**দরগা পূজা**

বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়

অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দ ময়

লভিব মুক্তির স্বাদ, এই বসুধার

মৃত্তিকার পাত্র খানি ভরি বার বার

তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত

নানা বর্ণ গন্ধময় প্রদীপের মতো

সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়

জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমার শিখায়

তোমার মন্দির মাঝে ইন্দ্রয়ের দ্বার

রুদ্ধ করে যোগাসন সে নহে আমার।

যা কিছু আনন্দ দৃশ্যে গন্দে গানে

তোমার আনন্দ রবে তার মাঝ খানে।

মোহ মোর মুক্তি রূপে উঠিবে জ্বলিয়া

প্রেম মোর ভক্তি রূপে রহিবে ফলিয়া।


সংসার ত্যাগ করে আগর বাতি মোম বাতি জ্বেলে, গাজা, সিদ্দি খেয়ে মেয়ে পুরুষ ডাক ঢোল পিটিয়ে দরগায় লাফা লাফি করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না।


কর্ম ই ধর্ম, কর্ম ছাড়া ধর্ম সাধন হয় না

সৎকর্ম দ্বারাই মুক্তির পথ প্রশারিত সম্ভব


কবরে রূহ জায় না। কাজেই মৃত ব্যাক্তি কে পুজা করলে কোন কাজ হবে না। জিন্দা ব্যাক্তির পুজা করতে হবে। জ্ঞানি গুনি মহতগন কে জীবদ্দশায় চিনতে হবে। জানতে হবে কায়া বদলের পর কবরে মাথা ঠুকলে কাজ হবে না।

১) দেবতা মন্দির মাঝে ভক্ত প্রবীন

জপিতেছে জপ মালা বসি নিশি দিন।

হেনকালে সন্ধ্যা বেলা ধুলি মাখা দেহে

বস্ত্রহীন জীর্ণ দীন পশিল সে গৃহে।

কহিল কাতর কন্ঠে গৃহ মোর নাই

এক পাশে দয়া করে দেহ মোর ঠাই।

সসঙ্কোচে ভক্তবর কহিলেন তারে

আরে আরে অপবিত্র দুর হয়ে যারে

সে কহিল চলিলাম চোক্ষের নিমিষে

ভিক্ষারী ধরিল মুর্তি দেবতার বেশে।

ভক্ত কহে প্রভু মোরে কি ছল ছলিলে ?

দেবতা কহিলো মোরে দুর করে দিলে ?

জগতে দরিদ্র রূপে ফিরি দয়া তরে

গৃহহীনে গৃহ দিলে আমি থাকি ঘরে।


(২) ভজন পুজন সাধন আরাধন

সমস্ত থাক পড়ে

রুদ্ধ দ্বারে দেবালয়ের কোণে

কেন আছিস ওরে

অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে

কাহারে তুই পুজিস সঙ্গোপনে?

নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে

দেবতা নাই ঘরে

তিনি গেছেন সেথায় মাটি ভেঙ্গে

করছে চাষা চাষ

পাথর ভেঙ্গে কাটছে যেথায় পথ

খাটছে বার মাস।

রৌদ্র জলে আছেন সবার সাথে

ধূলা তাহার লেগেছে দুই হাতে।

তারি মতন শুচি বসণ ছাড়ি

আয়রে ধুলার পরে।

আমরা আদম হাওয়ার সন্তান, পূর্ব যুগে তাহারা চাষাবাদ করে গেছেন। নবী নিজে কাজ করে গেছেন। কাজেই এবার কুরআন বিক্রি করে, গান বিক্রি করে, খাওয়া চলবে না। পীর, ফকির সাধু, সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সি, সবাই শুচি বসন ছেড়ে দিয়ে নিজ হাতে নবীর আইন মেনে নবীর মত খেটে খান।

তানা হলে -


খাইছ টাকা দিবানা

সবত বাড়ী থাকব না

আমরা যদি কারো অন্যায় না করি

কারো ক্ষতি না করি

তাহলে জেল খানার দরকার পরবে না

কোর্ট কাচারী দারগা পুলিশ

হাকিম উকিল কারো দরকার পরবে না

সবাই যদি আদর্শ মানুষ হয়ে যাই। তখন উচু নিচুর পার্থক্য থাকবে না। কেউ সাব, কেউ কুলি কেউ মিয়া, কেউ খা, কেউ ভুইয়া, এটা স্মরন করতে হবে সবাই মাটির মানুষ। সবার শরীরে একই রক্ত মাংস।


ছেড়ে দিয়ে বাবুয়ানা মাটি খুড়ে ফলাও সোনা

সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা

দেশ মাতারই মুক্তি কামী দেশের সেজে আশা।

দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড় ?

পুর্ণ্য তত হবে না কো সব করিলেও জড়।

মুক্তিকামী মহা সাধক মুক্ত করে দেশ

সবারই সে অন্ন যোগায় নেইকো গর্ব লেশ।

ব্রত তাহার পরের হীত সুখ নাহি চায় নিজে

রৌদ্র দাহ তপ্ত তনু শুকায় মেঘে ভিজে

আমার দেশের মাটির ছেলে করি নমস্কার

তোমার দেখে চূর্ণ হোক সকল অহংকার

তুমি মোদের সবার নেতা তুমি মহা প্রান

তোমায় দেখে চূর্ণ হওক ভন্ড সাধকের নাম।