সারা দুনিয়া যদি এক নামে এক ধর্মে এবং এক হতে চান, বাহাত্তুর মতবাদ খন্ডন করে যদি বিশ্ববাসির ভুল ভাংতে চান, যদি আসমানি জমিনি গজব হতে রেহাই পেতে চান। তবে আপনারা সবে মিলে মোঃ লাল মিয়া……….কে বিশ্বের যে কোন বেতার ভবন থেকে তার গাইবি এলেম তত্ত্ব কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারের আয়োজন করুন। কারন একটি মানুষ কে অন্দকার নরক হইতে বুজিয়ে ভুল ভেঙ্গে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য বহু তর্ক বির্তকের সম্মুখিন হতে হয়।
বেতার মাধ্যমে প্রচার করলে গোটা দুনিয়ার সবার বুঝ হবে এবং ভুল ভাংবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কেউ মরেনি। শুধু অত্যাচারীর ভয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। যখন বিশ্ব শান্তিকামি মোঃ লাল মিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বিশ্ববাসির উদ্দেশ্যে পেশ করতে থাকবেন তখন তার মুক্তির ডাক শুনে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুক না কেন সবাই এসে বলবে আমার নাম ইমাম মেহেদী (আঃ) একের পর এক সবাইকে সেখানে বলতে দেওয়া হইবে।
যার কথা সবচেয়ে ভাল হবে এবং যার প্রচারিত ইসলামিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক আইন গোটা বিশ্ববাসি মেনে নেবে তার নাম হবে ইমাম মেহেদি (আঃ) সেখানে কোরআনের ভাষায় নবী ভারতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসি এবং বাইবেলের ভাষায় যিশু খৃষ্ট চিহ্নিত হয়ে সারা দুনিয়ার সবাইকে শাফায়াত করে আযান দিবেন। এক জামাতে সারা দুনিয়া যে যেখানে থাকুন না কেন নামাজ আদায় করতে হবে এটা পরিক্ষার যুগ, পরিক্ষার মাধ্যমে সেই নিষ্পাপ নির্দোষি মহান ব্যাক্তিকে আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পাবেন এটাই মুক্তি মিলন এবং বিশ্ব শান্তির এক মাত্র সহজ ও সঠিক পথ।
সারা দুনিয়া একমত
এরই নাম কেয়ামত
আল্লাহ কাজি হবেন রাসুল খলিফা হবেন, লাল মিয়া মাত্র প্রচারক, জানিয়ে দিচ্ছি নবির গোষ্ঠির প্রদীপ জয়নাল আবেদিন থাকবে গোটা পৃথিবীর রাষ্ট্রের অধীকারি (পূর্ব যুগে ইমাম হোসেনের পুত্র ) এর আগে সারা দুনিয়ার যে কোন রাষ্ট্রের যে কোন সচেতন নেতাই হোক না কেন তাকে যে কোন ভাবে হোক গদিচ্যুৎ হতে হবে।
ভোট নিয়ে দলের দল সেজে মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ করতে করতে সারা দুনিয়া তুলার মত উড়িয়ে দিবে। ১২ আনি লোক মরবে মাত্র ৪ আনি লোক থাকবে। ৪ আনি লোক নিয়ে দুনিয়া আবার চাঁদের মত নতুন হবে।
যে পর্যন্ত পরিক্ষার মাধ্যমে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) কে খুজে বের না করবেন ততদিন পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় নদী নালা এমন কি মহাসমুদ্র শুকিয়ে মরুভুমিতে পরিণত হবে। সারা দুনিয়া কারবালা প্রান্তরের ন্যায় পানি পানি বলে চিৎকার করবে। বরকত দূরে যাবে, এক ধানে এক ধান হবে, সোয়া হাত উপরে সূর্য্য আসবে নিচের জমি তামা হবে, মাথার ঘাম পায়ে পরবে। শৃগাল কুকুরে চেটে খাবে কাগজের টাকা দূরে যাবে, চারার মধ্যে নাম্বার দিবে তবুও অত্যাচারী এজিদের গুষ্টি খাজনা খাবে।
গাছের ফল গাছে খাবে, নদীর মাছ নদী খাবে, গাভীর দুগ্ধ গাভী খাবে। চুরি ডাকাতী, গুন্ডামি বদমাশী জুলম অত্যাচার, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, নাচ, গান, মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ প্রভৃতি নাশকতা মূলক পাপ কার্য্য বৃদ্ধি পাবে।
সারা দুনিয়ায় মেঘ তুফান ঝড় বৃষ্টি রোদ্রের প্রচন্ডতা ভুমিকম্প ইত্যাদি, আসমানি জমিনি গজবে সারা দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। দিনের পর দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে অভাবের সৃষ্টি হবে। বর্তমান যুগে ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে বেশি। পুরুষের পুরুষত্ব থাকবে না, মেয়েদের ভয়ে ছেলেরা গাছে ওঠবে তথা হতে প্রসাব করবে মেয়েরা খাবে তাতেও সন্তান হবে। পরিবার পরিকল্পনা এ সমস্ত গন্ডগোল করলে চলবে না। জন্ম মৃত্যূ আল্লাহ রাসুলের হাত কুদরতের সামান্য দু ফোটা পানির দ্বারা মায়ের উদরে সন্তান তৈয়ার হয়। এ কুদরতকে বাধা দিয়ে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। কুদরত অর্থাৎ মহাশক্তি ইচ্ছা করলে গাছে ও ফলের ন্যায় সন্তান ধরাতে পারবে।
মুখ দিয়াছেন যিনি
সর্ব জীবের আহার যোগান তিনি
কাজেই কুদরতে বিরুদ্ধে কাজ করে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত, এজিদ, সিমার কেউ কোন দিন জয়ী হতে পারেনি আর পারবেও না। নাগীনিরা দিকে দিকে ফেলিয়াছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যার্থ পরিহাস। বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই। দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে। সারা দুনিয়া কারবালা যুদ্ধ প্রান্তর।
প্রতিটি রাষ্ট্র, প্রতিটি সম্প্রদায় নিজ নিজ আইন টিকিয়ে রাখার জন্য, আনবিক যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু না ধর্মে কোন জোর জুলম নেই। জোর পূর্বক কাউকে এক আইন ছেড়ে অন্য আইনে নেওয়া ব্যাবিচার, তাকে যুক্তির মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে ভুল ভেঙ্গে নিতে হবে।
কাজেই এবার আর যুদ্ধ নয় মিমাংসায়ই শান্তি, যুদ্ধ বন্ধ করুন। অর্ধমের মিথ্যা অস্ত্র ফেলে দিয়ে শান্তির ধর্মের সত্যের অস্ত্র স্বর্গীয় প্রেম ভালবাসা শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করুন। যুদ্ধ করে যদি শান্তি আনতে পারতেন তবে কারবালা প্রান্তরে পূর্বে যুগের নবীর গুষ্ঠি অত্যাচারী পাপীষ্ট জালিম এজিদের হাতে শহিদ হতেন না।
ও ভাই ভয় কে মোরা জয় করিব হেসে গোলা গুলিতে নয় গভীর ভালবেসে
অস্ত্র দিয়ে দেশ জয় করা যায় কিন্তু কারো মন জয় করা যায় না, ভালবাসা দিয়ে ভুবন জয় করা যায় এটা কেয়ামত হাশরের সত্য বিচারের যুগ।
তাই
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুরাসুর।
পৃথিবীটাই স্বর্গ নরক
এখানে জিন্দা মরার সত্য বিচার করে
মহা মিলন ঘটবে।
হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী নিত্য নিঠুর দ্বন্ধ
ঘুর কুটির পন্থা তাহার লোভ জটিল বন্ধ
হিংসা পতনের মূল
হিংসায় করেছি সারা দুনিয়া ভুল
কাজেই এবার হিংসা নিন্দা ছেড়ে দিয়ে আর কাল বিলম্ব না করে, কোরআন পন্থি কোরআন নিয়ে, ভারত পন্থি ভারত নিয়ে এবং বাইবেল পন্থি বাইবেল নিয়ে দ্রুত পথে এগিয়ে আসুন। সমতল ভুমিতে একত্রিত হয়ে এজিদ, সিমার, ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত যতগুলো দোষী লোক আছে তাদের কে চিহ্নিত করে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার করে মহা মিলন ঘটাই। অতীত অন্ধ ক্ষমাই পরম ধর্ম। অতীতের সকল দুঃখ কষ্ট ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে জীবন্ত বর্তমান কে সাথি করে ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বর্গীয় সুখের আশা বুকে নিয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করি।
বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও
লাল মিয়ার ডাকে সারা দাও
সবে মিলে একই কন্ঠে আওয়াজ তুলি কোথায় রে মোর দয়াল নবী, একবার দেখা দে । যার অলংকার তার অঙ্গেই শোভা বর্ধন করে বেশী। আখের যাখের, বায়তন গুপ্তন সব জায়গায় বাদশাহী নবী। বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী তিনি করলেন না। উম্মতের লাগিয়া হইলেন তিনি দিওয়ানা। যিনি বর্তমান যুগের বাদশাহীর জন্য পূর্বযুগে চরম দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করে গেছেন। যার কাজ তারই সাজে, কাজেই এবার সবাই চলুন, আর বেঈমানী এবং বিশ্বাস ঘাতকতা না করে নবীর বাদশাহী ফিরিয়ে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় ছেরে দিয়ে সত্যের পতাকা উত্তোলন করি।
সবারে বাসিব ভাল, করিব না আত্ম পরভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ
মানুষের মাঝে মানুষের কভু রবে না বিচ্ছেদ
সর্বত্র মৈত্রির ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে কত না যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হল কত হানা হানি
এবার মোদের পূর্ন্য সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৈাহার্দের বাণী
হিংসা দ্বোষ রহিবে না কেহ কারো করিবে না ঘৃনা
পরষ্পরে বাধি দিবে প্রেমের বন্ধনে
বিশ্ব জুড়ে এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা
মানব জাগিবে নব ষ্পন্দনে।
পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী লাভ করুক অমরত্ব। মানবাত্ত্বা সত্য মিথ্যা, ন্যায়, অন্যায় চেনা জানার জন্য হয়ে ওঠুক মৃঘের মত সজাগ। প্রতিটি প্রাণীই হোক আত্ম সচেতন।
**প্রার্থনা**
আমি চাই মহত্তের মহৎ প্রাণ
মুক্তা মানিক নিধি আমারে দিওনা বিধি
চাইনা এ যুগের রাজত্ব সম্মান
বঞ্চিত প্রাণ পেলে, প্রাণ টুকু দিয়ে ঢেলে
মেগে নিবে মনুত্বের শ্রেষ্ঠ উপাদান
প্রাণের সাধক আমি সাধনীয় প্রাণ
আমি চাই শিশুহেন উলঙ্গ প্রাণ
মুখে মাখা সরলতা কহেনা সাজানো কথা
যানে না যোগাতে মন করি নানা ভান
প্রাণ খোলা মন খোলা আপনি আপন ভোলা
তার স্নেহ প্রীতি সবই হৃদয়ের টান
আমি চাই স্বর্গের উলঙ্গ প্রাণ
আমি চাই বিরত্বের তেজস্বী প্রাণ
পায়ে ঠেলে তোষামোদ নিচতার অনুরোধ
তার ব্রত সত্য রক্ষা সত্যানু সন্ধান
চাহে না নিজের ইষ্ট অতুল কর্তব্য নিষ্ঠ
ধরা প্রতিকুল নহে, নহে কম্পমান
জীবন সংগ্রামে নিত্য বিজয়ী তার চিত্ত
আনন্দে উড়িয়েছে তার বিজয় নিশান
আমি চাই বিরত্বের তেজস্বী প্রাণ।
এ শুভ প্রার্থনা ই হোক বিশ্ববাসীর চলার পথের সাথী এ মঙ্গল কামনা করে এখানেই বিদায়।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুন না কেন সকলের চরণে ছালাম জানাই, হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরনে ছালাম পৌছাও, আমরা যুগে যুগে অন্যায় করছি সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই, সকলে মিলে ক্ষমা করুন, তাড়াতাড়ি সারা দুনিয়া একত্রিত করে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।
ইতি জগত কান্না -
বিশ্ব শান্তিকামী ভাই বোনেরা
আমন্ত্রন
বার্ষিক ধর্ম শভা
পহেলা অগ্রহায়ন ও পহেলা চৈত্র
www.santirbani.com
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়
কারো মনের আশা পূরণ হয় না।
এবার চলুন রাজা, প্রজা, ফকির, দরবেশ, সাধু, সন্ন্যাসী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার, দারগা, পুলিশ, হাকিম, উকিল সবে মিলে ধর্ম সভায় যোগদান করে সকলের মনের আশা পূরণ করি।
ভয় নেই/ ভয় নেই।
**মাতা পিতার প্রতি কতব্য**
মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে প্রিয় নাম জগতে আর নাই
দশ মাস দশ দিন মার উদরে দিছেন ঠাই
জন্ম নিয়ে মার বুকের দুগ্ধ খাই মাকেই লাত্থাই
মা কথাটি ছোট্ট হলেও মধুর, পিতা যখন তার মস্তক থেকে ফেলে দেন, স্নেহময়ী মা আদর সোহাগে তার উদরে ঠাই দেন, কত ত্যাগ কত দুঃখ বেদনা মাকে সহ্য করতে হয়। দশ মাস দশ দিন যখন মা উদরে রেখেছেন তখন তার নিজের চলার শক্তি ছিলনা। তবুও তাকে কষ্ট স্বীকার করে সংসারের ঝামেলা মিটাতে হত। খেতে বসতে চলতে সকল অবস্থায় মা কষ্ট ভোগ করেছেন। এর পর যখন জন্ম নিলাম তখন মা নিজে না খেয়ে খাওয়াইছে, না পড়ে পড়াইয়াছেন, নিজে ভিজা জায়গায় শুয়ে আমাকে শুকনা যায়গায় শোয়াইয়াছেন। জীবন ভর সন্তানের জন্য দুঃখ করলেও মঙ্গল কামনা করেন। কুরআনে বর্ণীত মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। আমরা বয়োবৃদ্ধির পর যখন উপার্জন করতে শিখলাম, পাখা যখন মেলে গেল, তখন দুঃখিনি মায়ের কান্না শোনার অবকাশ থাকেনা।
যখন তোমার কেউ ছিলনা তখন ছিলাম আমি
এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি
