শান্তির প্রতিক অমর বাণী
আল্লাহ্ রাসুল ইয়া রাসুল আল্লাহ্
“ বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও ”
প্রকাশক- মোঃ লাল মিয়া
পিতা- মরহুম উমর মিয়া
www.santirbani.com
** সত্যানু সন্ধান **
একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত ; মান্য অতিথির মতো সম্বর্ধনা করে না আনলে সে ঘরে আসতে নারাজ। অনাহূত গৃহে প্রবেশ করতে সকলেরই লজ্জা হয় নবযুগও লজ্জা অনুভব করছে, তার লজ্জা ভাঙ্গানোর ভার আমাদের উপড় কিন্তু যে অতিথী এল সে শত্রু না মিত্র ? প্রকৃত হিতকামী না প্রতারক ? তা না জেনে তো তাকে গ্রহন করা যায় না। তাই তার যথা সম্ভব পরিচয় নেওয়া দরকার।
আগন্তক আমাদের পর নয়, মানব সভ্যতার শিশু, অতীত ও বর্তমানের সন্তান। সে নিজ থেকেই এসেছে, তার সম্পর্কে আমাদের অবহিত হতে হবে মাত্র, আর এ ক্ষেত্রে অবহিত হওয়াই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা, তার কন্ঠে যে অস্পষ্ট বাণী, তার অর্থ হে মানুষ ভয় করোনা, তোমার মধ্যে যা শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান, অবিনশ্বর ও অশেষ সম্ববনাপূর্ণ তার রক্ষার ভার আমার হাতে, আর সে জন্যেই আমার আগমন।
তার বর্তমান যুগে কি সে সব রক্ষার ক্ষমতা নেই ? শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান কে ভুলে বর্তমানে আমরা কি শুধু অপকৃষ্টের সাধনা করে চলেছি ? ব্যতিক্রম হয়ত আছে, তবে মোটের উপড় কথাটা সায় না দিয়ে উপায় কি ? মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিব্যাক্তি সৃজনশীলতা আজ শোচনীয় রূপে পরাভুত। ধূর্ততা ও ফন্দিবাজীতার স্থানে সমাসীন। এ দুর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার জন্যই নব যুগের আগমন।
সত্যই ধর্ম, সত্যই শান্তি
সত্য আছে যেখানে
আল্লাহ্ রাসুল আছে সেখানে
সত্য আছে যেখানে
শান্তি আছে সেখানে
প্লাবিত অসত্যের মাঝে সত্যকে ভাসিয়ে তুলতে গেলে উপাধি পেতে হয় পাগল, ভন্ড, প্রতারক নাস্তিক। সাজা হিসেবে গ্রহন করতে হয় কারাভোগ, আবার গন-পিটুনিতে ভবলিলা সাঙ্গ করতে হয়। সত্য সে যুগে যুগে গোপন থেকে যায়। অসত্যের মাঝে মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। এটা সত্যের যুগ।
এবার আসুন সবাই নির্ভয়ে সত্যকে খুজে বের করে অসত্যের মাঝে দাড় করিয়ে নিরাশ আর হতাশনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করি।
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুন না কেন সকলে সত্যের পতাকা নিয়ে বের হওন। আর নিরব থাকলে চলবে না, গোপন থাকলে চলবে না। পরিচয় দিয়ে জগৎকে বহুমুখি সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। সবে মিলে একত্রিত হয়ে, সকল দোষী লোক গুলোকে চিহ্নিত করে, অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ম বিচার করে জগৎকে শান্তির রাজ্য গড়ে তুলি।
কাগজের পাতায় লিখে দিলাম আল্পনা
অমর বাণী কইবে কথা যেদিন আমি থাকব না
সংসারের মাঝে কয়েকটি সুর
রেখে দিয়ে যাব করিয়া মধুর
দু একটি কাটা কড়ি দেব দুর তারপর ছুটি নিব
ইতি - মোঃ লাল মিয়া
** রহস্য উদ্ঘাটন **
শান্তি ও সুখ কথা দুটি শুনলে পর সবার মনে আনন্দ ধরে, মনে মনে কামনাও করি তাই, কিন্তু সে সুখ, সে শান্তি, কি ভাবে কোথায় পাব ? শান্তি ক্ষণস্থায়ী নয়, শান্তি চিরস্থায়ী। পরপারের মুক্তি ও মিলনের আসে সঠিক পথ অনুসন্ধানের জন্য কেউ বৃক্ষের নীচে, কেউ পাহাড়-পর্বতে, কেউ মসজিদে, কেউ মন্দিরে, যার যেখানে মন ছুটে বেড়াচ্ছে সেখানেই সে অনুসন্ধান করছে।
আমরা দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, আটরশি, বেলতলি, বাঘের হাট সিলেট ভিবিন্ন স্থানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটা-ছুটি করে হয়রান হচ্ছি। এ হয়রানীর পেছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে আর তা হচ্ছে পরপারের মুক্তি।
যে যেখানে গমন করেছেন তথা হতে যে বাণী শ্রবণ করেছেন, তা পেয়েই সে সন্তুষ্টি লাভ করছেন
সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য বিগত দির্ঘ দিন যাবৎ আপনাদের সু-পরিচিত, বিশ্ব শান্তিকামী মোঃ লাল মিয়া শান্তির বাণী প্রচার করে মুক্তি ও মিলনের ডাক দিচ্ছেন। আমরা নিরক্ষর ভেবে পাগল উপাধি দিয়ে দুরে সরিয়ে রাখছি।
চক চক করলেই স্বর্ণ হয় না। গোবরে ও পদ্ম ফুল ফুটে
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়িয়ে দেখ তাই
পাইলে ও পাইতে পার মানিক রতন।
একজন মানুষকে তার বাহিরের চাকচিক্য দেখে বা তার নোংরা পরিবেশ দেখে তার আসল পরিচয় জানা যায় না। যতদিন পর্যন্ত তার ভিতর বাহির সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত না হব। তাহলে আপনারা দয়া করে একবার লাল মিয়ার কাছে আসুন আসল পরিচয় জানার জন্য। তিনি জীবনে কোন দিন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় বিদ্যাভ্যাস করেননি, এমন কি কোন পীরের মুরিদও হননি। এখন ভাববার বিষয় তাহলে তিনি কি ভাবে কোথায় পেলেন এ গভীর তত্ত্বকথা। কি জন্যে ? কেন এত ত্যাগ স্বিকার করে মানুষের দ্বারে দ্বারে কাঙ্গাল বেশে মুক্তির ডাক ছাড়েন। মানুষে বলে পাগল, ফকির, সাধু সন্ন্যাসী যার যা মনে ধরে। তার এসব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ আমরা গোপন তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরছি। কি ভাবে কোথা হতে তিনি এ তত্ত্ব কথা লাভ করেন।
সে অনেক বড় ইতিহাস তাই সংক্ষেপে আংশিক জানাতে চেষ্টা করছি।
