** রহস্য উদ্ঘাটন **
শান্তি ও সুখ কথা দুটি শুনলে পর সবার মনে আনন্দ ধরে, মনে মনে কামনাও করি তাই, কিন্তু সে সুখ, সে শান্তি, কি ভাবে কোথায় পাব ? শান্তি ক্ষণস্থায়ী নয়, শান্তি চিরস্থায়ী। পরপারের মুক্তি ও মিলনের আসে সঠিক পথ অনুসন্ধানের জন্য কেউ বৃক্ষের নীচে, কেউ পাহাড়-পর্বতে, কেউ মসজিদে, কেউ মন্দিরে, যার যেখানে মন ছুটে বেড়াচ্ছে সেখানেই সে অনুসন্ধান করছে।
আমরা দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, আটরশি, বেলতলি, বাঘের হাট সিলেট ভিবিন্ন স্থানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটা-ছুটি করে হয়রান হচ্ছি। এ হয়রানীর পেছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে আর তা হচ্ছে পরপারের মুক্তি।
যে যেখানে গমন করেছেন তথা হতে যে বাণী শ্রবণ করেছেন, তা পেয়েই সে সন্তুষ্টি লাভ করছেন
সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য বিগত দির্ঘ দিন যাবৎ আপনাদের সু-পরিচিত, বিশ্ব শান্তিকামী মোঃ লাল মিয়া শান্তির বাণী প্রচার করে মুক্তি ও মিলনের ডাক দিচ্ছেন। আমরা নিরক্ষর ভেবে পাগল উপাধি দিয়ে দুরে সরিয়ে রাখছি।
চক চক করলেই স্বর্ণ হয় না। গোবরে ও পদ্ম ফুল ফুটে
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়িয়ে দেখ তাই
পাইলে ও পাইতে পার মানিক রতন।
একজন মানুষকে তার বাহিরের চাকচিক্য দেখে বা তার নোংরা পরিবেশ দেখে তার আসল পরিচয় জানা যায় না। যতদিন পর্যন্ত তার ভিতর বাহির সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত না হব। তাহলে আপনারা দয়া করে একবার লাল মিয়ার কাছে আসুন আসল পরিচয় জানার জন্য। তিনি জীবনে কোন দিন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় বিদ্যাভ্যাস করেননি, এমন কি কোন পীরের মুরিদও হননি। এখন ভাববার বিষয় তাহলে তিনি কি ভাবে কোথায় পেলেন এ গভীর তত্ত্বকথা। কি জন্যে ? কেন এত ত্যাগ স্বিকার করে মানুষের দ্বারে দ্বারে কাঙ্গাল বেশে মুক্তির ডাক ছাড়েন। মানুষে বলে পাগল, ফকির, সাধু সন্ন্যাসী যার যা মনে ধরে। তার এসব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ আমরা গোপন তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরছি। কি ভাবে কোথা হতে তিনি এ তত্ত্ব কথা লাভ করেন।
সে অনেক বড় ইতিহাস তাই সংক্ষেপে আংশিক জানাতে চেষ্টা করছি।
তিনি একজন খেয়া ঘাটের মাঝি নৌকা চালাতে অনেকে দেখেছেন, দুরের যারা তারা হয়ত শুনেছেন আবার কেউ কেউ হয়ত শহর বন্দরে কোর্ট কাচারীতে, মসজিদ, মন্দিরে, গীর্জায়, হাটে, বাজারে ফকিরের মেলায়, ওয়াজ মাহফিলে সর্বত্র শান্তির বাণী প্রচার করতে দেখেছেন। তিনি ধলেশ্বরী খেয়াপার তরণী ঘাটে খেয়াপার করতেন।
একদিন সন্ধ্যার পর তিনি একাই নৌকায় বসা, কোথাও কোন লোকের সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। রাত্র যখন ৮ - ৯ টা হল তখন হঠাৎ করে দেখা গেল একজন লোক ধীর পথে তার নৌকায় এসে উঠলেন, উঠে বললেন, মাঝি নৌকা ছাড়। একজন লোক নিয়ে পারাপার করলে পোষাবে কি ? না ইতস্ততঃ করতে লাগলেন কিন্তু আগন্তক পরপর কয়েকবার বলার পর তিনি নৌকা ছাড়লেন। নদীর কিছু দুর যেতে না যেতেই দেখলেন নৌকায় সাত জন লোক। সাত জন লোক দেখে তিনি থমকে গেলেন, মনে মনে ভাবলেন আরে ব্যাপার কি ? একজন লোক নিয়ে নৌকা ছাড়লাম এখন সাত জন লোক এলো কত্থেকে ? এরকম ভাবার পর নৌকা যখন নদীর মাঝ খানে অবস্থান করল, তখন দেখতে পেলেন ছায়ার মত কায়া ধরা অসংখ্য লোক। সবাই নিশ্চুপ। এত লোক দেখে তার ভয়ে শরীরের পশম খারা হয়ে গেল, মনে হল এ যেন এক আজব পরিস্থিতি।