এখন বন্ধু বান্ধব পেয়েছি, বিয়ে করে স্ত্রী পেয়েছি,কাজেই এখন সেই দুঃখের দিনের জনম দুঃখি মায়ের কথা মনে নেই। আমরা সবাই মায়ের কাছে ঋণী। সবাই মায়ের কাছে অন্যায় করেছি। যে পর্যন্ত মা খালেছ নিয়তে মাফ না দিবেন, আপনি যত বড় জ্ঞানি হন, পীর ফকির, সাধু সন্নাসী হন না কেন, আজমীর শরীফ, মক্কাশরীফ গমন করেন না কেন ? মায়ের আর্শ্বিবাদ ছাড়া আপনার মুক্তি নেই। আমাদের সকলেরই পিতা মাতার বাধ্যগত হওয়া উচিত। পিতা মাতার কর্তব্য সাধনে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া দরকার। তাদের মনে কথায় কাজে কোন ক্রমে কোন অবস্থাতেই দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
মা নেই গৃহে যারক, সংসার অরণ্য তার
দেখিলে মায়ের মুখ, ঘুচে যায় সকল দুঃখ
** সন্তানের প্রতি কতর্ব্য **
সন্তান কে যদি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান
যদি ইসমাইলের মত আউলিয়া বানাতে চান
তবে সারা দুনিয়ার সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর
তার মুখে গাভীর দুগ্ধ, মধু, সরিষার তৈল
চিনি এবং মিশ্রির পানি দিবেন না।
যতক্ষন পর্যন্ত বুকের দুগ্ধ না আসবে নাম নিয়ে শুয়ে রাখবেন। যখন সন্তানের খোরাক আসে তখন সন্তান ক্রন্দন করবে মায়ের বুকে দুগ্ধ আসবে। আপনি গরুর দুগ্ধ পান করালে গরু কে মা বলতে হবে এবং গরুর স্বভাব চরিত্র দেখা দিবে। সে জন্য আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়তে চাইলে গরুর দুগ্ধ, বকরীর দুগ্ধ মধু, এ সমস্ত খাবার জন্মের পর মায়ের দুগ্ধ পান না করা পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন না। সবাই কে মায়ের দুগ্ধ পান করাতে হবে। এভাবে কাজ করলে সন্তান বাধ্যগত হবে।
পিতা মাতার মনে কোন দিন কষ্ট দিবে না। তার কারণ পশুর আত্মা তার মাঝে প্রবেশ করতে পারেনি। নাম মানুষ কার আত্মা কিসের কেউ বলতে পারবে না। তবে চিন্তা করলে খেছালত দেখে চিনতে পারবেন। সন্তানের প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন মা। মা সব সময় সন্তান কে ধর্মের বাণী শিক্ষা দিবেন। আদর সোহাগে আপ্যায়ন করবেন। বাবা, সোনামনি, নবী মার খাইছেন মারেন নাই, গালি দেন নাই, চুরি করেন নাই, মিথ্যা কথা বলেন নাই, খারাপ কাজ করেন নাই, নবী যে কাজ করেন নাই, সে কাজ করো না করলে অন্যায় হবে, তার পরিণাম কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। তাকে আরো স্মরন করিয়ে দিতে হবে।
মহা জ্ঞানি মহাজন
যে পথে করে গমন
হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়
সেই পথ লক্ষ্য করে
স্বীয় কীর্তি ধ্বজাধরে
আমরাও হব বরণীয়
কখনো নিষ্ঠুর বাক্যে প্রেম ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠা হয় না। কঠিন ব্যবহার ও রূঢ়তায় মানবাত্মার অধঃপতন হয়। সাফল্য কিছু লাভ হলেও আত্মা যে দরিদ্র হইতে থাকে। সুযোগ পাইলেই সে আপন পশু স্বভাবের পরিচয় দেয়।
যে পরিবারের কর্তা ছোটদের সংগে অতিশয় কদর্য্য ব্যবহার করে সেই পরিবারের প্রত্যেকের স্বভাব অতিশয় মন্দ হইতে থাকে। শিশুর প্রতি এক একটা নিষ্ঠুর কথা, এক একটা মায়াহীন ব্যবহার তাহার মনূষ্যত্ব অনেক খানি কমাইতে থাকে, এতএব শিশুকে নিষ্ঠুর কথা বলিয়া তাহার সংগে প্রেমহীন ব্যবহার করিয়া তাহার সর্বনাশ করিওনা। একটা মধুর ব্যবহার অনেক খানি রক্তের মত-শিশুর মনুষ্যত্বকে সঞ্জীবিত করে, পরিবারের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য সকলেরই চেষ্টা করা উচিত। ইহাই পরিবারের প্রতি প্রেম।
**পীর মুরিদ**
মুরীদ হয়ে পীর কে বাপ ডাকলে
নিজের বাপ কে তালৈ বলতে হয়
পীর মুরিদ থাকবে না দুনিয়ায়
ভন্ড ফকিরের দল তারা তারি সোজা হবি বল
আর নইলে বাচবি না সকল
এ যুগে ছাটাই বাছাই আর পরিক্ষা
সত্য পথ চেনার জন্য, জানার জন্য, আমরা পীর ধরি। আপনি আমার নবী, আপনার নবী কে? পীর পুরহীতগন তার পীর কে নবী বলে স্বীকার করে কিন্তু হাশরের মাঠে পীর বলবে আমি তোমার নবী, আমার নবী কই ? সেদিন তার ভক্তের খবর থাকবে না।
আমি আমার পিতা মাতার কারনে জগৎ দেখেছি
কোন পীরের দ্বারা জগৎ দেখিনি
পীরের ক্ষমতা নেই আমার পাপের তরি পাড়ে ভিড়াতে
সারা জীবন ভুল করে পশুর আত্মা মানব কুলে জন্ম দেওয়া। আমরা নিজের পিতা মাতাকে দেখলে ছালাম দেইনা, মৌলভী, মুন্সি, পীর, ফকির সাধু সন্ন্যাষী কে দেখলে ছালাম দেই। বাবা বলে সম্বোধন করি। জন্মদাতা পিতা মাতা কে ছালাম দিতে লজ্জা বোধ করি। ঘরের দোয়া বাহিরে ফেলি, নিজের বাবা মা কে না খাওয়াইয়া পীর ফকির মৌলভী মুন্সি সাধু সন্ন্যাষী কে খাওয়াই। অয়েসকরনী মার খেদমত করে নবীর জামা লাভ করেন। কোন পীর ফকির মৌলভী মুন্সির সাধু সন্ন্যাষীর পাত পা টিপে পান নাই। অয়েসকরনীর মত যার যার মায়ের খেদমত করতে হবে। নিজে না খেয়ে পিতা মাতা কে খাওয়াতে হবে, পড়াতে হবে পিতা মাতাকে পীরের ন্যায় ভক্তি করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে।
পিতা মাতা ছাড়া পীর নেই
পীর কথাটা থাকবে না
দয়াল বলে ডাকতে হবে
জগতে আর পীরের দরকার পরবে না
দয়াল নবী কে খুজে বের করুন তিনি সত্য রাস্তা দেখিয়ে দিবেন। তার নামই হবে দয়াল নবী কারন দয়া করে পথ বাতলিয়ে দিবেন তাই।
**খাটি মুসলমান**
মাথায় টুপি দিলে মুসলমান কয় না তারে
এই চোখে যদি পরের স্ত্রী দেখে কামভাব জাগে
থুতায় দাড়ী রাখলে মুসলমান কয় না তারে
এ মুখ থেকে যদি মিথ্যা কথা না দেয় দুরে
লিঙ্গের আগা কাটলে মুসলমান কয় না তারে
দিল যদি পরশ পাথরের মত পরিস্কার না করে।
হাজার লক্ষ কোরআন কিতাব যদি কোন মৌলভী মুন্সি হাফেজ ক্বারী পড়ে। মুখটা ঠিক না থাকলে কবুল হবে না আল্লাহ রাসুলের দরবারে। মুখটা ঠিক থাকবে কি করে ? চোর চোট্টা বদমাইশ গুন্ডা, প্রত্যেকের বাড়ীতে অসদুপায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করা ভাল খানা খেয়ে পীর ফকির, সাধু সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সী মুখটা অপবিত্র করে দিয়েছে। এ মুখে হাজার বাছর মসজিদ মাদ্রাসায় এবাদত বন্দেগী করে পাক হবে না এ সংসারে। মাইটা পাতিল কুকুরে খেলে সাতটি ধোয়া দিলে সারে এর চেয়ে মুখটা খারাপ হয়ে পরে।
বাজারের বেশ্যা ইজ্জত বিক্রি করে ভাত খায়, তার টাকা স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, দরগা ভিবিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠানে যায়।
,কিসের মুসলমান ? লালমিয়ার কথা বিচার করুন, হতে হবে সব এক সমান।
আমরা টুপি মাথায় দিয়ে মুসলমান নাম কলাই। থুতায় দাড়ী রেখে, লিঙ্গের আগা কেটে মুসলমান বলে দাবী করি। যে পর্যন্ত নবীর আইন পুরোপুরি না মেনে নিব, ততদিন পর্যন্ত খাটি মুসলমান হতে পারব না। নবী জীবনে মিথ্যা কথা বলেন নাই, পরের স্ত্রীর দিকে খারাপ নজরে তাকাননি। নিজ হাতে খেটে ভাত খেয়েছেন।
নবী ওয়াজ করে কুরআন পড়ে
কারো বাড়ী হতে টাকা নেননি
নিজের বাড়ী খেয়ে ইসলাম প্রচার করেছেন
আমরা ইসলাম প্রচারের দোহাই দিয়ে চোর, গুন্ডা, মাতাল সবার কাছ হতে টাকা সংগ্রহ করি। আমরা বলি পতিতারা পৃথিবীর সব চেয়ে ঘৃণ্য, তাহলে পতিতালয় মুসলিম দেশে কেন রাখা হল ? পতিতার ইজ্জত বিক্রি করা পয়শা হারামি পয়শা আপনার হালাল পয়শার সাথে মিশে অপবিত্র করে দিচ্ছে না। কারণ পয়শার গায়ে লেখা থাকে না যে এটা বাইজির পয়শা, আমি গ্রহন করব না। যে পর্যন্ত নবীর আইন ষোল আনা জারী না হবে ততোদিন পর্যন্ত মুসলমান বলে দাবী করতে পারব না। তাস খেলা, বল খেলা, জুয়া খেলা, মদ খাওয়া ঘুষ খাওয়া, বেশ্যালয়ে যাওয়া এ সমস্ত আর্বজনা কাজ গুলি ছারুন।
পাটে পানি, দুধে পানি, মিথ্যা কথা, আড়ৎদারী গরীব কে কম মেপে দেওয়া, পাল্লা বাটখারা ঠিক করবেন, খাটি মুসলমান হতে পারবেন। এর আগে একটি মুসলমান ও নাই সব আমরা বেঈমান হয়ে গেছি ভাই।
** আদম সন্তান **
মুর্তি পূজক নিজ হাতে মুর্তি বানাও আবার
নিজেই মুর্তির পা ধরে কান্দ
এক ফোটা পানির দ্বারা তোমার মার উদরে তোমাকে কে বানায় ?
লাল মিয়ার কথা চিন্তা করবেন
মুর্তি পুজা শিঘ্রই ছাড়েন
যার যার বাপ মার পা ধরেন
অয়েসকরনীর মত ঘরে বসে পেতে পারেন।
এখন আর মুর্তি পূজা, বৃক্ষ পূজা, দেব দেবীর পূজা, সূর্য্য পূজার যুগ নেই। দেবতা, জ্বীন পরি ফেরেস্তা সব মানুষের কুলে এসে গেছে। চিন্তা করুন মানুষের দূর্গা, গনেশ, লক্ষ্মী, নারায়ন নিমাই, শরস্বতী, সীতা সকল দেবতাদের নাম মানুষের মাঝে এসে গেছে, আবার আজরাইল জিব্রাইল, মিকাইল, ইস্রাফিল ফেরেস্তাদের নাম মানুষের মাঝে প্রবেশ করেছে। আবার নবী রাসুল, আঃ কাদের, আবু বকর, আলী ওসমান, আউলিয়াদের নাম মানুষের মাঝে প্রবেশ করেছে।
মানুষ ছাড়া দেবতা নেই, ফেরেস্তা নেই, জ্বীন, পরী কিছুই নেই
আমরা মাটির মানুষ আদম সন্তান।
প্রত্যেকে যার যার যুগের পাতা উল্টিয়ে
দিল কুরআন দিয়ে বিচার করে দেখুন
আপনি কোন যুগে কি ছিলেন ?
তাহলে আর হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খৃষ্টান
মুশরেক কাফের ভিবেদ সৃষ্টি হবে না।
সবাই আমরা একই মায়ের সন্তান আদম সন্তান
এই দুনিয়ায় কেহ কারো পর নই
এই জগতে কেহ ওর আপনার নাই
কেহ হব বোন মোরা কেহ হব ভাই।
মুসলিম হিন্দুরে বাধি প্রেমের বন্ধনে
প্রতিষ্ঠিত এক ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রানে।
চেয়ে ছিলো দেখিবারে সেই মহাজন
সেকেন্দ্রা তাহার অস্তি করিছে ধারন
আজ যুগ যুগান্তরে সেই দুই জাতী
বিদ্রোহে কি কলহেতে রহিয়াছে মাতি।
যদি কোন শুভ দিনে বিধীর বিধানে
এই দুই মহাজাতী মিশে যায় প্রাণে
সেকেন্দ্রা তোমার এই নিরব শ্মশান
সেদিন বিশ্ব হবে মহা তীথ স্থান।
** গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্তি **
স্বাধীনতা স্পর্শ মনি সবাই ভালবাসে
সুখের আলো জ্বালো বুকে দুঃখের ছায়া নাশে
স্বাধীনতা সোনার কাঠি খোদার সুধা দান
স্পর্শে তাহা নেচে ওঠে শূন্যে দেহে প্রাণ
মনুষ্যত্বের বান ডেকে যায় পশুর হৃদয় তলে
বুক ফুলায়ে দাড়ায় ভীরু স্বাধীনতার বলে
দর্প তরে পদাহত উচ্চ করে শীর
শক্তিহীনেও স্বাধীনতা আখ্যাদানে বীর।
অর্থ হায়রে অর্থ? হায়রে পাতকী অর্থ ? তুই জগতের সকল অর্থের মুল। জীবের জীবনের ধ্বংস সম্পত্তির বিনাশ, পিতা পুত্রের শত্রুতা, স্বামী-স্ত্রীতে মনোমালিন্য, ভ্রাতা বগ্নিতে কলহ, রাজা প্রজার বৈরি ভাব বন্ধু বান্ধবে বিচ্ছেদ, বিবাদ, বিসংবাদ, কলহ, বিরহ, বিসর্জন, বিনাশ এ সকলই তোমার জন্য, সকল অর্থের মুল কারনই তুমি। তোমার কি মোহনী শক্তি ! কি মধু মাখা বিষযুক্ত প্রেম, রাজা, প্রজা, ধনি, নির্ধন যুবক, বৃদ্ধ, সকলেই তোমার জন্য ব্যস্ত, মহা ব্যস্ত, প্রাণ ওষ্ঠাগত। তোমারই জন্য কেবল তোমারই কারনে কত জনে তীর, তরবারী, বন্দুক, বর্শা গোলাগুলি অকাতরে বক্ষ পাতিয়া ভরিতেছে। তোমারই জন্য অগাদ জলে ডুবিতেছে, ঘোর অরন্যে প্রবেশ করিতেছে। পর্বত শিখরে আরোহন করিতেছে। রক্ত মাংশপেশী, মরমানু সংযোজিত শরীর ছলনে, তোমারই জন্য শূন্যে উড়াইতেছে। কি কহুক, কি মায়া, কি মোহনী শক্তি। তোমার কুহকে কে না পড়িতেছে ? কে না ধোকা খাইতেছে ? কে না মজিতেছে ? তুমি দুর হও ! তুমি দুর হও ! তোমার নাম করিয়া কথা কহিতে অংগ শিহরিয়া ওঠে।
অভাবের তাড়নায় নিরন্ন মানুষগুলি গ্রাম ছেড়ে শহর মুখি হয় এক মুঠো ভাতের জন্য দুটো টাকার জন্য কিন্তু তারা পেটের দায়ে উচু তলার মানুষের গোলাম বাদীর কাজে নিযুক্ত হন। দিন রাত কাজ করেও তাদের সন্তুষ্টির পরিবর্তে পেতে হয় ধিক্কার, ছোটলোক। গরীব শুধু চোখের পানি ফেলার জন্য যুগে যুগে জন্ম নেননি। এ যুগে অনাহার ক্লিষ্ট দুঃখি মানুষ গুলি কে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের মাঝে মায়া মমতা বোধ বলতে কিছু নেই। থাকলে কাউকে কেউ ঠকাতাম না। কারো ক্ষতি কেউ করতাম না। কারো দুঃখে হাসতাম না। কেউ লেপ তোষক দালান কোঠায় ঘুমায় আবার কেউ রাস্তা ঘাটে বিনা বিছানায় ইটের উপড় মাথা রেখে ঘুমায়। কেউ পোলাও কুর্মা ভাল খানা খেয়ে জীবন ধারন করছে আবার কেউ ফেলে দেওয়া খাবারের আসে থালা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে দুল ছাই খেয়ে তাড়িত হচ্ছে।
বিধির একি নিয়ম
আমাদের মানুষ প্রাণ কেন হবে এত নিরেট পাষান
আমরা প্রত্যেকে আদম হাওয়ার বংশধর
কাজেই
দুনিয়ায় কেউ পাবে
কেউ পাবে না
তা হবে না, তা হবে না
সবাই কে সব কিছু বন্টন করে দিতে হবে। যেন পৃথিবীতে গরীব ছোট বলে কেউ কাউকে ধিক্কার পেতে না হয়।
নবীজি চাকরাণী দিয়ে কাজ করান নি। আমরা কেন করাব ?