তিনি একজন খেয়া ঘাটের মাঝি নৌকা চালাতে অনেকে দেখেছেন, দুরের যারা তারা হয়ত শুনেছেন আবার কেউ কেউ হয়ত শহর বন্দরে কোর্ট কাচারীতে, মসজিদ, মন্দিরে, গীর্জায়, হাটে, বাজারে ফকিরের মেলায়, ওয়াজ মাহফিলে সর্বত্র শান্তির বাণী প্রচার করতে দেখেছেন। তিনি ধলেশ্বরী খেয়াপার তরণী ঘাটে খেয়াপার করতেন।
একদিন সন্ধ্যার পর তিনি একাই নৌকায় বসা, কোথাও কোন লোকের সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। রাত্র যখন ৮ - ৯ টা হল তখন হঠাৎ করে দেখা গেল একজন লোক ধীর পথে তার নৌকায় এসে উঠলেন, উঠে বললেন, মাঝি নৌকা ছাড়। একজন লোক নিয়ে পারাপার করলে পোষাবে কি ? না ইতস্ততঃ করতে লাগলেন কিন্তু আগন্তক পরপর কয়েকবার বলার পর তিনি নৌকা ছাড়লেন। নদীর কিছু দুর যেতে না যেতেই দেখলেন নৌকায় সাত জন লোক। সাত জন লোক দেখে তিনি থমকে গেলেন, মনে মনে ভাবলেন আরে ব্যাপার কি ? একজন লোক নিয়ে নৌকা ছাড়লাম এখন সাত জন লোক এলো কত্থেকে ? এরকম ভাবার পর নৌকা যখন নদীর মাঝ খানে অবস্থান করল, তখন দেখতে পেলেন ছায়ার মত কায়া ধরা অসংখ্য লোক। সবাই নিশ্চুপ। এত লোক দেখে তার ভয়ে শরীরের পশম খারা হয়ে গেল, মনে হল এ যেন এক আজব পরিস্থিতি।
আল্লাহ রাসুলের লিলা বুজা দায়। তাই তার মুখ দিয়ে আপনি সরাসরি গালি বের হয়ে এল যে তোরা এক চোর নৌকায় উঠলি এত চোর কোথা হতে এলি ? সব আমার নৌকা হতে নাম। সবাই বলল মাঝি নৌকা চালাও। তিনি বললেন তোরা কারা ? কেন এলি ? পরিচয় না দিলে নৌকা চালাব না। নৌকা নদীর মাঝ খানে স্থির হয়ে রহিলো। তখন সবাই প্রত্যেকের মুখ পানে চেয়ে বলা বলি করতে লাগলেন পরিচয় দিতে আসছি পরিচয় দাও। প্রথম ব্যাক্তি তার নিজের পরিচয় হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বলে তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল, ফাতেমা জান্নাত যার নাম, ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, উসমান গনি এ ভাবে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের নাম বলে সকলের পরিচয় দেন।
তারপর বলেন তুই কি চাস ? তুই যদি নদীর পানি, মাটি, গাছের পাতা, যে কোন রুগীর হাত দেছ, যে কোন রোগ ভাল হবে। তিনি বললেন আমি এ সবের কিছুই চাই না। আপনার উম্মতকে হেদায়েত করার জন্য চাকুরী চাই। চোখের পানি ফেলে বললেন, আমার উম্মত কে গান-বাজনা, ওয়াজ নছিহত সবই দিয়াছি কোন ক্রমেই আমার উম্মত হেদায়েত হয় নাই। উম্মতের মার-পিট, জুলুম-অত্যাচার, আমি সহ্য করতে পারি নাই, তুই এ চাকরী পারবি না। তিনি বললেন আপনার দোয়ায় আমি পারব। মুখ বাক্য দিলেন গালি দিয়ে আমার উম্মত কে হেদায়েত কর, মার খাইছ, মারিছ না। আমিই বিচার করব। যখন আমার উম্মত বুজে শুনে চিনে তোকে রেডিওতে পাঠাবে, সেখানে গিয়ে দেখবি আমি বসা। রেডিওতে তোকে বলতে হবে না, আমার উম্মত কে আমিই হেদায়েত করব। লোকে দেখবে তুই বলতেছিস, যাদের মনশ্চুক্ষু আছে তারা আমাকে দেখবে। আখের জাখের বায়তন ও গুপ্তন সব জায়গায় ই আমি, এ সমস্ত কথা কথোপকথনের পরই তারা নিমিষে উধাও হয়ে যান।
এখান থেকেই তিনি মুখ বাক্যদ্বারা তত্ত্ব কথা লাভ করলেন। এখন আপনারা নিশ্চয় জানলেন, তিনি কি ভাবে কোথা হইতে তত্ত্ব কথা লাভ করলেন, তাকে আরো ভাল করে জানতে হলে চিনতে হলে তার স্মরণাপন্ন হয়ে গোপন তত্ত্ব সংগ্রহ করুন।
প্রত্যেক যুগেই একজন করে মহা মানবের আগমন ঘটে। এটা আউলিয়াদের যুগ। রাজা যদি আউলিয়া হন তবে প্রজাও আউলিয়া হবে, এ সত্য যুগে যে মহামানবের আগমন ঘটবে তার নাম হচ্ছে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ)
ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমন সম্পর্কে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যদি বিতর্কের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সেই মহা মানব কে আপনাদের মাঝে শান্তি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পেতে চান তবে
“অমর বাণী” গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করে বিবেকের সাথে বুজাপড়া করে হৃদয়ঙ্গম করুন। সব কিছু পরিস্কার বলে হালকা বলে মনে হবে।
শান্তির বাণী
মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়ারাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, তুমি দয়া কর, তোমার দয়া চাই তুমি শান্তি দাও, তুমি বাচাঁও, তুমি বাচাঁনে ওয়ালা, তুমি রহমত করনেওয়ালা, তুমি আহসান করনেওয়ালা, তুমি শাফায়ত করনে ওয়ালা, তুমি ব্যাতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না। হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড় কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে তুমি মাফ কর। কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রাহমানির রাহিম, তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর।
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুক না কেন হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই। সকলে মিলে ক্ষমা করে সারা দুনিয়া এক হয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।
আমার কথা গুলি প্রথমতঃ শুনলে মনে হবে নতুন, উল্টো এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু তাই বলে চটে যাবেন না উত্তেজিত হবেন না, ক্ষেপে মার মুখী হবেন না। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে পরম আত্মা অর্থাৎ দিল কুরআন দিয়ে বিবেকের মাপ কাঠিতে যাচাই করে সত্যতা ও সঠিকতা নিরুপন করবেন। বর্তমানে পৃথিবীতে সত্যকে মিথ্যার মাঝে দাড় করাতে গেলে সত্যই মিথ্যা হয়ে ধরা দেয়, আসল নকল হয়ে ধরা দেয়। আক্কেলের বিচার হবে, আক্কেল দিয়ে সত্য মিথ্যা আসল নকল যাচাই বাছাই করে নিবেন।