আল্লাহ রাসুলের লিলা বুজা দায়। তাই তার মুখ দিয়ে আপনি সরাসরি গালি বের হয়ে এল যে তোরা এক চোর নৌকায় উঠলি এত চোর কোথা হতে এলি ? সব আমার নৌকা হতে নাম। সবাই বলল মাঝি নৌকা চালাও। তিনি বললেন তোরা কারা ? কেন এলি ? পরিচয় না দিলে নৌকা চালাব না। নৌকা নদীর মাঝ খানে স্থির হয়ে রহিলো। তখন সবাই প্রত্যেকের মুখ পানে চেয়ে বলা বলি করতে লাগলেন পরিচয় দিতে আসছি পরিচয় দাও। প্রথম ব্যাক্তি তার নিজের পরিচয় হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বলে তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল, ফাতেমা জান্নাত যার নাম, ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, উসমান গনি এ ভাবে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের নাম বলে সকলের পরিচয় দেন।
তারপর বলেন তুই কি চাস ? তুই যদি নদীর পানি, মাটি, গাছের পাতা, যে কোন রুগীর হাত দেছ, যে কোন রোগ ভাল হবে। তিনি বললেন আমি এ সবের কিছুই চাই না। আপনার উম্মতকে হেদায়েত করার জন্য চাকুরী চাই। চোখের পানি ফেলে বললেন, আমার উম্মত কে গান-বাজনা, ওয়াজ নছিহত সবই দিয়াছি কোন ক্রমেই আমার উম্মত হেদায়েত হয় নাই। উম্মতের মার-পিট, জুলুম-অত্যাচার, আমি সহ্য করতে পারি নাই, তুই এ চাকরী পারবি না। তিনি বললেন আপনার দোয়ায় আমি পারব। মুখ বাক্য দিলেন গালি দিয়ে আমার উম্মত কে হেদায়েত কর, মার খাইছ, মারিছ না। আমিই বিচার করব। যখন আমার উম্মত বুজে শুনে চিনে তোকে রেডিওতে পাঠাবে, সেখানে গিয়ে দেখবি আমি বসা। রেডিওতে তোকে বলতে হবে না, আমার উম্মত কে আমিই হেদায়েত করব। লোকে দেখবে তুই বলতেছিস, যাদের মনশ্চুক্ষু আছে তারা আমাকে দেখবে। আখের জাখের বায়তন ও গুপ্তন সব জায়গায় ই আমি, এ সমস্ত কথা কথোপকথনের পরই তারা নিমিষে উধাও হয়ে যান।
এখান থেকেই তিনি মুখ বাক্যদ্বারা তত্ত্ব কথা লাভ করলেন। এখন আপনারা নিশ্চয় জানলেন, তিনি কি ভাবে কোথা হইতে তত্ত্ব কথা লাভ করলেন, তাকে আরো ভাল করে জানতে হলে চিনতে হলে তার স্মরণাপন্ন হয়ে গোপন তত্ত্ব সংগ্রহ করুন।
প্রত্যেক যুগেই একজন করে মহা মানবের আগমন ঘটে। এটা আউলিয়াদের যুগ। রাজা যদি আউলিয়া হন তবে প্রজাও আউলিয়া হবে, এ সত্য যুগে যে মহামানবের আগমন ঘটবে তার নাম হচ্ছে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ)
ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমন সম্পর্কে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যদি বিতর্কের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সেই মহা মানব কে আপনাদের মাঝে শান্তি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পেতে চান তবে
“অমর বাণী” গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করে বিবেকের সাথে বুজাপড়া করে হৃদয়ঙ্গম করুন। সব কিছু পরিস্কার বলে হালকা বলে মনে হবে।