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনি পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
আপনি যদি বাবু সেজে আরাম করে অন্যকে দিয়ে কঠিন কাজ করিয়ে কষ্ট দেন তবে পরের যুগে তার গোলামী আপনাকে করতে হবে। এ জন্য নবী নিজের কাজ নিজে করেন। গোলামীর জিঞ্জীর থেকে সবাই কে মুক্তি পেতে হবে।
অন্ধ মোহ বন্ধ তব দাও মুক্তি করি
রেখনা বসায়ে দ্বারে জাগ্রত প্রহরী
হে জননী আপনার স্নেহ কারাগারে
সন্তানের চীর জন্ম রন্দী রাখিবারে।
বেষ্ঠন করিয়া তারে আগ্রহ পরশে
জীর্ণ করিয়া দিয়া লালনের রসে;
মন্যুষ্যত্ব স্বাধীনতা করিয়া শোষণ
আপন ক্ষুদিতচিত্ত করিবে পোষণ
দীর্ঘ গর্ভবাস হতে জন্ম দিলে যার
স্নেহ গর্ভে গ্রাসিয়া কে রাখিবে আবার?
চলিবে সে এ সংসারে তোর পিছু পিছু
সে কি শুধু অংশ তোর আর নহে কিছু ?
নিজের সে বিশ্বের সে বিশ্ব দেবতার
সন্তান নহে গো মাতা সম্পত্তি তোমার।
**সবে আল্লাহ়্ রাসুল বলুন**
দয়াল নবীর আপন চাচা আবুজেহেল কে বলেছিলেন চাচা আল্লাহ রাসুল বলুন, আবুজেহেলে বলে ছিলেন তুই হইলি পেটের ছেলে, তোকে রসুল বলব ? মরে গেলেও না। আল্লাহ মাবুদ বলব। এখনও আমরা আল্লাহ মাবুদ বলছি।
মানুষ ছাড়া খোদা নাই জোদা
বাপ আল্লাহ্, মা রাসুল
আল্লাহর মাল নবীর নিকট থাকত সেইরূপ বাপের মাল সম্পূর্ণ মার নিকট থাকে। সারা দুনিয়া আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে নবী কে হারিয়ে আল্লাহর জন্য পাগল প্রায়। হাশরের দিন নবী বলবেন হে দোস্ত এগুলি আমার উম্মত নয় তোমার বান্দা। আমাকে চায় নাই তোমাকে চেয়েছে। আমি তোমার বান্দাকে শাফায়ত করতে পারব না। তখন আল্লাহ পাগল গুলি কে বলবে যাও আগুনে ঝাপ দাও। আল্লাহ বার বার বলেছেন আমাকে না ডেকে আমার দোস্ত কে ডাক তবেই আমি খুশি।
আল্লাহ বলছেন তুহি তুহি সব রং মেরা
তুহি হায় সব রঙ্গেই খোদা
খোদা সর্বময়, সব জায়গায়
আঠার হাজার মাখলুকাত জোড়া খোদা
আল্লাহ হল নূর, আগুন, কুদরত, আল্লাহ কে দরবার কারো ক্ষমতা নেই। কিন্তু তার কুদরত দেখে চিনতে হবে। যেমন গাছের বাকলার নাম নবী, ভিতরের সার আল্লাহ। মানুষের কায়া হল নবী, ভিতরের রূহু হচ্ছে আল্লাহ। ধানের তুষ নবী ভিতরের চাল আল্লাহ।
তাহলে আল্লাহ রাসুল এক না হলে
কোন কিছুই পয়দা হয় না।
আদম যদি হাওয়ার সাথে না মিশতেন তবে আমরা হতাম না।
আমরা শুধু আল্লাহ কে ডাকি নবী কে ডাকি না। আমরা যদি শুধু আল্লাহ কে ডাকি তাহলে নবী অসন্তুষ্ট হন। কাজেই এবার আল্লাহ রাসুল এক সংগে বলতে হবে। তবেই আল্লাহ রাসুল প্রত্যেকেই খুশি হবেন।
আল্লাহর নুরে নবী তৈয়ার আর নবীর নুরে সারা জাহান তৈয়ার
আমরা ডাকব নবী কে, নবী ডাকবেন আল্লাহ কে।
মাতা যদি পিতার আসল পরিচয় না দেন
সন্তানের ক্ষমতা নেই পিতার আসল পরিচয় পাবার
আমরা বলব মা খেতে দিন ? ঘরে খাবার না থাকলে মা বাবা কে বলবেন। খাবার নেই সন্তানের জন্য খাবার আনতে হবে। আমরা ডাকব মাকে মা ডাকবেন বাবাকে। নবী কে ডাকলেই আল্লাহ কে পাওয়া যাবে। কাজেই এবার সবাই আল্লাহ মাবুদ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ রাসুল বলুন।
দুনিয়ার সকলে আল্লাহ়্ রাসুল বলেন
সোজা পথে চলেন নইলে গন্ডগোল সামনে
**দরগা পূজা**
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দ ময়
লভিব মুক্তির স্বাদ, এই বসুধার
মৃত্তিকার পাত্র খানি ভরি বার বার
তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত
নানা বর্ণ গন্ধময় প্রদীপের মতো
সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমার শিখায়
তোমার মন্দির মাঝে ইন্দ্রয়ের দ্বার
রুদ্ধ করে যোগাসন সে নহে আমার।
যা কিছু আনন্দ দৃশ্যে গন্দে গানে
তোমার আনন্দ রবে তার মাঝ খানে।
মোহ মোর মুক্তি রূপে উঠিবে জ্বলিয়া
প্রেম মোর ভক্তি রূপে রহিবে ফলিয়া।
সংসার ত্যাগ করে আগর বাতি মোম বাতি জ্বেলে, গাজা, সিদ্দি খেয়ে মেয়ে পুরুষ ডাক ঢোল পিটিয়ে দরগায় লাফা লাফি করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না।
কর্ম ই ধর্ম, কর্ম ছাড়া ধর্ম সাধন হয় না
সৎকর্ম দ্বারাই মুক্তির পথ প্রশারিত সম্ভব
কবরে রূহ জায় না। কাজেই মৃত ব্যাক্তি কে পুজা করলে কোন কাজ হবে না। জিন্দা ব্যাক্তির পুজা করতে হবে। জ্ঞানি গুনি মহতগন কে জীবদ্দশায় চিনতে হবে। জানতে হবে কায়া বদলের পর কবরে মাথা ঠুকলে কাজ হবে না।
১) দেবতা মন্দির মাঝে ভক্ত প্রবীন
জপিতেছে জপ মালা বসি নিশি দিন।
হেনকালে সন্ধ্যা বেলা ধুলি মাখা দেহে
বস্ত্রহীন জীর্ণ দীন পশিল সে গৃহে।
কহিল কাতর কন্ঠে গৃহ মোর নাই
এক পাশে দয়া করে দেহ মোর ঠাই।
সসঙ্কোচে ভক্তবর কহিলেন তারে
আরে আরে অপবিত্র দুর হয়ে যারে
সে কহিল চলিলাম চোক্ষের নিমিষে
ভিক্ষারী ধরিল মুর্তি দেবতার বেশে।
ভক্ত কহে প্রভু মোরে কি ছল ছলিলে ?
দেবতা কহিলো মোরে দুর করে দিলে ?
জগতে দরিদ্র রূপে ফিরি দয়া তরে
গৃহহীনে গৃহ দিলে আমি থাকি ঘরে।
(২) ভজন পুজন সাধন আরাধন
সমস্ত থাক পড়ে
রুদ্ধ দ্বারে দেবালয়ের কোণে
কেন আছিস ওরে
অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে
কাহারে তুই পুজিস সঙ্গোপনে?
নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে
দেবতা নাই ঘরে
তিনি গেছেন সেথায় মাটি ভেঙ্গে
করছে চাষা চাষ
পাথর ভেঙ্গে কাটছে যেথায় পথ
খাটছে বার মাস।
রৌদ্র জলে আছেন সবার সাথে
ধূলা তাহার লেগেছে দুই হাতে।
তারি মতন শুচি বসণ ছাড়ি
আয়রে ধুলার পরে।
আমরা আদম হাওয়ার সন্তান, পূর্ব যুগে তাহারা চাষাবাদ করে গেছেন। নবী নিজে কাজ করে গেছেন। কাজেই এবার কুরআন বিক্রি করে, গান বিক্রি করে, খাওয়া চলবে না। পীর, ফকির সাধু, সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সি, সবাই শুচি বসন ছেড়ে দিয়ে নিজ হাতে নবীর আইন মেনে নবীর মত খেটে খান।
তানা হলে -
খাইছ টাকা দিবানা
সবত বাড়ী থাকব না
আমরা যদি কারো অন্যায় না করি
কারো ক্ষতি না করি
তাহলে জেল খানার দরকার পরবে না
কোর্ট কাচারী দারগা পুলিশ
হাকিম উকিল কারো দরকার পরবে না
সবাই যদি আদর্শ মানুষ হয়ে যাই। তখন উচু নিচুর পার্থক্য থাকবে না। কেউ সাব, কেউ কুলি কেউ মিয়া, কেউ খা, কেউ ভুইয়া, এটা স্মরন করতে হবে সবাই মাটির মানুষ। সবার শরীরে একই রক্ত মাংস।
ছেড়ে দিয়ে বাবুয়ানা মাটি খুড়ে ফলাও সোনা
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
দেশ মাতারই মুক্তি কামী দেশের সেজে আশা।
দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড় ?
পুর্ণ্য তত হবে না কো সব করিলেও জড়।
মুক্তিকামী মহা সাধক মুক্ত করে দেশ
সবারই সে অন্ন যোগায় নেইকো গর্ব লেশ।
ব্রত তাহার পরের হীত সুখ নাহি চায় নিজে
রৌদ্র দাহ তপ্ত তনু শুকায় মেঘে ভিজে
আমার দেশের মাটির ছেলে করি নমস্কার
তোমার দেখে চূর্ণ হোক সকল অহংকার
তুমি মোদের সবার নেতা তুমি মহা প্রান
তোমায় দেখে চূর্ণ হওক ভন্ড সাধকের নাম।
**কবর**
কবর শুধু দুর্গন্ধ চাপা দেওয়ার জন্য
মৃত দেহ মাটির নিজে রাখা হয়
রূহু মরে না, রূহু অমর
রূহু শুধু কায়া পরিবর্তন করে
রূহু একদিনের তৈয়ার
আল্লাহ বলছেন, মানুষ তোমরা যা তৈয়ার কর তা ভাংবে, পচবে, গলবে, নষ্ট হবে, কিন্তু আমি যা তৈয়ার করেছি তা পচবে না, গলবে না, নষ্ট হবে না। রূহু বাতাস, রুহু মানুষ কে ঠান্ডা দেয় রূহু আকাশে যায় না, পাতালেও যায় না। আকাশ এবং জমিনের মাঝ খানে বিরাজমান।
দুনিয়ায় যারা নবীর আইন মত চলবে
তারা যুগে যুগে মানুষ কুলে জন্ম নিবে
আর যারা বেঈমানি করবে
পশুর আরচন করবে
তারা পশু পাখি মাছ গাছ এ সমস্ত জীবের কুলে যাবে।
দুনিয়ায় যে সমস্ত খাদ্য খাবার খেয়েছি যত রকম জীব অহরহ হত্যা করেছি মৃত্যূ কালে সবাই সামনে এসে হাজীর হবে। আল্লাহ রূহু কে হুকুম করবে মানুষ কুলে থেকে পশুর আচরণ করেছ এবার বেহুশ পশুর কুলে যাও। এক একটি জীবের ভিতর ৬৪ বছর করে থাকতে হবে। তারপর আবার মানুষ কুল। এটা শেষ যুগ এবার যারা জেনে শুনে মানুষ কুল হারাবে তারা আর মানুষ কুলে আসতে পারবেনা। জেনে পাপ করলে মাফ নেই।
**বেহেস্ত**
বেহেস্ত অর্থাত অনন্ত সুখ
এ দুনিয়াটাই বেহেস্ত
মরলে বেহেস্ত নেই
এই দুনিয়ার বালা খানা খেয়ে
আরাম আয়েসে দিন কাটিয়ে
যে বলবে মরলে বেহেস্ত পাব
সে মরে গিয়ে গরু হয়ে খর খাবে
কুকুর হয়ে ফেনা খাবে।
গুরু ভেড়া, মুরগা মুরগী, মাছ, তরীতরকারী, আম কাঠাল, আনারস, পেপে, কত নামি দামি ফল খেয়েছি, তবুও বেহেস্ত স্বীকার করি নেই। মরলে এ সমস্ত কুলে গিয়ে মানুষ কে খাওয়া দিতে হবে। বদলা খেয়েছি আবার নিজেকে খাওয়া দিতে হবে। আমরা মৌলভী সেজে কুরআন পড়ে বাড়ী বাড়ী দাওয়াত খেয়েছি, কুরআন পাঠ করে টাকা নিয়েছি। ওয়াজ করে টাকা নিয়েছি কুরআন বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করেছি। গায়ক হয়ে বাড়ি বাড়ি গান বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করেছি, ফকির, দরবেশ, সাধু, সন্ন্যাসী হাকীম উকিল সেজে ফাকি দিয়ে খেয়েছি, মাফ চেয়ে খাই নাই। এ জামানায় মাফ নিলে আখেরাতে মাফ নাই। যার অন্যায় করেছ সে যদি খালেছ নিয়তে মাফ না দেন তাহলে আল্লাহ রাসুল মাফ দিবেন না। হাশরের দিন টাকা পয়শা থাকবে না জান দিয়ে ঋন শোধ করতে হবে। গরু, ভেড়া, মুরগা, মুরগী, মাছ গাছ এ সমস্ত কুলে গিয়ে খাওয়া দিতে হবে।
মানুষ জনম দূর্লভ জনম
কাজেই যদি মানুষ কুলে থাকতে চান
বেহেস্ত যদি থাকতে চান
তবে নবীর আইন মোতাবেক চলতে হবে
নবী পেলে খেয়েছেন
না পেলে অনাহারী থাকতেন
নিজ হাতে খেটে জিবীকা নির্বাহ করেছেন
এ যুগে সবাইকে নিজ হাতে খেটে পরিশ্রম করে জিবীকা নির্বাহ করতে হবে। ফাকি দিয়ে আর খাওয়া চলবে না।
**দোজখ**
দোজখ অর্থাত ভয়ানক স্থান
দুনিয়ায় তিন টি দোজখ, পেট, চুলা ও সূর্য্য
এ ছাড়া দোজখ নেই
পেট খানা বড় দোজখ
যার নাম অয়েল দোজখ
দুনিয়ায় যা কিছু খাই সব পেটে মজে, সূর্য্য ঠান্ডা কে গরম করে ভিজা কে শুকায়। চুলা দোজখে লাকরী খরী যা কিছু দেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চুলা দোজখ দিয়ে ভাত রান্না করে পেট দোজখ ঠান্ডা করি। পেট দোজখ ঠান্ডা থাকলে দুনিয়াটাই ঠান্ডা। পেটের দায়ে দিনটা দোজখ। বন্দেগীর জন্য রাতটা বেহেস্ত।
বেহেস্ত থেকে যদি দোজখের কাজ করি
পশু পাখি জীব জানোয়ারের কাজ করি
তাহলে মরলে জীব জানোয়ার তৈয়ার করে
মারবে কাটবে জবেহ করে খাবে
তখন বলার শক্তি থাকবে না।
এ যুগে সব মাফ চেয়ে করতে হবে, ক্ষেতে হবে। আমরা দৈনন্দিন আল্লাহ রসুলের অগনীত অন্যায় করে চলেছি। আল্লাহ রাসুলের তৈয়ারী জিনিষ খাই নষ্ট করি একটি বানাতে পারি না। তাহলে মুরগা মুরগী, গরু ভেড়া, জবেহ করার সময় যদি বলি, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, কারন আমি জবেহ করিতেছি তৈয়ার করতে পারব না। অন্যায় করতেছি, তাই মাফ চাই। তখন জীবে বলবে হে আল্লাহ্ রাসুল তুমি তাকে গরু ভেড়া, জীব জানোয়ার বানাইওনা।
**কিয়ামত ও হাশর**
আপনারা পরিক্ষার মাধ্যমে যখন ইমাম মেহেদী (আঃ) কে খুজে বের করবেন, তিনি তখন রেডিওতে আড়াই দিন তার বক্তব্য পেশ করবেন। তার কথা শুনে সারা দুনিয়া ভয়ে কম্পমান হবে। এতদিন কি শুনেছি আর এখন কি বলে? তার কথার উপড় ভিত্তি করে প্রত্যেক ঘরে ঘরে তর্কযুদ্ধ হবে, তর্কযুদ্ধের পর সবার ভুল ভাংবে এবং গোটা বিশ্ব এক হবে।
সারা দুনিয়া একমত
এরই নাম কেয়ামত
তখন সবার মাঝে সত্যের কুরআন
অর্থাত দিল কুরআন
মানে পরমাত্মা নাজিল হবে।
পরমাত্মা দিয়ে সবার গোপন পরিচয় দিবে
কে কোন যুগে কি ছিলেন ? কি করেছেন ?