আজ আমরা পার্থিব শান্তির জন্য, ভব পারের মুক্তির জন্য দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, কিছু আটরশি, কিছু বেলতলি, কিছু বাঘের হাট, কিছু সিলেট শাহজালালের দরগাহ বিভিন্ন তির্থস্থানে খুজে খুজে হয়রান হচ্ছি। সারা দুনিয়া কি ভাবে এক নামে, এক ধর্মে, এবং এক আইনে আসতে পারবে। কি ভাবে গজবের হাত থেকে, বাহত্তুর মতবাদ থেকে অভাব অনটনের হাত থেকে, বিশ্ব যুদ্ধের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করতে পারবেন। সে জন্য মুক্ত কন্ঠে পরিষ্কার ভাষায় জগৎ কান্না গোটা বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক দিচ্ছেন।
প্রিয় বিশ্ববাসী ? আপনারা এখনো নিদ্রা মগ্ন, ঘুম আপনাদের এখনো ভাঙ্গেনি
মুসলমানদের পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়া খাটি মুসলমান হতে হবে। হিন্দুদের মহাভারতে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক হতে হবে কিন্তু আশি হিজরী পেরিয়ে বহু বৎসর গত হতে যাচ্ছে এখনো কিয়মত হল না, সারা দুনিয়া এক হলনা। হাশরের মাঠে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচাঁর ও হলনা।
কোরআনের ভাষায় নবী, ভরতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসী এবং বাইবেলের ভাষায় যিশুখৃষ্ট আজও পূর্ন্যবার ফিরে এলো না, যুগে যুগে পথ ভুলা অন্ধ মানুষ গুলোকে সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়ে অন্ধকার নরক হতে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটে ছিল কিন্তু তারা অন্ধ মানুষের নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ যুগের সত্য বিচারের আশা বুকে নিয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। এটাই শেষ যুগ এটাই শাফায়াতের যুগ।
তাই যারাঃ-
পথ ভুলে গিয়েছিল আবার এসেছে ফিরে
দাড়িয়ে রয়েছে দুরে লাজ ভয়ে নত শীরে
সম্মুখে চলে না পথ তুলিতে পারে না আখি
কাছে গিয়ে হাত ধরে ওরে তোরা আন ডাকি
ফিরাসনে মুখ আজ নিরব ধিক্কার করি
আজ আন স্নেহ সুধা লোচন বোচন ভরি
অতীতে বরষি ঘৃণা কি বা তাহার হবে ফল
আধার ভবিষ্যত ভাবি হাত ধরে লয়ে চল
স্নেহের অভাবে আছে এই লজ্জাবন প্রাণ
সঙ্কোচ হারায়ে ফেলে আন তারে ডেকে আন
আসিয়াছে ধরা দিতে শত স্নেহ বাহুপাশে
বেধে ফেল আজ ওরে গেলে যদি নাহি আসে।
দিনেকের অবহেলা, দিনেকের ঘৃণা ক্রোধ
একটি জীবন তোরা হারাবী জীবন শোধ
তোরা কি জীবন দিবি অপেক্ষা বিষ বান
দুঃখ ভরা ক্ষমা লয়ে আন, ওরে ডেকে আন।
ক্ষমাই পরম ধর্ম, এটা আউলিয়াদের সত্য বিচার করে ক্ষমার যুগ, এ যুগে ন্যায় অন্যায়ের বিচার করে কলির জীব কে ভব পার করে বিশ্ব বাসিকে স্বর্গ সুখ দান করার জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের পূর্ণ্যবার আগমন ঘটবে। এ যুগে পূর্ব যুগের সকল অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ণ বিচার হবে। সকল দোষী লোক গুলো ধরা পড়বে সারা দুনিয়ার সবাই কম আর বেশি দোষী, একজন মাত্র নির্দোষী এবং নিষ্পাপ, এ যুগে সেই নির্দোষী নিষ্পাপ, বিশ্ব শান্তিকামি, বিশ্ব নেতা সত্যের সাধক, আল-আমিন ঈমানদার ব্যাক্তি, সত্য, শান্তি ও মিলনের বাণী নিয়ে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন।
যুগে যুগে যিনি
এ যুগে ও তিনি
যুগে যুগে একই জন
একজন ছাড়া কেউ উম্মতি উম্মতি করতে পারবে না, এক বিন্দু দুই জানলে হবে গুনাহগার। যিনি শাফায়াতের মালিক পাড়ের কান্ডারী, উম্মতের জামিনদার উদ্ধারকর্তা ও মুক্তিদাতা। এটাই শাফায়াতের যুগ, শাফায়াতের আশে যিনি পূর্ব যুগে বাদশাহী পেয়ে বাদশাহী না করে উম্মতের জন্য দিওয়ানা হয়ে দারিদ্রতার চরম শিখরে আরোহন করে দিন যাপন করে গেছেন। যার হাতে রয়েছে আলৌকিক ক্ষমতা, যার এলেম হবে গাইবি এলেম। যার তত্ত্ব কথায় খন্ডন হবে বাহাত্তুর মতবাদ। ভুল ভাংবে গোটা বিশ্ব বাসির। যার সত্য ও সঠিক রাজনীতি দেবে সারা বিশ্বকে স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে। যার পরশে মাটি হবে স্বর্ণে পরিণত। শেষ যুগের উম্মতের জন্য যিনি পূর্ব যুগের স্বর্নের পাহাড় ব্যায় না করে বর্তমান আখেরী শেষ যুগের উম্মতের জন্য আমানত রেখে গেছেন, তার দ্বারা উদ্ধার হবে পূর্ব যুগের লুকানো গুপ্ত ধন রত্ন। পরিবর্তন হবে নামদারি মানুষের মাঝে জীব আত্মার।
আজ আমাদের গাছে ফল নেই, নদীতে মাছ নেই, জমিনে বরকত নেই, গাভির দুধ নেই, প্রকৃত যেন বদলে গিয়ে বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে পশু আত্মা মানব কায়া ধরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা রোগে শোকে অভাব-অনটনে, অন্যায় অত্যাচারে, সুদে, ঘুষে আরজকর্তা, জটিল সমস্যায় জর্জরিত।
কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না
কেউ খাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে না
কিন্তু না
তা হবে না
তা হবে না।
এ যুগে সবাইকে সমান ভাবে সব কিছু বন্টন করে নিতে হবে, যুদ্ধ করে সংগ্রামের ভিতর দিয়ে নয় মানবতার মধ্য দিয়ে।
তাইঃ- আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই
সকলের সুখ সখা, সুখ শুধু তাই
আমার একার আলো সে যে অন্দকার
যদি না আমি সবারে অংশ দিতে পাই।
সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে যাইব
কাহারে বল ফেলিয়া পশ্চাতে
ভাইটি আমার সেজে, ভাইটি আমার
নিয়ে যদি নাহি পারি হতে অগ্রসর
সে আমার দূর্বলতা শক্তি সে আমার নয়।
সবাই আপন কে আমার পর ?
