খাটি মুসলমান

মাথায় টুপি দিলে মুসলমান কয় না তারে

এই চোখে যদি পরের স্ত্রী দেখে কামভাব জাগে

থুতায় দাড়ী রাখলে মুসলমান কয় না তারে

এ মুখ থেকে যদি মিথ্যা কথা না দেয় দুরে

লিঙ্গের আগা কাটলে মুসলমান কয় না তারে

দিল যদি পরশ পাথরের মত পরিস্কার না করে।


হাজার লক্ষ কোরআন কিতাব যদি কোন মৌলভী মুন্সি হাফেজ ক্বারী পড়ে। মুখটা ঠিক না থাকলে কবুল হবে না আল্লাহ রাসুলের দরবারে। মুখটা ঠিক থাকবে কি করে ? চোর চোট্টা বদমাইশ গুন্ডা, প্রত্যেকের বাড়ীতে অসদুপায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করা ভাল খানা খেয়ে পীর ফকির, সাধু সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সী মুখটা অপবিত্র করে দিয়েছে। এ মুখে হাজার বাছর মসজিদ মাদ্রাসায় এবাদত বন্দেগী করে পাক হবে না এ সংসারে। মাইটা পাতিল কুকুরে খেলে সাতটি ধোয়া দিলে সারে এর চেয়ে মুখটা খারাপ হয়ে পরে।

বাজারের বেশ্যা ইজ্জত বিক্রি করে ভাত খায়, তার টাকা স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, দরগা ভিবিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠানে যায়।


,কিসের মুসলমান ? লালমিয়ার কথা বিচার করুন, হতে হবে সব এক সমান।


আমরা টুপি মাথায় দিয়ে মুসলমান নাম কলাই। থুতায় দাড়ী রেখে, লিঙ্গের আগা কেটে মুসলমান বলে দাবী করি। যে পর্যন্ত নবীর আইন পুরোপুরি না মেনে নিব, ততদিন পর্যন্ত খাটি মুসলমান হতে পারব না। নবী জীবনে মিথ্যা কথা বলেন নাই, পরের স্ত্রীর দিকে খারাপ নজরে তাকাননি। নিজ হাতে খেটে ভাত খেয়েছেন।


নবী ওয়াজ করে কুরআন পড়ে

কারো বাড়ী হতে টাকা নেননি

নিজের বাড়ী খেয়ে ইসলাম প্রচার করেছেন


আমরা ইসলাম প্রচারের দোহাই দিয়ে চোর, গুন্ডা, মাতাল সবার কাছ হতে টাকা সংগ্রহ করি। আমরা বলি পতিতারা পৃথিবীর সব চেয়ে ঘৃণ্য, তাহলে পতিতালয় মুসলিম দেশে কেন রাখা হল ? পতিতার ইজ্জত বিক্রি করা পয়শা হারামি পয়শা আপনার হালাল পয়শার সাথে মিশে অপবিত্র করে দিচ্ছে না। কারণ পয়শার গায়ে লেখা থাকে না যে এটা বাইজির পয়শা, আমি গ্রহন করব না। যে পর্যন্ত নবীর আইন ষোল আনা জারী না হবে ততোদিন পর্যন্ত মুসলমান বলে দাবী করতে পারব না। তাস খেলা, বল খেলা, জুয়া খেলা, মদ খাওয়া ঘুষ খাওয়া, বেশ্যালয়ে যাওয়া এ সমস্ত আর্বজনা কাজ গুলি ছারুন।

পাটে পানি, দুধে পানি, মিথ্যা কথা, আড়ৎদারী গরীব কে কম মেপে দেওয়া, পাল্লা বাটখারা ঠিক করবেন, খাটি মুসলমান হতে পারবেন। এর আগে একটি মুসলমান ও নাই সব আমরা বেঈমান হয়ে গেছি ভাই।