দোষী লোক গুলি ধরা পড়বে, তখন ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার করে মহা মিলন ঘটবে। এরই নাম হাশর।
এই দুনিয়া চিরস্থায়ী এটার প্রলয় হবে না
মানুষ সত্য সেবী বহে আউলিয়া হবে
দুনিয়া চাদের মত নতুন রূপ ধারন করবে
স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হবে।
বৃষ্টির পানিতে মাছ পাবে। খিল ক্ষেতে ধান হবে। ভাতে মানুষ বিছরাবে। গরু পর্যন্ত ভাত খাবে। কাগজের টাকা থাকবে না স্বর্নের কুদরতি টাকা হবে।
**ইসলামিক দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় আইন**
(১) সারা দুনিয়ার সবাই মিথ্যা কথা, রাগ, হিংসা, অশ্লীল ভাষায় গালাগালি
চির পরিত্যাগ করতে হবে।
(২) মুখে মিথ্যা কথা বললে জিহ্বা বাটা হবে, চোখে কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করে নারী
নির্যাতন করলে চোখ তুলে ফেলা হবে। হাতে চুরি করলে, ডাকাতি করলে
হাতের বাজু কাটা হবে।
(৩) সারা দুনিয়ার কারা বন্দীদের কে মুক্তি দিতে হবে। কারাবন্দী গন ধর্মীয়
প্রতিজ্ঞা পত্রে সই করতে হবে, যে আমি যে কাজ করে কারাগারে নিক্ষিপ্ত
হয়েছি জীবনে এ অপকর্ম আর করব না।
(৪) ভিক্ষুক রাখা হবে না। যে গ্রামে যে পাড়ায় যে মহল্লার ভিক্ষুক সে
সেস্থানেই অবস্থান করবে। গৃহ হীনের গৃহ দান, বস্ত্র হীনের বস্ত্র দান, ভূমি
হীনের ভূমি দান করতে হবে।
(৫) বিলাশ দ্রব্য ও মাদক দ্রব্য প্রস্তুত এবং ব্যবহার চির নিষিদ্ধ।
(৬) পতিতালয় তুলে ফেলা হবে। তাদের বিবাহ বন্ধনের ষুষ্ঠ ব্যবস্থা অবলম্বন
করতে হবে।
(৭) বিবাহ বন্ধনে নারী পুরুষ উভয়কে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। পাত্র পাত্রীর
সুচিন্তিত মতামত জ্ঞাপন করে একে অপর কে মনোয়ন করতে হবে
পরবর্তী কালে একে অন্য কে পরিত্যাগ করা চির নিষিদ্ধ।
(৮) হাটের খাজনা, ঘাটের ডাক, জায়গা জমিনের খাজনা বন্ধ করা হবে।
(৯) সারা দুনিয়ায় একটা বাংলা থাকবে। যার নাম নবীর মাদ্রাসা, রেডিও
সেন্টার থেকে আযান পাচঁ ওয়াক্ত দেওয়া হবে এবং সেখানে জামাত হবে।
প্রত্যেক ঘরে ঘরে রেডিও থাকবে, মাদ্রাসা হতে আযান শুনলেই নামাজের
জন্য তৈয়ার হতে হবে এবং মাদ্রাসার জামাতের সাথে নামাজ আদায়
করতে হবে, এক জামাতে নামাজ।
(১০) কেউ কুরআন বিক্রি করে, কেউ গান বিক্রি করে, সাধু সন্ন্যাষী পীর
ফকিরী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না। সবাই কে নবীর
মত নিজ হাতে খেটে খেতে হবে। (সংক্ষিপ্ত)
**চলার নিয়ম দোয়া**
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
তুমি দয়া কর, তুমি শান্তি দাও
তুমি বাচাও, তুমি বাচানে ওয়ালা
তুমি রহমত করনে ওয়ালা
তুমি আহসান করনে ওয়ালা
তুমিই শাফায়ত করনে ওয়ালা
তুমি ব্যতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না।
হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড়
কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার
তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে, তুমি মাফ কর
কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রাহমানির রাহিম
তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর।
এ দোয়া অর্থাৎ উপরোক্ত কথা গুলি বর্তমানে সত্য আউলিয়াদের যুগে, হাটতে, বসতে, খাইতে শুইতে হাল বাইতে, ঝাল বাইতে, মসলা বাটতে, তরীতরকারী কুটতে, গাছ লাগাতে, গাছ হতে ফল পারতে, ঘরে প্রবেশ করতে, ঘর হতে বাহির হতে, মোট কথা পার্থিব সকল সৎ ও প্রয়োজনীয় কাজে সারাক্ষন জিকিরের ন্যায় পাঠ করতে হবে। এই কথা গুলি বলে নবী আবু জেহেলের ভয়ে মক্কা হতে মদীনা তের দিনের রাস্তা তের কদমে যান। প্রত্যেক কদমে একটি করে মঞ্জিল হয়। এই কথা বলে নবী যাবেরের বাড়ীতে দুই ছেলে জিন্দা করেন। বিবি ফাতেমা কুলসুমের বাড়ীতে এক ডেগ খানা মদীনার সবাই কে খাওয়ান। বর্তমান যুগে এ কথা বলে ভাত খেলে অল্প ভাতে পেট ভরবে। বিনা ঔষুধে রোগ হতে আরগ্য পাবে। গাছে ফল হবে নদীতে মাছ হবে, জমিনে বরকত হবে। জিনিষের স্বাধ গন্ধ আবার ফিরে পাবে। খিল ক্ষেতে ধান হবে, ভাতে মানুষ খুজবে। গরু পর্যন্ত ভাত খাবে। আজরাইল অবসর পাবে বাপের আগে সন্তান মরবে না।
এনাম ভুল করিলে পরবি ফেরে
হারাবী দুই কুল নবী দ্বিনেরই রসুল
এ নাম হয় না যে আর ভুল।
**নামাজ**
শুনেছি কুরআনে বান্দার গোনাহ মাফ হবে না নামাজ বীনে
বট বৃক্ষ তরু লতা সবই জ্যান্ত কয় না কথা
সময় মত নোয়ায় মাথা ভক্তি করে আল্লাহ রাসুল
এবার সারা দুনিয়ার সবাইকে নিদৃষ্ট সময়ে মাথা নোয়াইতে হবে, আর নইলে পুলিশের বারি খেতে হবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর এ যুগে মানুষের কুলে তারাই হবে এ যুগের পুলিশ।
এ যুগে আল্লাহ রাসুল দুটি নাম
ভাত এবং পানি
বিছমিল্লাহ শরীফ এবং সুরা ইখলাছ
এই ছয়টি জিনিষ প্রধান থাকবে
নামাজ পড়া কথাটা ছাড়তে হবে। নামাজ আদায় করা বলতে হবে। কারন কুরআনে বর্ণিত আছছালাতু যাকাত অর্থাত নামাজ যাকাত দাও, নামাজ আদায় কর। নবী আবেুজাহেলের ভয়ে ভেড়া গুহায়ে যে নামাজ আদায় করে ভয়ঙ্কর বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান এ যুগে সে নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজের নিয়ম কানুন
নামাজ পাচঁ ওয়াক্ত - (১)ফজর- ছয় রাকাত। (২) যোহর- বার রাকাত। (৩) আসর- আট রাকাত। (৪)মাগরেব- সাত রাকাত। (৫) এশা- পনের রাকাত।
কয়েকটি শর্ত
(১) সমস্ত নামাজ গুলি সুন্নত হবে, ফরজ এবং নফল থাকবে না। ছোট সুন্নত এবং বড় সুন্নত একত্রে সুন্নত হবে। কারন বাপ আল্লাহ আর মা রাসুল, মার কাছে বাপের খবর
নবী কে ডাকলেই আল্লাহ কে পাব
আল্লাহর নূরে নবী তৈয়ার
নবীর নূরে সারা জাহান তৈয়ার
আমরা ডাকব নবী কে, নবী ডাকবেন আল্লাহ কে
আল্লাহর বড় ফরজ হল জীবন বাচান। ভাত খেয়ে জীবন বাচাই এটাই আল্লাহর বড় ফরজ আদায় হয়। নবীর সুন্নত আদায় করলে নবী কে লাভ করতে পারব।
নবী কে লাভ করতে পারলে
নবীর দ্বারা আল্লাহ কে লাভ করতে পারব
নবী ছাড়া আল্লাহ কে লাভ করতে পারব না।
(২) সমস্ত নামাজ গুলি বিছমিল্লাহ শরীফ ও সুরা ইখলাছ
এই দুটি সুরা দ্বারা আদায় করতে হবে।
(৩) সিজদার স্থানে পিতা মাতার চরণ রাখতে হবে।
পিছনে মালেকুল মউতের ভয় রাখতে হবে।
নামাজ আদায় করা মানে আল্লাহ রাসুলের সংগে কথা বলা।
(৪) পাটির দোয়া-বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইন্নি আজি ফাতারা ছামাঅতি আল আরদা হানিফাও অমা আনা মিনাল মুশরেকিন।
(৫) রুকুতে বলতে হবে- একবার আল্লাহ রাসুলের চরণে হাজার হাজার ছালাম জানাই। রুকু হতে আল্লাহু আকবার বলে সোজা আলিফের মত দাড়িয়ে সেজদায় যেতে হবে। (ছামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা বাদ যাবে ) আল্লাহু আকবার বলতে হবে।
(৬) সেজদায় বলতে হবে- একবার আল্লাহ রাসুলের চরণে কুটি কুটি ছালাম জানাই।
(৭) প্রথম বৈঠকে বলতে হবে- বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আত্তাহিয়া অতৈবাদ আচ্ছালামু আলাকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
(৮) শেষ বৈঠকে বলতে হবে- আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
(৯) ডানে বামে ছালাম ফিরাতে হবে না। কারন আল্লাহ যখন ফেরেস্তাগন কে আদম কে সেজদা করতে বলে ছিলেন, তখন সব ফেরেস্তা সেজদা করে ছিল, কিন্তু মকরোম আবেদ সেজদা করেনি। তাই সব ফেরেস্তা ডানে বামে তাকিয়ে দেখেছিল যে মকরোম আবেদ সেজদা করল কি না ?