হৃদয়ের যোগ সে কি কভু ছিন্ন হয়
এক সাথে বাচিঁ আর এক সাথে মরি
এসো বন্ধু জীবন সুমধুর করি।
ন্যায্য অধীকার হতে প্রতিটি মানুষ বঞ্চিত, চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি, বদমাসী, নাচ-গান, বেশ্যালয়ে গমন ইত্যাদি পাপ কার্যে লিপ্ত। আমরা দুঃখের মহা সমুদ্রে সাতার কাটছি, গজবের মাঝে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। কে দেবে এই গজবের হাত থেকে রেহাই ? কে দেবে এর পূর্ণ সুষ্ঠ সমাধান ? আজ ক্লান্তি লগ্নে চরম বিপদের দিনে এই ভয়াভহ পরিস্থিতিতে তিনি কোথায় ? ভয় নেই বন্ধু গন, ভয় নেই।
আজও তিনি জিন্দা, অমর হায়াতুন্নবী আখের, যাখের, বায়তন, গুপ্তন, সব জায়গায়ই তিনি, যুগে যুগে শুধু ভিবিন্ন নাম ধারন করে কায়া পরিবর্তন করে নুরতনে নুরের খেলা খেলিতেছেন। যিনি দুঃখের মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সুখের পর্বত চুড়ায় পৌছে দেবেন।
তাই তিনি বলেনঃ-
আমরা চাই বিশ্বদার উদার প্রাণ
অভেদ খৃষ্টান হিন্দু
দ্বোষ নাই এক বিন্দু
নিরেখ জগতে ভরা এক আল্লাহ রাসুল
জ্ঞান সত্য নীতি পুজে
দলা দলি নাহি বুজে
সে জানে সকলে এক মায়েরই সন্তান
মরমে মহত্ব পূর্ন
হীনতা করেছে চুর্ন
হৃদয়ের ভাব সব উদার মহান
ন্যায় তরে প্রিয় ত্যাগী
প্রীতিতে পরানু বাগী
সমাদরে রাখে জ্ঞানি গুনীর সম্মান
অনুতপ্ত অশ্রুদার
কখনো সহেনা তার
অনুতাপি পাপী পেলে পূন্য করে দান।
বিশ্বের উন্নতি আশা
বিশ্বময় ভালবাসা
বিশ্বের মঙ্গল করি দান
মরতে সে দিবে পথ
উপাস্য নমস্য মম
বসুদা কৃতার্থ তারে কোলে দিয়ে স্থান
আমরা সাধি সাধনা সে দেবে তার প্রাণ
সবারে বাসবে ভাল
নইলে মনের কালি ঘুচবে না
আছে তোর যাহা ভাল ফুলের মত দে সবারে
করিস তুই আপন আপন
বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।
যারে তুই ভাবিস কনি তার মাথায় আছে মনি
বাজা তোর প্রেমের বাশি, ভবের বনে ভয় বা কারে
সবাই যে তোর মায়ের ছেলে
রাখবি কারে কারে ফেলে
একই নায়ে সকল বায়ে যেতে হবে ওপাড়ে।
যিনি জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একই নায়ে ভবপার করবেন বলে পাড়ের ঘাটে বাসা বেধে কেদে কেদে নয়ন জলে বুক ভাসিয়ে সবাইকে মুক্তির ডাক ছেরে আশায় আশায় মুক্তি ও মহামিলনের দিন গুনছেন। তাই তিনি ভার ক্রান্ত হৃদয়ে অশ্রু সজল নয়নে গাইছেন।
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
বেলা বইয়া যায়।
মনের দুঃখ মনে রইয়া যায়
কেমনে পাড়ি ধরি রে ডেউ ওঠছে সাগরে রে
দিবানিশি কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া
ও মনো রে যারা ছিল চতুর নাইয়া তারাই গেল বাইয়া
হায় হায় আমি অদম রইলাম পরে আমার ভাঙ্গাতরি লইয়া।
মনের দুঃখ কইনারে বন্ধু রাইখাছি অন্তরে রে
দিবা নিশী কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া।
নদীর একুল ঐ ধইরা উথাল পাতাল ঢেউ
বৈঠা হাতে আমি একা সঙ্গে নাই মোর কেউ
চারিদিকে তর্ক ওঠে সাঙ্গ নাহি হয়
কথায় কথায় ভারে কথা, সংসয়ের উপরে চাপিয়ে সংসয়
কেবলি বাড়িছে ব্যাকুলতা
ফেনার উপড়ে ফেনা ডেউয়ের পরে ডেউ
গর্জনে বধির শ্রবন তীর কোন দিকে আছে নাহি জানে কেউ
হা হা করে আকুল পভন কল্ললের মাঝে নিয়ে এসো কেহ
পরিপূর্ন একটি জীবন
নিরবে মিটিয়া যাবে সকল সন্দেহ, থেমে যাবে শহস্র বচন।
তাই আজ সারা দুনিয়ার সেই নির্দোষি নিষ্পাপ, বিশ্ব নেতা নবি-কুল শ্রেষ্ঠ বর্তমান যুগে যিনি হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) নাম ধারন করে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন। সেই দয়াশীল ক্ষমাশীল, উধার, মহৎ, মিলনদূত মুক্তিদাতা বিশ্ব শান্তিকামি কে যদি আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পেতে চান, সারা দুনিয়া যদি এক নামে এক ধর্মে এবং এক হতে চান, বাহাত্তুর মতবাদ খন্ডন করে যদি বিশ্ববাসির ভুল ভাংতে চান, যদি আসমানি জমিনি গজব হতে রেহাই পেতে চান। তবে আপনারা সবে মিলে মোঃ লাল মিয়া……….কে বিশ্বের যে কোন বেতার ভবন থেকে তার গাইবি এলেম তত্ত্ব কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারের আয়োজন করুন। কারন একটি মানুষ কে অন্দকার নরক হইতে বুজিয়ে ভুল ভেঙ্গে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য বহু তর্ক বির্তকের সম্মুখিন হতে হয়।
বেতার মাধ্যমে প্রচার করলে গোটা দুনিয়ার সবার বুঝ হবে এবং ভুল ভাংবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কেউ মরেনি। শুধু অত্যাচারীর ভয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। যখন বিশ্ব শান্তিকামি মোঃ লাল মিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বিশ্ববাসির উদ্দেশ্যে পেশ করতে থাকবেন তখন তার মুক্তির ডাক শুনে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুক না কেন সবাই এসে বলবে আমার নাম ইমাম মেহেদী (আঃ) একের পর এক সবাইকে সেখানে বলতে দেওয়া হইবে।
যার কথা সবচেয়ে ভাল হবে এবং যার প্রচারিত ইসলামিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক আইন গোটা বিশ্ববাসি মেনে নেবে তার নাম হবে ইমাম মেহেদি (আঃ) সেখানে কোরআনের ভাষায় নবী ভারতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসি এবং বাইবেলের ভাষায় যিশু খৃষ্ট চিহ্নিত হয়ে সারা দুনিয়ার সবাইকে শাফায়াত করে আযান দিবেন। এক জামাতে সারা দুনিয়া যে যেখানে থাকুন না কেন নামাজ আদায় করতে হবে এটা পরিক্ষার যুগ, পরিক্ষার মাধ্যমে সেই নিষ্পাপ নির্দোষি মহান ব্যাক্তিকে আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পাবেন এটাই মুক্তি মিলন এবং বিশ্ব শান্তির এক মাত্র সহজ ও সঠিক পথ।
সারা দুনিয়া একমত
এরই নাম কেয়ামত
আল্লাহ কাজি হবেন রাসুল খলিফা হবেন, লাল মিয়া মাত্র প্রচারক, জানিয়ে দিচ্ছি নবির গোষ্ঠির প্রদীপ জয়নাল আবেদিন থাকবে গোটা পৃথিবীর রাষ্ট্রের অধীকারি (পূর্ব যুগে ইমাম হোসেনের পুত্র ) এর আগে সারা দুনিয়ার যে কোন রাষ্ট্রের যে কোন সচেতন নেতাই হোক না কেন তাকে যে কোন ভাবে হোক গদিচ্যুৎ হতে হবে।
ভোট নিয়ে দলের দল সেজে মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ করতে করতে সারা দুনিয়া তুলার মত উড়িয়ে দিবে। ১২ আনি লোক মরবে মাত্র ৪ আনি লোক থাকবে। ৪ আনি লোক নিয়ে দুনিয়া আবার চাঁদের মত নতুন হবে।
যে পর্যন্ত পরিক্ষার মাধ্যমে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) কে খুজে বের না করবেন ততদিন পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় নদী নালা এমন কি মহাসমুদ্র শুকিয়ে মরুভুমিতে পরিণত হবে। সারা দুনিয়া কারবালা প্রান্তরের ন্যায় পানি পানি বলে চিৎকার করবে। বরকত দূরে যাবে, এক ধানে এক ধান হবে, সোয়া হাত উপরে সূর্য্য আসবে নিচের জমি তামা হবে, মাথার ঘাম পায়ে পরবে। শৃগাল কুকুরে চেটে খাবে কাগজের টাকা দূরে যাবে, চারার মধ্যে নাম্বার দিবে তবুও অত্যাচারী এজিদের গুষ্টি খাজনা খাবে।
গাছের ফল গাছে খাবে, নদীর মাছ নদী খাবে, গাভীর দুগ্ধ গাভী খাবে। চুরি ডাকাতী, গুন্ডামি বদমাশী জুলম অত্যাচার, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, নাচ, গান, মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ প্রভৃতি নাশকতা মূলক পাপ কার্য্য বৃদ্ধি পাবে।
সারা দুনিয়ায় মেঘ তুফান ঝড় বৃষ্টি রোদ্রের প্রচন্ডতা ভুমিকম্প ইত্যাদি, আসমানি জমিনি গজবে সারা দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। দিনের পর দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে অভাবের সৃষ্টি হবে। বর্তমান যুগে ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে বেশি। পুরুষের পুরুষত্ব থাকবে না, মেয়েদের ভয়ে ছেলেরা গাছে ওঠবে তথা হতে প্রসাব করবে মেয়েরা খাবে তাতেও সন্তান হবে। পরিবার পরিকল্পনা এ সমস্ত গন্ডগোল করলে চলবে না। জন্ম মৃত্যূ আল্লাহ রাসুলের হাত কুদরতের সামান্য দু ফোটা পানির দ্বারা মায়ের উদরে সন্তান তৈয়ার হয়। এ কুদরতকে বাধা দিয়ে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। কুদরত অর্থাৎ মহাশক্তি ইচ্ছা করলে গাছে ও ফলের ন্যায় সন্তান ধরাতে পারবে।
মুখ দিয়াছেন যিনি
সর্ব জীবের আহার যোগান তিনি
কাজেই কুদরতে বিরুদ্ধে কাজ করে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত, এজিদ, সিমার কেউ কোন দিন জয়ী হতে পারেনি আর পারবেও না। নাগীনিরা দিকে দিকে ফেলিয়াছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যার্থ পরিহাস। বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই। দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে। সারা দুনিয়া কারবালা যুদ্ধ প্রান্তর।
প্রতিটি রাষ্ট্র, প্রতিটি সম্প্রদায় নিজ নিজ আইন টিকিয়ে রাখার জন্য, আনবিক যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু না ধর্মে কোন জোর জুলম নেই। জোর পূর্বক কাউকে এক আইন ছেড়ে অন্য আইনে নেওয়া ব্যাবিচার, তাকে যুক্তির মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে ভুল ভেঙ্গে নিতে হবে।
কাজেই এবার আর যুদ্ধ নয় মিমাংসায়ই শান্তি, যুদ্ধ বন্ধ করুন। অর্ধমের মিথ্যা অস্ত্র ফেলে দিয়ে শান্তির ধর্মের সত্যের অস্ত্র স্বর্গীয় প্রেম ভালবাসা শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করুন। যুদ্ধ করে যদি শান্তি আনতে পারতেন তবে কারবালা প্রান্তরে পূর্বে যুগের নবীর গুষ্ঠি অত্যাচারী পাপীষ্ট জালিম এজিদের হাতে শহিদ হতেন না।
ও ভাই ভয় কে মোরা জয় করিব হেসে গোলা গুলিতে নয় গভীর ভালবেসে
অস্ত্র দিয়ে দেশ জয় করা যায় কিন্তু কারো মন জয় করা যায় না, ভালবাসা দিয়ে ভুবন জয় করা যায় এটা কেয়ামত হাশরের সত্য বিচারের যুগ।
তাই
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুরাসুর।
পৃথিবীটাই স্বর্গ নরক
এখানে জিন্দা মরার সত্য বিচার করে
মহা মিলন ঘটবে।
হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী নিত্য নিঠুর দ্বন্ধ
ঘুর কুটির পন্থা তাহার লোভ জটিল বন্ধ
হিংসা পতনের মূল
হিংসায় করেছি সারা দুনিয়া ভুল
কাজেই এবার হিংসা নিন্দা ছেড়ে দিয়ে আর কাল বিলম্ব না করে, কোরআন পন্থি কোরআন নিয়ে, ভারত পন্থি ভারত নিয়ে এবং বাইবেল পন্থি বাইবেল নিয়ে দ্রুত পথে এগিয়ে আসুন। সমতল ভুমিতে একত্রিত হয়ে এজিদ, সিমার, ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত যতগুলো দোষী লোক আছে তাদের কে চিহ্নিত করে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার করে মহা মিলন ঘটাই। অতীত অন্ধ ক্ষমাই পরম ধর্ম। অতীতের সকল দুঃখ কষ্ট ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে জীবন্ত বর্তমান কে সাথি করে ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বর্গীয় সুখের আশা বুকে নিয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করি।
বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও
লাল মিয়ার ডাকে সারা দাও
সবে মিলে একই কন্ঠে আওয়াজ তুলি কোথায় রে মোর দয়াল নবী, একবার দেখা দে । যার অলংকার তার অঙ্গেই শোভা বর্ধন করে বেশী। আখের যাখের, বায়তন গুপ্তন সব জায়গায় বাদশাহী নবী। বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী তিনি করলেন না। উম্মতের লাগিয়া হইলেন তিনি দিওয়ানা। যিনি বর্তমান যুগের বাদশাহীর জন্য পূর্বযুগে চরম দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করে গেছেন। যার কাজ তারই সাজে, কাজেই এবার সবাই চলুন, আর বেঈমানী এবং বিশ্বাস ঘাতকতা না করে নবীর বাদশাহী ফিরিয়ে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় ছেরে দিয়ে সত্যের পতাকা উত্তোলন করি।
সবারে বাসিব ভাল, করিব না আত্ম পরভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ
মানুষের মাঝে মানুষের কভু রবে না বিচ্ছেদ
সর্বত্র মৈত্রির ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে কত না যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হল কত হানা হানি
এবার মোদের পূর্ন্য সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৈাহার্দের বাণী
হিংসা দ্বোষ রহিবে না কেহ কারো করিবে না ঘৃনা
পরষ্পরে বাধি দিবে প্রেমের বন্ধনে