**আযান**
হযরত বিল্লাল (রাঃ) এর আযান, সে আযান দেবার সময় হযরত বেলাল (রাঃ) আল্লাহ রাসুল কে সামনে দেখতে পেতেন। এ যুগে সেই আযান দিতে হবে। প্রত্যেকটি লাইন বলার পূর্বে মনে মনে বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করতে হবে।
আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার
লাইলাহা ইল্লালাহ
লাইলাহা ইল্লালাহ
মুহাম্মদ রাসুল আল্লাহ
মুহাম্মদ রাসুল আল্লাহ
আল্লাহ আকবার
আল্লাহ আকবার।
আযান শেষে মুনাযাত বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
**নামাজের নিয়ত**
১। ফজর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল ফজরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
ফজর (খ) দ্বিতীয় দুই রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, রাকাতে ছালাতিল ফজরে, সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
২। যোহর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহর সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
(খ) যোহর দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
(খ) যোহর তৃতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৩। আসর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল আসরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
আসর (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল আসরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৪। মাগরিব (ক) প্রথম তিন রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ছালাছা রাকাতে ছালাতিল মাগরিব সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
মাগরিব (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল মাগরিব সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৫। এশা (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
এশা (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
এশা (গ) তৃতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
বেতের (ঘ) চতুর্থ তিন রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ছালাছা রাকাতে ছালাতিল বেতের সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
বেতেরের নামাজে দোয়া কুনুতের পরিবর্তে পাঠ করতে হবে
আল হাক্কু মুত্তাকা, ষুরুহাত্তা, ষুর তুমুল মাকাবির। কাল্লা ছাত্তাকা তালমুনা ছুম্মা কাল্লা ছাত্তাকা তালামুন। কাল্লা লাও তালা মুনা, ইলমান ইয়াকিন। লাতারা বুন্নাল জাহিমা, ছুম্মা লাতারা বুন্না হা আয়নাল ইয়াকিন।
**নিম্নরূপ ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে**
ফজর (ক) প্রথম চার রাকাত সুন্নত- প্রথমে নামাজের স্থানে দাড়িয়ে বলতে হবে।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইন্নিআজি ফাতারাছছামাতে অল আরধা হানিফা অমা আনা মিনাল মুশরেকিন।
তারপর- বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আরবা রাকাতে ছালাতিল ফজরে, সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম তাহের বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার, বলে নিয়ত করতে হবে।
নিয়ত করে বলতে হবে বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, কুলহু আল্লাহ হুয়াহাদ, আল্লাহ হুছছামাদ লামইয়ালিদ অলাম ইউলাদ, অলাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
আল্লাহু আকবার বলে রূকুতে যেয়ে একবার বলতে হবে, আল্লাহ রসুলের চরনে হাজার হাজার ছালাম জানাই। রুকু হতে আল্লাহু আকবার বলে সোজা আলিফের মত দাড়িয়ে সিজদায় যেয়ে একবার বলতে হবে, আল্লাহ রসুলের চরণে কুটি কুটি ছালাম জানাই।
এ ভাবে দুই রাকাতের প্রথম বৈঠকে বলতে হবে। বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আত্ত্যাহিয়া অতৈবাদ আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
চার রাকাতের শেষ বৈঠকে বলতে হবে, বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
এরপর ডানে বামে ছালাম ফিরাতে হবে না। সিজদার দিকে দৃষ্টি রেখে দুই হাত হাটুর উপড় স্থাপন করে দুই হাতের শেষ অঙ্গলির প্রথম কর হতে শেষ কর পর্যন্ত বিছমিল্লাহ শরীফ ও সুরা ইখলাছ পাঠ করতে হবে। তারপর দুই হাতের বাকী চার অঙ্গলীর কর শুধু বিছমিল্লাহ শরীফ পাফ করতে হবে।
এটাই তজবী।
তারপর মুনাজাত, বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজ শেষে মুনাজাতে
এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কে ছালাম জানাতে হবে
নিম্নরূপ ভাবে
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবী আল্লাহ তুমি মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইয়া জালিলু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইয়া ছাত্তারু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবুবকর ছিদ্দিক।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ওসমান গনি।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আঃ কাদের জিলানী।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - তৈয়ম।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - তাহের।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - বিল্লাল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইসমাইল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ফাতেমা জান্নাত যার নাম।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইমাম হাছেন।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইমাম হোসেন।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - উমর মিয়া।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবু হামজা।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবু তালেব।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আয়নাল হক।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - মুন্সুর হিল্লাল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - শেখ ফরিদ।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - বোয়ালী কলমদার।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - গাজি।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - কালু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - জোলহাস।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - খাজা খোয়াজ খিজির।
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুন না কেন হে আল্লাহ রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই।
**রোজা**
শুধু উপবাস করলেই রোজা হয়না, দ্বীনের নবীর রোজা হল, তিনি পেলে খেয়েছেন না পেলে না খেয়েছেন। রাস্তায় লাখ টাকার মাল পড়ে রয়েছে। নবী চোখে দেখে চোখ কে বুজিয়েছেন, চোখ তুই আনবার চাইলে কি হবে ? আমার মন যদি না যায়। মনকে বুজিয়েছেন মন তুই আনবার চাইলে কি হবে ? আমি হাতে না ধরলে। হাত কে বুজিয়েছেন হাত তুই আনতে পারবি না। যদি আমি পায়ে হেটে না যাই। পা কে বুজিয়েছেন, পা তুই মালের দিকে যাবি আমি অন্য দিকে যাব। এ পঞ্চ ইন্দ্রয়ের সংগে সংগ্রাম করা, এটাই হল নবীর রোজা।
(ক) চোখের রোজাঃ এই চোখে জীবনে অন্যের মালের দিকে লুলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে না এবং
পরের স্ত্রীরির দিকে কুদৃষ্টি দান করবে না।
(খ) মনের রোজাঃ জীবনে মনে মনে কুচিন্তা করবে না। ভাল মন্দ বিচার করে কাজ করবে।
(গ) মুখের রোজাঃ জীবনে মুখে মিথ্যা কথা বলবে না এবং কাউকে গালি দিবে না।
(ঘ) হাতের রোজাঃ জীবনে হাতে কারো মাল বিনা অনুমতিতে ধরিবে না এবং চুরি করবে না।
(ঙ) পায়ের রোজাঃ জীবনে পায়ে হেটে অসৎ কর্মের দিকে অগ্রসর হবে না।
চোখ বান্দা, মন বান্দা
মুখ বান্দা, হাত বান্দা, পা বান্দা
এ পঞ্চ ইন্দ্রিয় বান্দা
এরই নাম আল্লাহর বান্দা
নবীর খাটি উম্মত।
এর আগে আল্লাহ বান্দা বলে স্বিকার করবেন না এবং নবী উম্মত বলে স্বীকার করবেন না।
বিন্দু মাত্র প্রকাশিত হল
মহা সমুদ্র রয়ে গেল
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এখনে যে কথা গুলি লেখা আছে তা লাল মিয়ার প্রকাশিত বই অমর বাণী গ্রন্থে অন্তভুক্ত ছিলনা। বিশ্ব শান্তিকামী দয়াল মো: লাল মিয়া মৃত্যূর পূর্বে অল্প কিছু কথা অডিও ক্যাসেটে রেকর্ড করে যান, আর তা থেকে শুনে শুনে এখানে লেখা হয়েছে। তাই আপনাদের কারো কাছে যদি এ কথা গুলি নিয়ে কোন দ্বিধাদন্ধ থেকে থাকে তাহলে দয়া করে লাল মিয়ার রেকর্ড করা কথা গুলির সাথে মিলিয়ে নিবেন। রেকর্ড করা কথাগুলি শুনতে এই লিংকে ক্লিক করুন বিশ্ব শান্তিকামি দয়াল মোঃ লাল মিয়ার মুখের বাণী
সারা দুনিয়া সত্যের জামানা হয়ে যাবে
সেই দিন থেকে রেডিও থেকে আজান দিবে
এক সেকেন্ডে সারা দুনিয়া আজান চলে যাবে
যার যার ঘরে ঘরে সব জাতীয় মেয়ে পুরুষ সহকারে নামাজে দাড়াবে
সারা দুনিয়া এক সংগে নামাজ আর ভিবিন্ন কোন দল নাই
সারা দুনিয়া এক দল, এক নামাজ
আর কোন মসজিদ মাদ্রাসায় যাইতে হবে না
হিন্দুদের মন্দিরে, খৃষ্টানদের গীর্জায় যাওয়া লাগবে না
সারা দুনিয়ায় ঘরে ঘরে নামাজ চলবে
খাটি মুসলমান হয়ে গেলএই টা কোরআনে লেখা সারা দুনিয়া মুসলমান হতে হবে। ভারতে লেখা সারা দুনিয়া এক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের বাইবেলে লেখা সারা দুনিয়া এক হতে হবে। সমস্ত মিলাইয়া একই আইন একই দ্বারা যখন হয়ে যাবে
তখন সারা দুনিয়ায় বিছমিল্লাহ কুলহু আল্লাহ
দুইটা সুরার নামাজ থাকবে
আল্লাহ রাসুল দুইটা নাম থাকবে
ভাত আর পানি দুইটা ঔষুধ থাকবে
যা কুদরতে পানি তৈয়ার, কুদরতে ভাত তৈয়ার, আমিও কুদরতের তৈয়ার, সমস্ত কিছুই কুদরতের তৈয়ার। এই কুদরতের উপড় কেউ হাত উঠাইতে পারবে না। কুদরত যে রয়ে গেছে, কুদরতে ফলের ন্যায় মানুষও ধরাইতে পারে, আগে মানুষও ছিল গাছে, গাছে ছিল আপনারা সবাই জানেন। তাহলে এই হিসাবে সারা দুনিয়া এই আইনে আসতে হবে। তাহলে কি করতে হবে ? যার বস্ত্র নাই বস্ত্রহীন ঐ খানে লিখে দিয়াছে, তাহলে ষোল আনা কইলে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায়। তাহলে এই যুগে রেডিও থেকে আওয়াজ আসবে কোর্টে, কোর্ট থেকে থানায় আসবে, থানা থেকে গ্রামে আসবে। কি ? গ্রাম সরকারের উপড় ভার আসবে
আজ কে থেকে যার জমি নাই জমি দাও
যার বাড়ী নাই বাড়ী দাও
যার ঘর নাই ঘর দাও
যার গরু নাই গরু দাও
যার বীজ বিছুন নাই দাও
যার নাঙ্গল জোয়াল নাই দাও
যার চঙ্গ নাই দাও
দাও দাও কইরা কইলে
যার বউ নাই বউ দাও
যার স্বামী নাই স্বামী দাও
দাও দাও কইরা কইলে
সারা দুনিয়ার চেয়ারম্যান, মেম্বার, সরকার
তারা প্রত্যেকেরে সমান মত দিবে
যদি কেহ কম দেয় আর ধরা পড়ে, তাহলে গরুর মত জবেহ করা হবে। দুই একজন ধরা পরলে গরুর মতো জবেহ করা হবে, টেলিভিশন সামনে রাইখা জগতেরে দেখানো হবে তাহলে আর কেউ কাউকে কম দিবে না। ষোল আনা দিবে, যদিও কেউ কম দেয় নেড়ে চেরে সমস্ত সমান করে ফেলবে। তাহলে সেই সময় কি বলা হবে ? মা হাওয়া বাপ আদম হইতে এখন পাইকারী বলা হয় ভাতে খাবে পরে পাইকারী বলা হয়। হাকিম, উকিল মোক্তার দারগা, পুলিশ, চকিদার, দফেদার মেম্বার, প্রেসিডেন্ট, মৌলভী, মুন্সি, পীর দরবেশ, সাধু সন্ন্যাষী আমাকেও আমি বাদ দিব না সমস্ত কে বলা হবে আজ থেকে মা হাওয়া বাপ আদম কি কইয়া হাল বাইছিলো আজতের মাঠে। সেই কথা কইয়া হাল বাইলে অল্প জমিনে বরকত হইবে, আবার নদীতে মাছ হইবে, গাছে ফল হবে জমিনে বরকত হবে, সারা দুনিয়ায় খিল চাষের মধ্যে মাছ পাবে, খিল জমিনে আবার ধান হবে। আগের কথা গুলি এই পর্যন্ত বলা হল। আপনারা বুজে শুনে আপনারা ঠিক মত আইন গুলি করে নিলে, রাজ রাজা যে দেশের রাজা, যে দেশের প্রজা ঠিকই থাকবে। আর কোন নড়চড় হবে না।
নবী বাদশাহী করে নাই
আর আমাদেরও বাদশাহীর কোন দরকার পরবে না।
আমরা নিজ হাতে খেটে ভাত খাব
আর যে যেমনে রাজ রাজা প্রজা গরীব দুঃখি চেয়ারম্যান মেম্বার যত দারগা পুলিশ সবাই তারা এখন যে রকম আছে এ রকম ভাবেই এখন যে-রকম আছে এইরকম ভাবে আইন গুলি চলে যাবে। আর কোন গন্ডগল পৃথিবীতে হবে না। আর আমাদের বাদশাহীর জন্যও দরকার পরবে না। এই পর্যন্তই আমাদের কথা।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এই কথা গুলি যখন হাটতে, বসতে, খাইতে, শুইতে, হাল বাইতে, জাল বাইতে, মসলা বাটতে, তরীতরকারী কুটতে, গাছ থেকে ফল পারতে, গাছ লাগাইতে জিকির হালের মত সারা দুনিয়ায় সর্বক্ষন যখন পাঠ করতে বলবে তখন আল্লাহ ও রাসুল খুশি হবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর খুশি হবে। এই দোয়া পড়ে আর দোয়া নাই আমরা দোয়া চাই।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