বিশ্ব জুড়ে এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা
মানব জাগিবে নব ষ্পন্দনে।
পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী লাভ করুক অমরত্ব। মানবাত্ত্বা সত্য মিথ্যা, ন্যায়, অন্যায় চেনা জানার জন্য হয়ে ওঠুক মৃঘের মত সজাগ। প্রতিটি প্রাণীই হোক আত্ম সচেতন।
**প্রার্থনা**
আমি চাই মহত্তের মহৎ প্রাণ
মুক্তা মানিক নিধি আমারে দিওনা বিধি
চাইনা এ যুগের রাজত্ব সম্মান
বঞ্চিত প্রাণ পেলে, প্রাণ টুকু দিয়ে ঢেলে
মেগে নিবে মনুত্বের শ্রেষ্ঠ উপাদান
প্রাণের সাধক আমি সাধনীয় প্রাণ
আমি চাই শিশুহেন উলঙ্গ প্রাণ
মুখে মাখা সরলতা কহেনা সাজানো কথা
যানে না যোগাতে মন করি নানা ভান
প্রাণ খোলা মন খোলা আপনি আপন ভোলা
তার স্নেহ প্রীতি সবই হৃদয়ের টান
আমি চাই স্বর্গের উলঙ্গ প্রাণ
আমি চাই বিরত্বের তেজস্বী প্রাণ
পায়ে ঠেলে তোষামোদ নিচতার অনুরোধ
তার ব্রত সত্য রক্ষা সত্যানু সন্ধান
চাহে না নিজের ইষ্ট অতুল কর্তব্য নিষ্ঠ
ধরা প্রতিকুল নহে, নহে কম্পমান
জীবন সংগ্রামে নিত্য বিজয়ী তার চিত্ত
আনন্দে উড়িয়েছে তার বিজয় নিশান
আমি চাই বিরত্বের তেজস্বী প্রাণ।
এ শুভ প্রার্থনা ই হোক বিশ্ববাসীর চলার পথের সাথী এ মঙ্গল কামনা করে এখানেই বিদায়।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুন না কেন সকলের চরণে ছালাম জানাই, হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরনে ছালাম পৌছাও, আমরা যুগে যুগে অন্যায় করছি সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই, সকলে মিলে ক্ষমা করুন, তাড়াতাড়ি সারা দুনিয়া একত্রিত করে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।
ইতি জগত কান্না -
বিশ্ব শান্তিকামী ভাই বোনেরা
আমন্ত্রন
বার্ষিক ধর্ম শভা
পহেলা অগ্রহায়ন ও পহেলা চৈত্র
www.santirbani.com
মোঃ লাল মিয়ার বাসভবন সংলগ্ন
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়
কারো মনের আশা পূরণ হয় না।
এবার চলুন রাজা, প্রজা, ফকির, দরবেশ, সাধু, সন্ন্যাসী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার, দারগা, পুলিশ, হাকিম, উকিল সবে মিলে ধর্ম সভায় যোগদান করে সকলের মনের আশা পূরণ করি।
ভয় নেই/ ভয় নেই।
মাতা পিতার প্রতি কতব্য
মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে প্রিয় নাম জগতে আর নাই
দশ মাস দশ দিন মার উদরে দিছেন ঠাই
জন্ম নিয়ে মার বুকের দুগ্ধ খাই মাকেই লাত্থাই
মা কথাটি ছোট্ট হলেও মধুর, পিতা যখন তার মস্তক থেকে ফেলে দেন, স্নেহময়ী মা আদর সোহাগে তার উদরে ঠাই দেন, কত ত্যাগ কত দুঃখ বেদনা মাকে সহ্য করতে হয়। দশ মাস দশ দিন যখন মা উদরে রেখেছেন তখন তার নিজের চলার শক্তি ছিলনা। তবুও তাকে কষ্ট স্বীকার করে সংসারের ঝামেলা মিটাতে হত। খেতে বসতে চলতে সকল অবস্থায় মা কষ্ট ভোগ করেছেন। এর পর যখন জন্ম নিলাম তখন মা নিজে না খেয়ে খাওয়াইছে, না পড়ে পড়াইয়াছেন, নিজে ভিজা জায়গায় শুয়ে আমাকে শুকনা যায়গায় শোয়াইয়াছেন। জীবন ভর সন্তানের জন্য দুঃখ করলেও মঙ্গল কামনা করেন। কুরআনে বর্ণীত মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। আমরা বয়োবৃদ্ধির পর যখন উপার্জন করতে শিখলাম, পাখা যখন মেলে গেল, তখন দুঃখিনি মায়ের কান্না শোনার অবকাশ থাকেনা।
যখন তোমার কেউ ছিলনা তখন ছিলাম আমি
এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি
এখন বন্ধু বান্ধব পেয়েছি, বিয়ে করে স্ত্রী পেয়েছি,কাজেই এখন সেই দুঃখের দিনের জনম দুঃখি মায়ের কথা মনে নেই। আমরা সবাই মায়ের কাছে ঋণী। সবাই মায়ের কাছে অন্যায় করেছি। যে পর্যন্ত মা খালেছ নিয়তে মাফ না দিবেন, আপনি যত বড় জ্ঞানি হন, পীর ফকির, সাধু সন্নাসী হন না কেন, আজমীর শরীফ, মক্কাশরীফ গমন করেন না কেন ? মায়ের আর্শ্বিবাদ ছাড়া আপনার মুক্তি নেই। আমাদের সকলেরই পিতা মাতার বাধ্যগত হওয়া উচিত। পিতা মাতার কর্তব্য সাধনে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া দরকার। তাদের মনে কথায় কাজে কোন ক্রমে কোন অবস্থাতেই দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
মা নেই গৃহে যারক, সংসার অরণ্য তার
দেখিলে মায়ের মুখ, ঘুচে যায় সকল দুঃখ
** সন্তানের প্রতি কতর্ব্য **
সন্তান কে যদি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান
যদি ইসমাইলের মত আউলিয়া বানাতে চান
তবে সারা দুনিয়ার সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর
তার মুখে গাভীর দুগ্ধ, মধু, সরিষার তৈল
চিনি এবং মিশ্রির পানি দিবেন না।
যতক্ষন পর্যন্ত বুকের দুগ্ধ না আসবে নাম নিয়ে শুয়ে রাখবেন। যখন সন্তানের খোরাক আসে তখন সন্তান ক্রন্দন করবে মায়ের বুকে দুগ্ধ আসবে। আপনি গরুর দুগ্ধ পান করালে গরু কে মা বলতে হবে এবং গরুর স্বভাব চরিত্র দেখা দিবে। সে জন্য আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়তে চাইলে গরুর দুগ্ধ, বকরীর দুগ্ধ মধু, এ সমস্ত খাবার জন্মের পর মায়ের দুগ্ধ পান না করা পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন না। সবাই কে মায়ের দুগ্ধ পান করাতে হবে। এভাবে কাজ করলে সন্তান বাধ্যগত হবে।
পিতা মাতার মনে কোন দিন কষ্ট দিবে না। তার কারণ পশুর আত্মা তার মাঝে প্রবেশ করতে পারেনি। নাম মানুষ কার আত্মা কিসের কেউ বলতে পারবে না। তবে চিন্তা করলে খেছালত দেখে চিনতে পারবেন। সন্তানের প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন মা। মা সব সময় সন্তান কে ধর্মের বাণী শিক্ষা দিবেন। আদর সোহাগে আপ্যায়ন করবেন। বাবা, সোনামনি, নবী মার খাইছেন মারেন নাই, গালি দেন নাই, চুরি করেন নাই, মিথ্যা কথা বলেন নাই, খারাপ কাজ করেন নাই, নবী যে কাজ করেন নাই, সে কাজ করো না করলে অন্যায় হবে, তার পরিণাম কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। তাকে আরো স্মরন করিয়ে দিতে হবে।
মহা জ্ঞানি মহাজন
যে পথে করে গমন
হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়
সেই পথ লক্ষ্য করে
স্বীয় কীর্তি ধ্বজাধরে
আমরাও হব বরণীয়
কখনো নিষ্ঠুর বাক্যে প্রেম ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠা হয় না। কঠিন ব্যবহার ও রূঢ়তায় মানবাত্মার অধঃপতন হয়। সাফল্য কিছু লাভ হলেও আত্মা যে দরিদ্র হইতে থাকে। সুযোগ পাইলেই সে আপন পশু স্বভাবের পরিচয় দেয়।
যে পরিবারের কর্তা ছোটদের সংগে অতিশয় কদর্য্য ব্যবহার করে সেই পরিবারের প্রত্যেকের স্বভাব অতিশয় মন্দ হইতে থাকে। শিশুর প্রতি এক একটা নিষ্ঠুর কথা, এক একটা মায়াহীন ব্যবহার তাহার মনূষ্যত্ব অনেক খানি কমাইতে থাকে, এতএব শিশুকে নিষ্ঠুর কথা বলিয়া তাহার সংগে প্রেমহীন ব্যবহার করিয়া তাহার সর্বনাশ করিওনা। একটা মধুর ব্যবহার অনেক খানি রক্তের মত-শিশুর মনুষ্যত্বকে সঞ্জীবিত করে, পরিবারের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য সকলেরই চেষ্টা করা উচিত। ইহাই পরিবারের প্রতি প্রেম।
**পীর মুরিদ**
মুরীদ হয়ে পীর কে বাপ ডাকলে
নিজের বাপ কে তালৈ বলতে হয়
পীর মুরিদ থাকবে না দুনিয়ায়
ভন্ড ফকিরের দল তারা তারি সোজা হবি বল
আর নইলে বাচবি না সকল
এ যুগে ছাটাই বাছাই আর পরিক্ষা
সত্য পথ চেনার জন্য, জানার জন্য, আমরা পীর ধরি। আপনি আমার নবী, আপনার নবী কে? পীর পুরহীতগন তার পীর কে নবী বলে স্বীকার করে কিন্তু হাশরের মাঠে পীর বলবে আমি তোমার নবী, আমার নবী কই ? সেদিন তার ভক্তের খবর থাকবে না।
আমি আমার পিতা মাতার কারনে জগৎ দেখেছি
কোন পীরের দ্বারা জগৎ দেখিনি
পীরের ক্ষমতা নেই আমার পাপের তরি পাড়ে ভিড়াতে
সারা জীবন ভুল করে পশুর আত্মা মানব কুলে জন্ম দেওয়া। আমরা নিজের পিতা মাতাকে দেখলে ছালাম দেইনা, মৌলভী, মুন্সি, পীর, ফকির সাধু সন্ন্যাষী কে দেখলে ছালাম দেই। বাবা বলে সম্বোধন করি। জন্মদাতা পিতা মাতা কে ছালাম দিতে লজ্জা বোধ করি। ঘরের দোয়া বাহিরে ফেলি, নিজের বাবা মা কে না খাওয়াইয়া পীর ফকির মৌলভী মুন্সি সাধু সন্ন্যাষী কে খাওয়াই। অয়েসকরনী মার খেদমত করে নবীর জামা লাভ করেন। কোন পীর ফকির মৌলভী মুন্সির সাধু সন্ন্যাষীর পাত পা টিপে পান নাই। অয়েসকরনীর মত যার যার মায়ের খেদমত করতে হবে। নিজে না খেয়ে পিতা মাতা কে খাওয়াতে হবে, পড়াতে হবে পিতা মাতাকে পীরের ন্যায় ভক্তি করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে।
পিতা মাতা ছাড়া পীর নেই
পীর কথাটা থাকবে না
দয়াল বলে ডাকতে হবে
জগতে আর পীরের দরকার পরবে না
দয়াল নবী কে খুজে বের করুন তিনি সত্য রাস্তা দেখিয়ে দিবেন। তার নামই হবে দয়াল নবী কারন দয়া করে পথ বাতলিয়ে দিবেন তাই।
**খাটি মুসলমান**
মাথায় টুপি দিলে মুসলমান কয় না তারে
এই চোখে যদি পরের স্ত্রী দেখে কামভাব জাগে
থুতায় দাড়ী রাখলে মুসলমান কয় না তারে
এ মুখ থেকে যদি মিথ্যা কথা না দেয় দুরে
লিঙ্গের আগা কাটলে মুসলমান কয় না তারে
দিল যদি পরশ পাথরের মত পরিস্কার না করে।
হাজার লক্ষ কোরআন কিতাব যদি কোন মৌলভী মুন্সি হাফেজ ক্বারী পড়ে। মুখটা ঠিক না থাকলে কবুল হবে না আল্লাহ রাসুলের দরবারে। মুখটা ঠিক থাকবে কি করে ? চোর চোট্টা বদমাইশ গুন্ডা, প্রত্যেকের বাড়ীতে অসদুপায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করা ভাল খানা খেয়ে পীর ফকির, সাধু সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সী মুখটা অপবিত্র করে দিয়েছে। এ মুখে হাজার বাছর মসজিদ মাদ্রাসায় এবাদত বন্দেগী করে পাক হবে না এ সংসারে। মাইটা পাতিল কুকুরে খেলে সাতটি ধোয়া দিলে সারে এর চেয়ে মুখটা খারাপ হয়ে পরে।
বাজারের বেশ্যা ইজ্জত বিক্রি করে ভাত খায়, তার টাকা স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, দরগা ভিবিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠানে যায়।
,কিসের মুসলমান ? লালমিয়ার কথা বিচার করুন, হতে হবে সব এক সমান।
আমরা টুপি মাথায় দিয়ে মুসলমান নাম কলাই। থুতায় দাড়ী রেখে, লিঙ্গের আগা কেটে মুসলমান বলে দাবী করি। যে পর্যন্ত নবীর আইন পুরোপুরি না মেনে নিব, ততদিন পর্যন্ত খাটি মুসলমান হতে পারব না। নবী জীবনে মিথ্যা কথা বলেন নাই, পরের স্ত্রীর দিকে খারাপ নজরে তাকাননি। নিজ হাতে খেটে ভাত খেয়েছেন।
নবী ওয়াজ করে কুরআন পড়ে
কারো বাড়ী হতে টাকা নেননি
নিজের বাড়ী খেয়ে ইসলাম প্রচার করেছেন
আমরা ইসলাম প্রচারের দোহাই দিয়ে চোর, গুন্ডা, মাতাল সবার কাছ হতে টাকা সংগ্রহ করি। আমরা বলি পতিতারা পৃথিবীর সব চেয়ে ঘৃণ্য, তাহলে পতিতালয় মুসলিম দেশে কেন রাখা হল ? পতিতার ইজ্জত বিক্রি করা পয়শা হারামি পয়শা আপনার হালাল পয়শার সাথে মিশে অপবিত্র করে দিচ্ছে না। কারণ পয়শার গায়ে লেখা থাকে না যে এটা বাইজির পয়শা, আমি গ্রহন করব না। যে পর্যন্ত নবীর আইন ষোল আনা জারী না হবে ততোদিন পর্যন্ত মুসলমান বলে দাবী করতে পারব না। তাস খেলা, বল খেলা, জুয়া খেলা, মদ খাওয়া ঘুষ খাওয়া, বেশ্যালয়ে যাওয়া এ সমস্ত আর্বজনা কাজ গুলি ছারুন।
পাটে পানি, দুধে পানি, মিথ্যা কথা, আড়ৎদারী গরীব কে কম মেপে দেওয়া, পাল্লা বাটখারা ঠিক করবেন, খাটি মুসলমান হতে পারবেন। এর আগে একটি মুসলমান ও নাই সব আমরা বেঈমান হয়ে গেছি ভাই।
** আদম সন্তান **
মুর্তি পূজক নিজ হাতে মুর্তি বানাও আবার
নিজেই মুর্তির পা ধরে কান্দ
এক ফোটা পানির দ্বারা তোমার মার উদরে তোমাকে কে বানায় ?
লাল মিয়ার কথা চিন্তা করবেন
মুর্তি পুজা শিঘ্রই ছাড়েন
যার যার বাপ মার পা ধরেন
অয়েসকরনীর মত ঘরে বসে পেতে পারেন।
এখন আর মুর্তি পূজা, বৃক্ষ পূজা, দেব দেবীর পূজা, সূর্য্য পূজার যুগ নেই। দেবতা, জ্বীন পরি ফেরেস্তা সব মানুষের কুলে এসে গেছে। চিন্তা করুন মানুষের দূর্গা, গনেশ, লক্ষ্মী, নারায়ন নিমাই, শরস্বতী, সীতা সকল দেবতাদের নাম মানুষের মাঝে এসে গেছে, আবার আজরাইল জিব্রাইল, মিকাইল, ইস্রাফিল ফেরেস্তাদের নাম মানুষের মাঝে প্রবেশ করেছে। আবার নবী রাসুল, আঃ কাদের, আবু বকর, আলী ওসমান, আউলিয়াদের নাম মানুষের মাঝে প্রবেশ করেছে।
মানুষ ছাড়া দেবতা নেই, ফেরেস্তা নেই, জ্বীন, পরী কিছুই নেই
আমরা মাটির মানুষ আদম সন্তান।
প্রত্যেকে যার যার যুগের পাতা উল্টিয়ে
দিল কুরআন দিয়ে বিচার করে দেখুন
আপনি কোন যুগে কি ছিলেন ?