এই দোয়া পড়ে আর দোয় নাই আমরা দোয়া চাই
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মুরশিদ, মাগরেব, সানাল, জুনাল, আকাশ, পাতাল, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর হাজী গাজী সকলের চরণে ছালাম জানাই আজই। দয়া করো মোরে কুদরতের জোরে সব কিছু করতে পার এ সংসারে, নুর নবী ভাই তোমার ধর্মের দোহাই, তোমার কুদরতের পা ধরে মাফ চাই। কুদরতে মাফ কর মোরে, ঈমান দাও বেঈমানেরে, আবার যেমন রাজনীতি ঠিক হইতে পারে। কুদরতের জোরে কথা বাতায়ে দাও অন্তরে যেমন কোন ভুলত্রুটি না হয় দুনিয়ার উপড়ে। দিনের পর রাত্রে বন্দি কি করতে আইলাম? কি করি? কোথায় যাই? কোথায় যাব? সব জায়গায় তোমার বাদশাহী কোন জায়গায় কম নাই আকাশ পাতাল নদী নালা বানাইয়া কুদরতে করিতেছ খেলা নুর নবী। কুদরতে গাছের গোড়ে থেকে ফল দিতে পার, মায়ের উদরে সন্তান বানাইতে পার কুদরতে চান সূয্য আকাশে উঠাইতে পার। কুদরতে গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, পশু, পাখি, জীব জানোয়ার, গাছ-গাছরা, মাছ সমস্ত তোমার কুদরতে তৈয়ারী। সকলেই তোমাকে ডাকতেছে সকলেই তোমার উম্মত উম্মতকে শাফায়ত করবে বলে স্বীকার করে ছিল।
কোরআনের উপড় লিখে ছিলে কোরআন অনুযায়ী তুমি তোমার উম্মতের আশি হিজরীর পর এ যুগে স্বয়ং তোমার উম্মতেরে শাফায়ত করতে ভিশন করে, না করলে উপায় নাই। নুর নবী তুমি তোমার উম্মত। সব জায়গায় গাছের পাতা লতা বলিতেছে মোহাম্মদ রাসুল মানব জাতী সারা দুনিয়া করে দিয়েছি ভুল, স্বপ্নে জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন জানতে পারে। স্বপ্নেই হেদায়েত কর তুমি তোমার উম্মতেরে, স্বপ্নেই ভুল ভাংবে, সারা দুনিয়া যেমন ভুল ভাংতে পারে তবেই তো হিন্দু, মুসলমান মৌলভী, মুন্সি, পীর, ফকির, সাধু, সন্ন্যাষী মারামারি কাটা কাটি গন্ডগোল হবে না এ সংসারে।
নুর নবী তুমি তোমার উম্মতের রোগতার বেমার আজার, বিষ, ব্যাথা, বিতলা বসন্ত সর্দি কাশ, মামলা, মোকদ্দমা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চুরি, ডাকাতি, মেঘ, তুফান, রোদ্র, এ সমস্ত গজব তুমি তোমার উম্মতের উপড় নাজিল করে দিয়েছ যাকে বেমার বলে।
নুর নবী তুমি তোমার কুদরতের হাত লাগাও, তুমি মার উদরে সন্তান বানাও মা বলতে পারে না। গাছের গোড়ে থেকে ফল দাও গাছে টের পায় না। গাভির ভিতরে দুগ্ধ দাও গাভী টের পায় না। হাসমির ভিতরে ডিম বানাও হাসমি টের পায় না। এমনি ভাবে কুদরতের হাত লাগাও সারা দুনিয়া বিস্তার। এই যে ভাত, মাছ তরিতরকারী, আম কাঠাল, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, ধান, চাউল, হলুদ, মরিছ, পিয়াজ, রসুন কত কমু সর্বময় সব জায়গায় তোমার কুদরতের হাতের তৈয়ারি ঔষুধ এগুলি বিশ্বাস কইরা খাইলে রোগ দুরে যাইতে পারে তবুও ডাক্তার কবিরাজ দিয়াছ। তোমার দ্বারা কিছুই লাগবে না এ সংসারে এগুলি তোমার কুদরতের হাতের বানানো ঔষুধ, এগুলি বিশ্বাস কইরা খাইলে রোগ দুরে যাইতে পারে তবেই তো শান্তি পাইবে তোমার উম্মত এ সংসারে। নুরনবী তুমি তোমার উম্মতের রুজি রোজগার বরকত সমস্ত তুমি তোমার কুদরতে দান কর, আবার যেমন ভাতে মানুষ বিছরাইতে পারে, এমনি ভাবে ধন তোমার কাছে রয়ে গেছে, তুমি দয়া কর, আমি তোমার উম্মতের জন্য ভিক্ষা চাই। তুমি পাক মুখে বলেছ, শেষ জামানার উম্মতের কি উপায় এখন যদি আমি স্বর্নের পাহাড় ভেঙ্গে খাই। ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, ফাতেমা, শের-আলী স্বয়ং তুমি নিজে না খেয়ে উম্মতের জন্য রেখে দিয়েছে, ধন, রত্ন, লজবের মানিক, খেত খামারী, সিন্দুক, বন্ধক, থালা, বাসন এমনিতে তেলের খনি আজ অব্দি উম্মতের দান করতেছে। পুকুর পুশকুনি জায়গায় জায়গায় রয়ে গেছে ডাক দিলেই পাওয়া যাইতো, তোমার উম্মতে চুরি, ডাকাতি, অন্যায়-অত্যাচার জুলুম কইরা যাইতেছে এ জন্য চাপাইয়া দিয়াছ। এ যুগে কি প্রকারে দিবা স্বপ্নে জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন জানতে পারে, স্বপ্নেই জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন দেখতে পারে স্বপ্নেই যেমন সারা দুনিয়ায় ঘরে ঘরে পাইতে পারে। তবেই তো আগিলা জামানা হয়ে যাবে, কোন অভাব থাকবে না। আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য, এ যুগে তোমার উম্মত কে দিতেই হবে।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মুখ দিয়াছ আহার চাই কি প্রকারে দিবা তুমি জান ভাই, আমি তো একটা বানাবার ক্ষমতা নাই। শুধু করি অন্যায়, কোরআনে বলিয়াছ অন্যায় স্বীকার কইরা মাফ চাইলে তুমি মাফ করবা, তুমি খালাশ কর। তুমি তোমার উম্মতেরে দিয়াছ, যারা যারা দিয়াছে যারা যারা এর মধ্যে অংশ আছে প্রত্যেকের জন্য, যারা যারা কষ্ট কইরা লাল মিয়ার বাড়িতে হেঁটে লইয়া আসছে, সারা দুনিয়ার জন্য, যারা যারা সামনে দিয়াছে প্রত্যেকের জন্য সারা দুনিয়ার জন্য আমি সারা দুনিয়ার জন্য বলিতেছি, সারা দুনিয়ার জন্য মাফ চাই। তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর। সারা দুনিয়া যেমন শান্তি পাইতে পারে। মুখ দিয়াছ আহার দিতেই হবে। কি প্রকারে দিবা তুমি জান ভাই, আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য। আজ অব্দি সোনাপুর শহর স্বর্ণের মসজিদ রয়ে গেছে, কাঠুরিয়া কুড়াল বেইচ্চা ভাত খাওয়াইছে তার জন্য গাজী, কালু, জুলহাস তোমার কাছে স্বপ্নে মাফ চেয়ে ছিল, তুমি দিয়ে ছিলা। যে পেয়েছে ঘরে ঘরে পেয়েছে, যে পায় নাই, ঘরেও পায় নাই বাহিরেও পায় নাই। এমনি ভাবে লাল আর্বতনে তুমি কুদরতে মেঘ সারলে শিলের মত মেঘের পানির মত স্বর্ণ দিয়া বুজাইয়া যাবে, কোন অভাব থাকবে না। আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য, এ-যুগে ভিক্ষা দিতেই হবে ।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কোরআনে লিখিয়াছ তুহি তুহি সব রং মেরা, তুহি হায় সব রঙ্গেই খোদা। সব রঙ্গেই তোমার নাম নিশানা রয়ে গেছে, নাম কমু কত ? যেমন গাছের গোড়ে থাইকা নানা রকম ফুল, নানা রকম ফল তৈয়ার হইতেছে, এমনি ভাবে নাম নিশানা রয়ে গেছে। তুমি তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়ার সকলের বাদশাহী উঠাইয়া দিয়া স্বয়ং তুমি বাদশাহীর মধ্যে বইসা গেলে তুমি হুকুম করলে আমি কেন যেমন ইসমাইলের ছুড়ি কথা বলে, পাথর দুই খন্ড হয়ে যায়, পাথরে কথা বলে এমনি ভাবে হুকুম করলে গাছে মাছে, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, পশু, পাখি, জীব জানোয়ার মাটি, দূর্বা চান সুর্য্য জঙ্গলের হরিণ, লঙ্কার, হনুমান আগে যে কথা গুলি বলে ছিল, সেই কথা গুলি খবরের কাগজে, টেলিভিশনে, গানে, বইয়ে পুস্তুকে কত কমু সাত ভাই চম্পার কাহিনী নতুন করে জাগাইয়া দাও। সারা দুনিয়া যেমন শুনতে পারে বুজতে পারে, চিনতে পারে, জানতে পারে, তবেই তোমার উম্মত হেদায়েত হয়ে যাবে। আমার হেদায়েত লাগবে না।
তুমি তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর
ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার
আখেরাতে করবে বলে স্বীকার করে ছিলে
জীবন ভরা যুগে যুগে আখেরাত চলে গেল ফিরে এলো না
যে মরে তারই আখেরাত, যে মরে তারই কিয়ামত
যে মার উদরে নতুন আসে তার জন্য এই দুনিয়াটা বেহেস্ত
এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর
সারা দুনিয়ায় কোন যুগে বাদশাহী করে নাই
এ যুগে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার
সত্য বিচার কইরা, উম্মত লইয়া
সারা দুনিয়ায় তোমার বাদশাহী করতেই হবে, আমি ভিক্ষা চাই
হাজার হাজার কোটি কোটি ছালাম জানাই
আল্লাহ রাসুলের চরণের উপড়।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবি আল্লাহ্
তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম জালিলু তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া ছাত্তারু
তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
**বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম**
আচ্ছালামু আলাইকুম, আবু বকর সিদ্দিক।
আচ্ছালামু আলাইকুম, উসমান গনি।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আব্দুল কাদের জিলানী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- তৈয়ম।
আচ্ছালামু আলাইকুম- তাহের।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বিল্লাল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইসমাইল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ফাতেমা জান্নাত যার নাম।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইমাম হাছেন।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইমাম হোসেন।
আচ্ছালামু আলাইকুম- উমর মিয়া।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আবু হামজা।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আবু তালেব।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আয়নাল হক।
আচ্ছালামু আলাইকুম- মুনসুর হাল্লাল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- শেখ ফরিদ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বোয়ালী কলমদার।
আচ্ছালামু আলাইকুম- নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
আচ্ছালামু আলাইকুম- গাজী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- কালু।
আচ্ছালামু আলাইকুম- জুলহাস।
আচ্ছালামু আলাইকুম- খাজা খোয়াজ খিজির।
আচ্ছালামু আলাইকুম- লাইলি।
আচ্ছালামু আলাইকুম- মজনু।
আচ্ছালামু আলাইকুম- শিরী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ফরহাদ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বোলহান।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বইদ্দা জামান।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ছবরে মুলুক।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইশাহ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- জুলেখা।
আচ্ছালামু আলাইকুম- এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, ইটা, চাকা, গোবর ধুলা, রং পানি, মাইর কিলের ভয়ে লুকিয়েছে কেউ গাছের ভিতর, কেউ মাছের ভিতর, গরুর ভিতর, ঘোড়ার ভিতর, বকরীর ভিতর, খন্দকের ভিতর, পাথরের ভিতর, বোয়াল মাছের ভিতর, কুমিরের ভিতর, কুয়ার ভিতর, আগুনের ভিতর, শাপলা ফুল, চিনাই, ধান, চাউল, পিয়াজ, রসুন হলুদ, মরিছ, আটা ময়দা কত কমু লাজন্তি গাছ সমস্ত কত কমু পশু পাখি সমস্তের মধ্যে লুকিয়েছ। যাহার নাম দোযখ বানাইয়া দিয়াছ।
কোন কর্মে কম করেন নাই যেন যুগে যুগে সংক্ষেপে বলতেছি, যুগে যুগে আমি অন্যায় করে যাইতেছি, অন্যায় থেকে ক্ষমা চাই, জেল খানা থেকে মুক্তি চাই।
(৯মিনিট ৫০ সেকেন্ড থেকে ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড এই ৪ সেকেন্ড কি বলেছে তা বুজতে পারি নাই বিধায় লেখা হয় নাই)
যেমন আসতে পারে এই ক্ষমতা ভারাইয়া দাও, কা কে কি দিবা স্বপ্নে ঘরে ঘরে জানাইয়া দাও। যেন আসবে বসবে বুজবে চিনবে জানবে, তবেই তোমার নামাজ, রোজা, আইন কানুন, গুন গান, সারা দুনিয়া গাইবে।
হে নুর হে নবী তুমি সারা দুনিয়া লইয়া
কোন যুগে বাদশাহী করো নাই
এই যুগে তোমার উম্মত লইয়া
সারা দুনিয়ার বাদশাহী করিতেই হইবে
হে নুর নবী তোমার কুদরতে সারা দুনিয়া গাছে কথা বলে ছিল, মাছে কথা বলেছিল সমস্ত কত কমু চান সূর্য্য কথা বলে ছিল, পাথর দুই খন্ড হয়ে যায়, ছুরি পর্যন্ত কথা বলে ছিল, পাথর পর্যন্ত কথা বলে ছিল। কথা গুলি সব জায়গায় বলে ছিল। এই যুগে সমস্ত বন্ধ হয়ে গিয়াছে। নুর নবী তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর কি হয় তা বলা যায় না। আবার না বলা ও যায় না। সে জন্য বন্ধ হয়ে গিয়াছে। এ জন্য আমি বলতেছি
লেকচারের অতি প্রথমে আমি বলতেছি
স্বভাব ভাল কর, অভাব দুরে যাবে
স্বভাবের দোষে অভাব
মুখ থেকে মিথ্যা কথা যলদি ছাড়
মুখটা পাক পবিত্র কর
অল্প দিনে বাংলা পাইতে পার।
আল্লাহ কাজী হবেন, রসুল খলিফা হবেন। লালমিয়া মাত্র চকিদার জানাইয়া যায় জয়নাল আবেদিন থাকবে সমস্ত পৃথিবীর রাষ্ট্রের অধিকারী, তারপর হবে হিন্দু মুসলমান সূক্ষ্ণ বিচার
তার আগে আয়ুব খান, মিস্টার জিন্নাহ, জহর লাল, মাওলানা ভাসানী, ইয়া হিয়া খান টিক্কা খান মজিবর, জিয়া খান, এরশাদ যে কোন নেতাই হোক না কেন এ জামানায় ভোট নিয়ে দলের দল লোক সেজে মারা মারি করতে করতে সারা পৃথিবী তুলার মত উড়িয়ে দিবে। সমস্ত পৃথিবীর নদী নালা শুকিয়ে যাবে, বরকত দুরে যাবে, এক ধানে এক ধান হবে, সোয়া হাত উপড়ে সূর্য্য আসবে নিজের জমি তামা হবে, মস্তক গলে মাটিতে পড়বে, শেয়াল কুকুরে চেটে খাবে, কাগজের টাকা দুরে যাবে, চারার মধ্যে নম্বর দিবে তবুও খর্দজাল খাজনা খাবে। হাটের খাজনা, ঘাটের তহশিল জায়গা জমিনের খাজনা যদি বন্ধ না হয় তাহলে বাংলা পেলে কোথায় ? বাংলা পেয়েছে গরু, ঘোড়া ভেড়া, বকরী দিনের বেলা খায় রাত্রে বাংলায় চলে যায়। বাংলা পেয়েছে শিয়াল, শুকুনে মরা খায় বাংলায় চলে যায়, বাংলা পেয়েছে রেডিও ঢাকা কথা বলে চিটাগাং যায়। এ ছাড়া মানুষে বাংলা পান নাই। বাংলা গোরস্থানে যায়। বাংলা যদি ঠিক রাখতে চান? কিছু জিনিষ থাকবে কিছু জিনিষ বাদ যাবে। বাংলা যদি ঠিক রাখতে চান ভেজলিন, পাউডার, স্নো আলতা জলদি ছাড়েন মেয়েদের মাথায় লাল তেনা বান্দা বন্ধ করেন।
তাস খেলা, জুয়া খেলা, বল খেলা, ঘুষ খাওয়া
এ সমস্ত আর্বজনা কাজ গুলি ছারেন।
পাটে পানি দুধে পানি মিথ্যা কথা আড়তদারী
গরীব কে কম মেপে দেওয়া
পাল্লা বাটখারা ঠিক করেন, খারাপ কাজ গুলি ছারেন
তাহলে প্রত্যেকটা মুসলমান হইতে পারেন
আর না হলে একটা মুসলমান ও নাই।
আমরা পার্থিব খাবারের জন্য সারা দুনিয়া আমরা বেঈমান হয়েছি ভাই। বেঈমানি কাজ হইতে যে পর্যন্ত না বাচব সে পর্যন্ত খাটি মুসলমান হতে পারব না। বেঈমানি কাজ গুলি না ছাড়লে আমরা ঈমান ঠিক রাখতে পারব না। যদি এই আইন, এই আইন সমস্ত মিলাইয়া সারা দুনিয়ার রাজা প্রজা গরীব দুঃখি সমস্ত একত্রে এই কথা গুলি বুজাইয়া মিল কইরা তারপরে রাষ্ট্রে যখন এই আইনের মধ্যে এসে পরবে, সারা দুনিয়ার রাজা এরশাদ আউলিয়া হলে সারা দুনিয়া আউলিয়া হয়ে যাবে আমাদের এই বাংলার সারা দুনিয়া আউলিয়া হয়ে যাবে। প্রত্যেক রাজ রাজার যেখানে যার রাজত্ব আছে রাজা ঠিকই থাকবে প্রজা ঠিকই থাকবে, উজির নাজির ঠিকই থাকবে, চেয়ারম্যান, মেম্বার ঠিকই থাকবে দারগা পুলিশ ঠিকই থাকবে আর কোন নষ্ট হতে পারবে না। যারা বেঈমানি করবে তারা বাসদ হয়ে যাবে। এই পর্যন্ত আমার কথা ইতি হল, বেঈমানি যারা করবে তাদের রাজা হবে না। ঈমানদার যারা চলবে এই আইনের ভিতরে তারাই চলবে।
সারা দুনিয়ায় রেডিওর মধ্যে বিচার থাকবে
সারা দুনিয়ার ঘরে ঘরে থেকে খবর পৌছাবে গ্রাম সরকারের কাছে
গ্রাম সরকার পৌছাবে থানায়, থানা থেকে পৌছাবে কোর্ট কাচারীতে
কোর্ট কাচারীতে থেকে পৌছাবে রেডিওর মধ্যে
ন্যায় অন্যায়ের বিচার সমস্ত সারা দুনিয়ায় জানাতে হবে।
রেডিও থেকে জানানো হবে ন্যায় অন্যায়।
কেউ একবার যদি অন্যায় করে আর একটা প্রাণীও যদি মাফ চায় তাহলে তাকে খালাশ দিতে হবে যে না জেনে করছে। আবার যদি অন্যায় করে না বুঝে করছে বুঝে নাই আবারো যদি অন্যায় করে ছাড়া হবে যে সে মনে ছিল না। এই রকম ভাবে একেক কর্মে অহুদের যুদ্ধের মধ্যে আমি বলব কত ? অহুদের যুদ্ধের মধ্যে একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত মাফ করে ছিল। যুদ্ধ করতে করতে সাতবার পর্যন্ত মুসলমানের কুলে এসেছিল আবার বেঈমানের কুলে গিয়ে ফিরা যুদ্ধ করে ছিল। এই রকম একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত পার পেয়েছিল, তারপর সে যুদ্ধে কি করে ছিল ? উমর মিয়া কে সংঙ্গে দিয়ে দেয়, কাঠের তলোয়ার, কাগজের ঢাল নিয়ে সেখানে চলে যায়, এক প্রান্তে থেকে অপর প্রান্তে চলে যায় আর মারো মারো বলে ছিল, তাহলে থাই ধরি হাক মেরেছিল, মারো কাফের মারো পুরুষের পুরুষঙ্গ পর্যন্ত খুলে গিয়ে ছিল হাই ধরি হাকের চোটে। তাহলে সেই যুদ্ধের মধ্যে একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত রেহাই করেছিল। আমাদেরও একেক কর্মে সাতবার পর্যন্ত রেহাই করতে হবে। তারপরে আর কোন প্রাণীও যদি বলে তাহলে আর কারো কথা মানবে না তার হাতের বাজু কাটা হবে, দোনো হাতের বাজু কাটা হবে। জুলনা তাদের কাধে দিয়ে জুলনায় লেখা থাকবে চৌদ্দ বাড়ি তফাত গেলে ভিক্ষা পাবি তয় নিজে গুনে যাবি, মেয়ে তার সংঙ্গে দেওয়া হবে। এতদিন চুরি কইরা ভাত খাওয়াইছে এই জন্য মুখে ভাত ওঠাইয়া দেবার এবং ভিক্ষা জুলনায় থুইবার জন্য। এই সাজা গুলি মানুষ দেখলে একবার দুইবার তিনবার আবারও বলতে হয় যদি এক বাড়ি কম কয় দিবে এক থাপ্পর দুই বাড়ি কম কইলে দুই থাপ্পর, তিন বাড়ি কম কইলে তিন থাপ্পর, এই থাপ্পর টা খাইয়া ঘুইরা পরে না যেমন মরে, মরলে বিচার চলে গেল।
এই রকম ভাবে যদি থাপ্পর গুলি
খবরের কাগজে, টেলিভিশনে, গানে, বইয়ে
সব জায়গায় উঠাইয়া দেয়
তাহলে পৃথিবীতে আর কারো অন্যায় কেউ করবে না
সারা দুনিয়া এক আইনে আসতে হবে
এই আইনে না আসলে আমরা কেউ শান্তি পাব না।
লাল মিয়া কয় তিন জায়গায় দোষী
এক খানে বলে ছিল নবী মেরাজ চলে গিয়েছিল
মেরাজ হইতে সাতাইস বছর চলে যায়
আজই অব্দি স্বপ্ন গুলি মেরাজ
মেরাজের মত সংবাদ পাইতেছে
যে যা অন্যায় করে, অন্যায় থাকিয়াছে স্বভাবের দোষে এই সুরুত গুলি দেখতে পায়। আর মানুষের কাজ করলে মানুষের সুরুত দেখতে পায়।
তাহলে সে মেরাজের বয়ান যে মসজিদে আরম্ব করেছিল, সে মসজিদে আছিল কয়েক জন লোক তারা বলে ছিল আপনার কথা মানি কিন্তু আমাদের বান্দা পইতাটা থাক, তাহলে সে খানে যদি বলত পইতা রাখতে পারবি না তাহলে হিন্দু থাকত না, সবাই মুসলমান হইয়া যাইত। আরেক খানে এই মেরাজের বয়ান আরম্ব করে ছিল, সেখানে বলে ছিল আপনার কথা মানি কিন্তু আমাদের নেংটি টা থাক। তাহলে এখন আমাদের রায়তে বলে উত্তরা ভুত কাছা দেয় নেংটি ফালাইয়া তাহলে সেই কাছার দাগা টা ফেলে দিলে আর নেংটি রাখতে পারত না। তাহলে তাহাদের উত্তইরা ভুত কইতনা। তাহলে আরেক জায়গায় এ রকম মেরাজের বয়ান আরম্ব করে ছিল, আপনাদের প্রত্যেকের জানা আছে, আমি বলব কত ? সে খানে বলে ছিল আমাদের মাথার টিকি টা থাক বুজিয়ে ফেলে দিবে তাহলে সেই খানে রয়েছিল সেই খানে মারোয়ারী এই মারোয়ারী থেকে জাত গুলি আমরা বহুত হয়ে গিয়েছি।
কথা কইলে কথার কোন মাথা নাই
অনেক কথা বুজে শেষ নাই
ধানের নামে শেষ নাই
মাছের নামে শেষ নাই
গাছের নামে শেষ নাই
মানুষের নামেরও শেষ নাই
শেষ নাই বিদ্যার ও কোন শেষ নাই
আকাশ পাতাল যতই ঘুরুক না কেন
চন্দ্রের মধ্যে যাক, সুর্যের মধ্যে যাক কোন শেষ নাই।
তার কুদরতে সব কিছু রয়ে গেছে যেমন কুদরত লাগাইয়া দিয়াছে চিড়াখানার মত কুদরত লাগাইয়া দিয়াছে। সূর্য্যে ষোল আনা ডিউটি দিতাছে চন্দ্রে ষোল আনা ডিউটি দিতাছে সব তো উম্মদের জন্য হুকুম করেছেন নবী। যে সুর্য্য তুমি না থাকলে ভিজা পোড়া শুকাইতে পারবে না। আবার সুধাইতাছে চন্দ্র তুমি না থাকলে রাত্রে চলতে পারবে না। আমার উম্মত দুঃখ পাবে, সেই জন্যে তোমাদের ডিউটি দিতেই হবে। তুমি অন্যায় করেছ এবার অন্যায়ের ডিউটি উম্মতের জন্য আমায় দাও।
এই রকম হুকুমে খাইছ টাকা দিবানা ঐ খানে লেখা খাইছ টাকা দিবা না বসত বাড়ী থাকবে না। এই দেহে যা যা খেয়েছি নিজ চোখে দেখে চোখকে বুজাতে পারবে না সে চোখ তো লগে দিছিলাম চোখে দেখছছ, নিজ হাতে জমিন বুনছছ, নিজ হাতে গাছ লাগাইছছ সেই গাছে ফল হইছে সেই ফল খাইয়া তুই কইছছ মরলে বেহেস্ত, এখন কোথায় যাবি বল? এই হাতে ধইরা গাছ লাগাইছছ, পায়ে হেটে গেছছ, আমি সংক্ষেপে বলতাছি, পায়ে হেটে গেছছ, বল এখন কোথায় যাবি ?
তখন এই হাত পা গুলি লগে থাকবে না
ঐ ফলের ভিতর রুহের বিচার
এই খাচতানের বিচার নাই
রুহুর বিচার, রুহু দ্বারা আবার ফল হতে হবে
মুরগা মুরগী হতে হবে, জান দিয়ে শোধ করবে
কোরআনে লেখা আমার মুখের কথা না।
হাশরের দিন কিয়ামতে জান দিয়ে শোধ করবে
যে মরে তারই হাশর, যে মরে তারই কিয়ামত
যে মার উদরে নতুন, আবার হতেছে তার জন্য এটা বেহেস্ত
চিরজীবন বেহেস্ত থাকবে, এটা কোন দিন দংশ হতে পারে না।
দংশ হতে পারে না কেন ? কারন আল্লাহ রাসুলের হুকুমে তৈয়ারী।
তৈয়ারী জিনিষ কোন দিন ধংশ হতে পারে না।
তবুও ধংশ জায়গায় জায়গায় দেখায়, তুফান বানিয়ে সাগর ভেসে পাহাড়ে পর্যন্ত পানি হয়ে তলিয়ে যায়। মানুষ, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী ভেসে চলে যায়, এই রকম ভেসে চলে যায় এটার নাম কেয়ামত, সারা দুনিয়া দেখাইতাছে, তবুও আমরা বুজিনা। বুজিনা তবুও আমরা রাজনীতির জন্য পারাপারি বাহাদুরী করি। গাজী বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই। কালু বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই, যে আজ বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই বনে চলে গিয়াছে তাহলে রাজ রাজার বাদশহী কয়দিন করেই বিনাতক্তা ফেলে দিয়ে বনে চলে গিয়াছে।
আজ অব্দি চিরিয়াখানা রয়ে গেছে, আজ অব্দি যাদু ঘর, লাল মিয়া কয়
সারা দুনিয়া জাদুঘর বানাইয়াছে। কেন ?
চন্দ্র করে দুই খন্ড, চিরিয়াখানা গেলে দেখতে
পাবেন, জোড়ায় জোড়ায় রেখে দিয়েছে, মানুষে তাদের খোরাক দেয়।
তাহলে নবী আল্লাহ উম্মতের আহার তৈয়ার করতেছে এর নাম হল আল্লাহ কাজী, রসুল খলিফা, তাহলে নবী যা বলে আল্লাহ তাই করে। নবী যা বলে চান সুর্য্য তাই করে, গাছ পালা গরু ঘোড়া, ভেড়া, বকরী নবী যা হুকুম করে তাই করতে হয়। না করলে উপায় নাই। নবী কে ছাড়া কোন জিনিষ তৈয়ার হয় নাই। নবী যদি না হইত এই দুনিয়া অন্ধকার থাকত
নবী চন্দ্র কে দুই খন্ড করে বুজাইয়া ছিল যে এই দুই খন্ড করে যদি দেখাও তাহলে তোমার কথা শুনব, তোমার দ্বীন মানব, তোমার কথা মানব, তোমার আইন মানব তখন দুই খন্ড করে তার মাথার আঙ্গুল দিয়ে টান মেরে ছিল।
( অডিও ক্যাসেটের দ্বিতীয় পার্ট লাল মিয়ার ছেলে জয়নালের উদ্দেশ্যে )
আমি স্বিকার করলাম, মালেক ভিক্ষা নিতে চায় আমি দান করলাম। তুমি স্বপ্নের কথা যা শুনেছ কানে শুনেছি মনে মনে সেই সপ্ন যে বৃথায় যাবে না বাবা, যে আগের যুগে যে রকম আক্রমন করেছিল, এরকমই ভাবেই স্বপ্নটা ঠিক সেই ভাবে তুমি দেখেছ, সেই স্বপ্নের কথা তুমি প্রচার করে দিয়েছ, যেন আগে দুই তিন জন ছেলে ছিল আর পিছনে পিছনে লোক ছিল, তারা পিছনের লোক ভেগে গেল। আর আমরা এই ভাবে চলে ছিলাম সেই খানে
তুমি রূপ দেখেছিলে যেমন সাহশ মাছ বাবা গো সেই সাহশ মাছ আমিই.ছিলাম যুগে যুগে এই যুগে মানুষ কুলে এসেছি আবার সেই রূপ বিবর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। হাতি আমি ছিলাম, সেই হাতি রূপে তুমি দেখেছ, যে ভাবে নবী জন্ম নেয় নাম দিমু কত ?
ক্যাসেট বানাইয়া দিলাম সেই ভাবেই তুমি দেখেছ সেই স্বপ্ন কোন দিন ভুল হতে পারে না বাবা তুমি কোন ভয় পেয়ো না, বাবা তুমি মনের মধ্যে কোন দুঃখ নিওনা ভেঙ্গে বললে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায় বাবা বলব একবার কিন্তু বাবা তুমি স্বপ্নের ঘরে তালা দিলে তখন তুমি, স্বপ্ন আরেকটা যখন তুমি পালঙ্কের শুয়ে চকির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলে আমি চৌকির নিচে ছিলাম, তুমি আমাকে টেনে উপড়ে উঠাইতে চেয়েছিলে, বাবা গো এখনো আমাদের উপড়ে উঠা হয় নাই। যখন আমরা একত্রে হবো তুমি দেশে আসবা আমরা একত্রে হবো, সেই দেশে কি রাষ্ট্র কি ভাবে চলছে কি আইন চলছে সেই দিকে যখন বই পড়বে জানবে শুনবে স্বপ্নে খেলাবে আর বই বানাইয়া দিছি বইয়ের মধ্যে কিন্তু রাষ্ট্র গুলি আসবে ঠিক কি না সমস্ত পরিক্ষাতেই যখন আসা হবে বাবা তাহলে আমরা আমরা একত্র হয়ে গেলে সারা দুনিয়া আবার লোকে জানবে, শুনবে বাবা গো আর আমি বলব কত ? জীবনের মত কইরাও শেষ নাই বাবা কিন্তু তুমি সেই কারাগারের জয়নাল আমি সই দিয়েছি টিপ দিয়েছি, এই মালেক সারা দুনিয়ার মালিক ছিল। মালিক সে নষ্ট করে দিয়েছে, সে মালেক এখন বিপদে পড়েছে বাবা। তোমার টাকা সে টাকা আমিই দেব কোন দিন দুঃখ করবে না বাবা গো, তার জন্য চিন্তা করবেন না বাবা গো, আমি আর বলব কত, জান দিয়ে তুমি শোধ করে টাকা ওঠাইয়া দিও মালেকের, আর বিদেশ থেকে আসবার আগে দিতে পার তো দিলে আর না পারলে নাই যখন তুমি বাড়িতে আসবে তখন টাকা যে প্রকারে পারে টাকা ওঠাইয়া দেওয়া হবে বাবা, আপনাকে ঠকানো হবে না এই মনে মনে চিন্তা বাবা, সারা দুনিয়া যেমন আমরা টাকা কিছুই না, সারা দুনিয়া যেমন আমরা একত্রে চিন পরিচয় দিতে পারি, এই মানুষ গুলিই আর কোন দিকে রাজ রাজা একত্রে হইতেছে, বাদশাহী ছেড়ে দিয়ে আবার প্রতেক্যে বিখারীর বেশে যাইতেছে আপনার সেই খানেও রাষ্ট্রে কইতেছে কানে শুনতেছেন, ভুল করতে পারবেন না বাবা তাহলে এখন এই যুগে থেকে আমরা যেমন উদ্ধার হইতে পারি, প্রত্যেকের লগে চিনা পরিচয় স্বপ্নের ঘরে, জাইন্না শুইন্না একাত্র হইতে পারি, সেই কাহিনি আপনি দিয়েছেন শেষ কাহিনি দিয়েছেন কিন্তু নাম বলব কত, দুই বার শেষ কাহিনি দিয়েছেন, আমরা যেমন এরকম কান্না কাটি করে একাত্র রাষ্ট্র ঠিক করি আমরা যাইতে পারি সেই দোয়া চাই । প্রত্যেকের জন্য আপনার কাছে দোয়া চাই আমিও দোয়া করি আল্লাহ রাসুল কুদরতে যেমন কবুল করে সারা দুনিয়া যেমন হইতে পারে, বাবা গো যেই দিন আমি পাড়ের ঘাটে বসাইয়া দিয়ে ছিলাম আমি বলে ছিলাম বাবা গো তুমি সারা দিন বসে থাকবে সন্ধ্যা হলে আসরের টাইম হলে একজন আসবে সেই তোমাদের খোরাক নিয়ে আসবে আমাদের খাটনি লাগবে না বাবা, নিজে বেয়ে পাড় হয়ে যাবে আবার সেই দিয়ে যাবে খোরাকের টাকা। বলে ছিলাম বাবা সে ঘাটে তুমিই বসে ছিলে, সেই আগের যুগে আর এই যুগে একই কথা যুগের বিবরণ আমি বলব কত বাবা গো মনের মধ্যে কোন দুঃখ নিওনা কষ্ট নিও না, প্রত্যেকেরে মাফ করে দিও, কিতাবে লেখা আছে ইমাম হোসেন মাফ করে দিবে না, প্রত্যেকে ইমাম হোসেনের দায় নেবে, নবী কিন্তু ইমাম হোসেনের পুত্র জয়নাল সে মাফ করে দিবে আগের কথা সেই কাহিনি এই যুগে আরম্ব হয়েছে সারা দুনিয়া জোড়া কলঙ্কের ঢোল