তাহলে আর হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খৃষ্টান
মুশরেক কাফের ভিবেদ সৃষ্টি হবে না।
সবাই আমরা একই মায়ের সন্তান আদম সন্তান
এই দুনিয়ায় কেহ কারো পর নই
এই জগতে কেহ ওর আপনার নাই
কেহ হব বোন মোরা কেহ হব ভাই।
মুসলিম হিন্দুরে বাধি প্রেমের বন্ধনে
প্রতিষ্ঠিত এক ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রানে।
চেয়ে ছিলো দেখিবারে সেই মহাজন
সেকেন্দ্রা তাহার অস্তি করিছে ধারন
আজ যুগ যুগান্তরে সেই দুই জাতী
বিদ্রোহে কি কলহেতে রহিয়াছে মাতি।
যদি কোন শুভ দিনে বিধীর বিধানে
এই দুই মহাজাতী মিশে যায় প্রাণে
সেকেন্দ্রা তোমার এই নিরব শ্মশান
সেদিন বিশ্ব হবে মহা তীথ স্থান।
** গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্তি **
স্বাধীনতা স্পর্শ মনি সবাই ভালবাসে
সুখের আলো জ্বালো বুকে দুঃখের ছায়া নাশে
স্বাধীনতা সোনার কাঠি খোদার সুধা দান
স্পর্শে তাহা নেচে ওঠে শূন্যে দেহে প্রাণ
মনুষ্যত্বের বান ডেকে যায় পশুর হৃদয় তলে
বুক ফুলায়ে দাড়ায় ভীরু স্বাধীনতার বলে
দর্প তরে পদাহত উচ্চ করে শীর
শক্তিহীনেও স্বাধীনতা আখ্যাদানে বীর।
অর্থ হায়রে অর্থ? হায়রে পাতকী অর্থ ? তুই জগতের সকল অর্থের মুল। জীবের জীবনের ধ্বংস সম্পত্তির বিনাশ, পিতা পুত্রের শত্রুতা, স্বামী-স্ত্রীতে মনোমালিন্য, ভ্রাতা বগ্নিতে কলহ, রাজা প্রজার বৈরি ভাব বন্ধু বান্ধবে বিচ্ছেদ, বিবাদ, বিসংবাদ, কলহ, বিরহ, বিসর্জন, বিনাশ এ সকলই তোমার জন্য, সকল অর্থের মুল কারনই তুমি। তোমার কি মোহনী শক্তি ! কি মধু মাখা বিষযুক্ত প্রেম, রাজা, প্রজা, ধনি, নির্ধন যুবক, বৃদ্ধ, সকলেই তোমার জন্য ব্যস্ত, মহা ব্যস্ত, প্রাণ ওষ্ঠাগত। তোমারই জন্য কেবল তোমারই কারনে কত জনে তীর, তরবারী, বন্দুক, বর্শা গোলাগুলি অকাতরে বক্ষ পাতিয়া ভরিতেছে। তোমারই জন্য অগাদ জলে ডুবিতেছে, ঘোর অরন্যে প্রবেশ করিতেছে। পর্বত শিখরে আরোহন করিতেছে। রক্ত মাংশপেশী, মরমানু সংযোজিত শরীর ছলনে, তোমারই জন্য শূন্যে উড়াইতেছে। কি কহুক, কি মায়া, কি মোহনী শক্তি। তোমার কুহকে কে না পড়িতেছে ? কে না ধোকা খাইতেছে ? কে না মজিতেছে ? তুমি দুর হও ! তুমি দুর হও ! তোমার নাম করিয়া কথা কহিতে অংগ শিহরিয়া ওঠে।
অভাবের তাড়নায় নিরন্ন মানুষগুলি গ্রাম ছেড়ে শহর মুখি হয় এক মুঠো ভাতের জন্য দুটো টাকার জন্য কিন্তু তারা পেটের দায়ে উচু তলার মানুষের গোলাম বাদীর কাজে নিযুক্ত হন। দিন রাত কাজ করেও তাদের সন্তুষ্টির পরিবর্তে পেতে হয় ধিক্কার, ছোটলোক। গরীব শুধু চোখের পানি ফেলার জন্য যুগে যুগে জন্ম নেননি। এ যুগে অনাহার ক্লিষ্ট দুঃখি মানুষ গুলি কে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের মাঝে মায়া মমতা বোধ বলতে কিছু নেই। থাকলে কাউকে কেউ ঠকাতাম না। কারো ক্ষতি কেউ করতাম না। কারো দুঃখে হাসতাম না। কেউ লেপ তোষক দালান কোঠায় ঘুমায় আবার কেউ রাস্তা ঘাটে বিনা বিছানায় ইটের উপড় মাথা রেখে ঘুমায়। কেউ পোলাও কুর্মা ভাল খানা খেয়ে জীবন ধারন করছে আবার কেউ ফেলে দেওয়া খাবারের আসে থালা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে দুল ছাই খেয়ে তাড়িত হচ্ছে।
বিধির একি নিয়ম
আমাদের মানুষ প্রাণ কেন হবে এত নিরেট পাষান
আমরা প্রত্যেকে আদম হাওয়ার বংশধর
কাজেই
দুনিয়ায় কেউ পাবে
কেউ পাবে না
তা হবে না, তা হবে না
সবাই কে সব কিছু বন্টন করে দিতে হবে। যেন পৃথিবীতে গরীব ছোট বলে কেউ কাউকে ধিক্কার পেতে না হয়।
নবীজি চাকরাণী দিয়ে কাজ করান নি। আমরা কেন করাব ?
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনি পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
আপনি যদি বাবু সেজে আরাম করে অন্যকে দিয়ে কঠিন কাজ করিয়ে কষ্ট দেন তবে পরের যুগে তার গোলামী আপনাকে করতে হবে। এ জন্য নবী নিজের কাজ নিজে করেন। গোলামীর জিঞ্জীর থেকে সবাই কে মুক্তি পেতে হবে।
অন্ধ মোহ বন্ধ তব দাও মুক্তি করি
রেখনা বসায়ে দ্বারে জাগ্রত প্রহরী
হে জননী আপনার স্নেহ কারাগারে
সন্তানের চীর জন্ম রন্দী রাখিবারে।
বেষ্ঠন করিয়া তারে আগ্রহ পরশে
জীর্ণ করিয়া দিয়া লালনের রসে;
মন্যুষ্যত্ব স্বাধীনতা করিয়া শোষণ
আপন ক্ষুদিতচিত্ত করিবে পোষণ
দীর্ঘ গর্ভবাস হতে জন্ম দিলে যার
স্নেহ গর্ভে গ্রাসিয়া কে রাখিবে আবার?
চলিবে সে এ সংসারে তোর পিছু পিছু
সে কি শুধু অংশ তোর আর নহে কিছু ?
নিজের সে বিশ্বের সে বিশ্ব দেবতার
সন্তান নহে গো মাতা সম্পত্তি তোমার।