সারা দুনিয়া বাবা গো আমরা একাত্র হয়ে যেন বাজাইতে পারি, ধর্মের ঢোল বাজাইতে পারি
সারা দুনিয়া যেমন শান্তি পাইতে পারে এই দরকার
টাকা পয়শা কিছুই না।
তোমার ভাইকে তুমি দেখেছ আর টাকার কথা বলব কি, যা আমাদের কিসমতের বাটে আছে তাই হবে। সংক্ষেপে আমি বলতেছি বাবা আমাদের কিসমত বাদ সেটা আমাদের ভাগ্য পরিক্ষা, এই যুগে ধরা দিতেই হবে, টাকার জন্য চিন্তা করবেন না, কিন্তু দ্বীনের জন্য, দ্বীন দ্বীনা দ্বীন মোহাম্মদিন নাম করো শাই আখেরী নবী দ্বীন পয়গম্বর, এই যুগে শেষ আখেরী নাম রাখা যায়, যখন না কি বিদায় হয়ে যায় ইমাম হোসেন মক্কা ছেড়ে দিয়ে যায় সেই সময় কি বলে ছিল, বাবা গো সেই কথা আখেরী ছালাম লও ওহে নানা জান, তোমারই হোসেন যায় কারবালার ময়দান, কারবালার ময়দানে যাইয়া দিবে গলা কাটাইয়া, কাদবে সারা দুনিয়া হোসেন হোসেন করে কাদবে সারা জাহান, (এখানে কয়েকটা কথা বুজতে পারি নাই)
নবীই সাপ নবীই বিচ্ছু
নবীই চৌকিদার, নবীই জোতা সেলায়
আবার নবীই শাহস মাছ
নবীই সব কিছু এক হয়ে সব কিছুর খেলা খেলাইতেছে
সেই কায়ার স্বপ্ন তুমি দেখেছ, তাতে ভয় পাবা না, এই যুগে আর ভয় নাই। ধর্মের ঢঙ্কা যেমন আমরা বাপ বেটা মালেক একাত্র তিন জন হয়ে এখানেই আর এই দুনিয়া কিছু করতে পারবে না, কুদরত জয়নাল আমার, তোমার মধ্যে ঈমান আসতেছে, কুদরত জয়নালের মাথা সে সময় থাকবে না, যে মালেক আগে ছিল সেই মালেকই এখানে এসে পৌছাইছে আর থাকবে না যেই খানে না কি বলেছে সিঙ্গায় ফুক দিবে সারা জাহান চূর্ণ্য হয়ে যাবে সে ও আমাদের ঘরে, বাবা গো কালু নাম সেও আমাদের ঘরে, চিন্তা করবেন কি ? আর চিন্তা করার কোন কারন নাই, বাবা গো যে ফুক দিবে সেই আমাদের ঘড়ে বাবা গো আমি নাম বলব কত, এই পর্যন্তই বিদায় বাবা, বাবা গো এখনো আপনার স্বপ্ন গুলি বাকি রয়েছে বাবা গো, এখন ওঠাইয়া তারাতারি সে বিদেশ থেকে মক্কা থেকে যেমন আগে মক্কা ছিল মক্কা ছিল কারাগারে, এই কারাগারে এইটার নাম চাকরী, সেই কারাগারে তোমাকে পাঠাইয়া দেওয়া হয়েছে, তুমি বেড়াইতে গিয়েছ বাবা আর কিছু টাকার মনে করবা না যে আমি টাকা কামাই করে আনতে পারলাম না এই দুঃখ কোন কিছুই নাই ভাগ্যের কথা তুমিই বলেছে ক্যাসেটের মধ্যে যে ভাগ্যের ফলা ফল এই যুগে যেমন পাওয়া যায়, এই ভিক্ষাই চাই বাবা, জীবন ভরা কইলে ফুরাবে না।
হে মালিক তুমি কুদরতে আর কোথায় থাকবে লুকাইয়া চীরদিন লুকাইয়া থাকলে জীবনের মত কান্না হবে না, হে জয়নাল ইমামের ইমাম হোসেন আমি বলব কত এই জন্যই সেই বইয়ের মধ্যে লেখা নাম গুলি আজ অব্দি নাম গুলি বলতেছি নাম বললে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায়।
বাবা আমি বলব কত অপর পৃষ্টায় আমি বলব এখন আমি আপনার কাছ থেকে বিধায় নিতেছি বাবা যেমন আমরা একত্রে হতে পারি তুমিই বলেছে বাবা আমি বিদেশ গেলে ফিরে এসে দেখব কি সে জবান আমাকে দিয়া যাও আমিও দিয়েছি বাবা যেই প্রান্তেই থাকো না কেন আবার ফিরে এসে দেখা হবেই হবে, না হইলে এই যুগে কেন আমরা মাইর কিল খেয়ে ছিলাম, কেন ইটা চাকা গোবর ধুলা খেয়ে ছিলাম, কেন তুমি নদীর পাড় বসে ছিলে, নদীর পাড় বসে ছিলে, তাইলে সেই বসার গান শুনেছি কানে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি কোন দুঃখ নাই মনে, আমি এই পর্যন্ত ইতি দিলাম, আপনার ভক্ত বৃন্দ আর কমু কত সারা দুনিয়া যত ভক্ত বৃন্দ আছে যেই খানে সকলের চরণে যেমন ছালাম পৌছতে পারে এমনি ভাবে দয়া কর আমি ভিক্ষা চাই তোমার দরবারে, হাজার হাজার কত কমু সারা দুনিয়ায় যেমন ছালাম পৌছতে পারে সকলেই যেমন একাত্র হওয়া যায়, এমনি ভাবে মাথা ঠুকে ক্ষমা কর, আজকে যেমন আসতে পারে এই সংসারে, আজ কে যেমন বাতাস সেই রিতি মতই চলতেছে বাতাস বন্ধ হয় নাই আর একবারে বাতাস জোড়েও আসে নাই মেঘের জন্য দিয়ে ছিলাম, কালু আর রাফিল বলে ছিল, যখন নাকি রেডিওর মাথা কত কমু রেডিওর মাথা উপরে দেয় বাশের মধ্যে লাগায় সে সময় বলে ছিল বৃষ্টি আসবে কাগজ পেচাই আমি বলছি ওশের (কুয়াশা) জন্য, ঐ রাফিলই বলছে ওশ তো পড়বে মেঘ না আসলে, তাইলে ওশ পড়বে, আর এই ওশের জন্য কাগজ সেই খানে পেচাইয়া দিয়াছে তাইলে বৃষ্টি আসবার প্রায় প্রায় মানুষই বলেছে বৃষ্টি আসবে তাইলে সেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে নুর নবী কিন্তু বাতাস রিতিমত চলেছে, এরকম বাতাস ঠান্ডা না থাকলে উম্মত যেন কুদরতে নবীর উম্মত যে বাচবে না এই জন্য সেই বাতাস সেই আইন এখন পর্যন্ত রিতি মত চলছে আমি বৃদ্ধ কমু কত ? আপনেই খবর যাবে সেই খানে, আজকে কয় দিন ধরে আরম্ব হইছে পশ্চিম উত্তর দিক থেকে বাতাস এরকম বেগে চলে যাবে, আমি আর বলব কত, বাবা আমি ইতি দিলাম, কথা কইলে কথার কোন মাথা নাই, আমি প্রত্যেকের কাছে ভিক্ষা চাই। জীবনের মত কান্দনে বেহেস্ত যাবে, সকলে যেন আমরা একত্রে চিহ্ন হতে পারি।
মায়ের ঘরে নবী সন্তান জন্ম নিয়ে ছিল
আপনারাও মায়ের ঘরে নিয়েছেন যার যার মা
লাল মিয়া ও মায়ের ঘরে নিয়েছে
এই জীবিত মানুষ গুলি নবী
নবী বলে স্বীকার করলেই সারা দুনিয়া হবি
আর কোন গন্ডগোল নাই মূর্তি পুজা করার ক্ষমতা নাই। অল্প কথায়ই বেশি হয়ে যায় অল্প গুড়ে যদি চা মিষ্টি হয় বেশি গুড় দিয়ে লাভ কি ? অল্প মসলায় যদি সিন্নি পাক হয় আর বেশি মসলা দিয়ে লাভ কি ? বেশি হলুদ দিয়ে তিতা হয়ে যায়, বেশি মরিচ ঝাল দিলে খাওয়া যায় না, এ রকম রিতিমত লেগেছে, মায় যেমন তরকারীতে লবন দেয় বেশি দিলে খাওয়া যায় না কম হইলে ভাল লাগে না। রিতিমত আমরাও চাই রিতিমত একাত্র যেমন হইতে পারি সবাই সারা দুনিয়া, এই ভিক্ষা চাই জয়নাল বাবা, সেই নামে নাম সেই নামেরই জয়নাল সেই লাল মিয়া নাম উমর মিয়া কাঠের তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করেছে কাগজের ঢাল সেই উমর মিয়ার ঘরের লাল মিয়া, যিনি এই যুগে সমস্ত যুগের দুঃখ গুলি খন্ডন হয়ে গেছে, এই যুগে উমর মিয়ার ঘরের লাল মিয়া
এই যুগে যেমন লামে আলিফ লুকাইছে
লামে আলিফ সত্য কথা কইলেই বের হয়ে যাবে।
..আর মারফত থাকবে না
সমস্ত শরিয়ত যে কথা আমরা বুজি সেই কথা থাকবে
আর যেই ভাষা না বুজি সেই ভাষা দুনিয়া থেকে ওঠে যাবে
আল্লাহ রাসুলের কুদরতে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার
পয়গম্বরের কুদরতে ওঠে যাবে
ঘুমাইলে রূহ লগে থাকে না, সমস্ত বের হয় যায়, আর জিন্দা হইলেই রুহু গুলি আইসা যার যার কাম করে, মানুষ রূপে চলতে আছে এই সংসারে, না বুইজ্জা অন্যায় যার যার ভুল সে সে করে, এই জন্যই যাবে যাহার নাম দোজখ আমি যা খাই নাম টা হচ্ছে গরু ঘোড়া বকরী কত কমু, মোরগা মুরগী রান্না হইলে মুরগার মাংস দিয়ে ভাত খাই এই মেলার পরে। এই তো যারা যারা ছিল তাগো লইয়াই খাই।
এই খানে বলা আছে মোট সারা দুনিয়ায় একটা বাংলা থাকবে
সেখানে আযান দিবে এক সেকেন্ডে সারা দুনিয়ায় আযান চলে যাবে
যার যার ঘরে ঘরে মেয়ে পুরুষ সহকারে
সব জাতীয় নামাজে দাড়াবে
আমি আইন গুলি বলব কত ? এই পর্যন্ত বলা হল
বাবা গো সেই মসজিদের মধ্যে অল্প কয়জন মানুষ থাকবে
আর সারা দুনিয়া এক জামাতে নামাজ হবে
কিতাবে পূরণের কথা রয়েছে লাল মিয়ার মুখের কথা নয়
এই যুগে সমস্ত থুবাইন্না কথা বললে এখন সময় চলে যায়, যেন বেশি কথা বলার দরকার নাই, অল্প কথায় যদি বুজানো যায় তাহলে আর বেশি কথা লাগবে না, শুধু রেডিওর মধ্যে বই চলে গেলেই (এখানে কয়েক টা কথা বুজি নাই ) যে রেডিওর মধ্যে রাষ্ট্রের মধ্যে ধরলে গর্ভমেন্টের কাজ করো এই বই যদি গর্ভমেন্টের হাতে যায় আর কথা বিচার করে ধরে, সেইখান থেকে রাষ্ট্র আবার ঠিক হয়ে আমার বাংলায় আসতে পারে, তার জন্য চিন্তা করবা না এই সংসারে হয়ত বাংলার বাংলার মধ্যে রেডিওর মধ্যে গেলে এরশাদ ধরলে এরশাদে এই বইটা উঠাইয়া দিলে রাষ্ট্র ঠিক হয়ে যাবে আর কোন গন্ডগোল নাই আমাদের ও গন্ডগোল করতে হবে না বাবা, আপনার ও যুদ্ধ করতে হবে না যেই স্বপ্ন দেখেছেন যে পিছের লোক বেগে গিয়েছে আর এই ভাবে হাওয়া হয়ে গিয়াছে, আবার পিছনে চেয়ে দেখ উত্তর পশ্চিম কানি দিয়া দরজা সেখানে বিছরাইতে বিছরাইতে তালাশ কইরা চেয়ে দেখ আমি শোয়া আমায় বলছো বাবা, তয় বাবা আমি বিশ্রাম করতেছি একটু বিশ্রাম করে নেই এখন ওঠবো না, আপনেও স্বপ্নের মধ্যে সেটা লাল মিয়ার কানে শোনাইয়াছেন, বাবা গো শুইনা সন্তুষ্ট হইলাম, এখন সেই উত্তর পশ্চিম দিকে দরজা দিয়া যেমন ঘর ওঠানো যায় এই আমি দোয়া চাই। আমি যেন সে জায়গায় শুইতে পারি বাবা গো তোমরা যেন দেখতে পার এরকমই চাই আমি, বাবা কবর টা আগে সাজানো চাই এই তো আমার ভিক্ষা আর কিছুই দরকার নাই, বাবা এই পর্যন্ত ইতি দিলাম।
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবি আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া জালিলু, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া ছাত্তারু আচ্ছালামু আলাইকুম আবু বক্কর সিদ্দিক, আচ্ছালামু আলাইকুম ওসমান গনি, আচ্ছালামু আলাইকুম আব্দুল কাদের জিলানী, আচ্ছালামু আলাইকুম তৈয়ম, আচ্ছালামু আলাইকুম তাহের, আচ্ছালামু আলাইকুম বিল্লাল, আচ্ছালামু আলাইকুম ইসমাইল, আচ্ছালামু আলাইকুম ফাতেমা জান্নাত যার নাম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইমাম হাসেন, আচ্ছালামু আলাইকুম ইমাম হোসেন, আচ্ছালামু আলাইকুম উমর মিয়া, আচ্ছালামু আলাইকুম আবু হামজা, আচ্ছালামু আলাইকুম আবু তালেব, আচ্ছালামু আলাইকুম আয়নাল হক আচ্ছালামু আলাইকুম মুনসুর হেল্লাল, আচ্ছালামু আলাইকুম শেখ ফরিদ, আচ্ছালামু আলাইকুম বোয়ালী কলমদার, আচ্ছালামু আলাইকুম নিজামুদ্দিল আউলিয়া, আচ্ছালামু আলাইকুম গাজী, আচ্ছালামু আলাইকুম কালু, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলহাস, আচ্ছালামু আলাইকুম খাজা খোয়াজ খিজির, আচ্ছালামু আলাইকুম লাইলী, আচ্ছালামু আলাইকুম মজনু, আচ্ছালামু আলাইকুম শিরী, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলহাস, আচ্ছালামু আলাইকুম বোলহান, আচ্ছালামু আলাইকুম বইদ্দা জামান, আচ্ছালামু আলাইকুম ছবরে মুলুক আচ্ছালামু আলাইকুম ইশাহ, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলেখা
আচ্ছালামু আলাইকুম একলাখ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকো না কেন কেহ পাথরের ভিতর, কেহ ফুলের ভিতর, কেহ গাছের ভিতর, কেহ মাছের ভিতর সর্বময় সব জায়গায় নাম বলব কত, সকল যেমন একত্রে এই যুগে মায়ের গর্ভে জন্ম হইয়া একত্রে আসতে পারে এমনি ভাবে দয়া চাই।
সারা দুনিয়া হাওয়া বাতাস তুফান চান সূর্য্য প্রত্যেকের কাছে ভিক্ষা চাই, সারা দুনিয়া যেমন একত্রে হইতে পারি, কুদরতে যেমন আসা যায়, বাদশাহী যেমন ঠিক হয়ে যায় এই ভিক্ষা চাই কুদরতের হাতে, আমি কুদরতের কাছে পা ধরে মাফ চাই তারাতারি যেন কবুল হয়ে যায়
সমস্ত জীবিত মানুষগুলি নবী
ঘরে ঘরে ফাতেমা, যার যার পোলা মেয়ের নাম ইমাম হোসেন
খালি আমাদের শুধু একটা নাম না
যার যার নিমাই সন্ন্যাষীর ভাষায়
নিমাই সন্ন্যাষীর মার মত মানলে মায়েরে
প্রত্যেকের নামই নিমাই সন্নাষী ঘরে ঘরে কোন ভুল নাই
যেমন যিশুখৃষ্ট যেরকম মাইর খেয়েছে প্রত্যেক ভাষায় কিতাবে শাস্ত্রে ঘরে ঘরে যিশুখৃষ্ট আমরা আমরাই এই দুনিয়ার মধ্যেই সব কিছুর ন্যায় অন্যায়ের বিচার হবে, খাওয়া পড়ার বিচার হবে, যে যে অন্যায় রাস্তায় খেয়েছে সে অন্যায় রাস্তায় চলে যাবে, আর কোন গন্ডোগল থাকবে না, বাবা গো আমি ভিক্ষা চাই।