**সবে আল্লাহ়্ রাসুল বলুন**
দয়াল নবীর আপন চাচা আবুজেহেল কে বলেছিলেন চাচা আল্লাহ রাসুল বলুন, আবুজেহেলে বলে ছিলেন তুই হইলি পেটের ছেলে, তোকে রসুল বলব ? মরে গেলেও না। আল্লাহ মাবুদ বলব। এখনও আমরা আল্লাহ মাবুদ বলছি।
মানুষ ছাড়া খোদা নাই জোদা
বাপ আল্লাহ্, মা রাসুল
আল্লাহর মাল নবীর নিকট থাকত সেইরূপ বাপের মাল সম্পূর্ণ মার নিকট থাকে। সারা দুনিয়া আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে নবী কে হারিয়ে আল্লাহর জন্য পাগল প্রায়। হাশরের দিন নবী বলবেন হে দোস্ত এগুলি আমার উম্মত নয় তোমার বান্দা। আমাকে চায় নাই তোমাকে চেয়েছে। আমি তোমার বান্দাকে শাফায়ত করতে পারব না। তখন আল্লাহ পাগল গুলি কে বলবে যাও আগুনে ঝাপ দাও। আল্লাহ বার বার বলেছেন আমাকে না ডেকে আমার দোস্ত কে ডাক তবেই আমি খুশি।
আল্লাহ বলছেন তুহি তুহি সব রং মেরা
তুহি হায় সব রঙ্গেই খোদা
খোদা সর্বময়, সব জায়গায়
আঠার হাজার মাখলুকাত জোড়া খোদা
আল্লাহ হল নূর, আগুন, কুদরত, আল্লাহ কে দরবার কারো ক্ষমতা নেই। কিন্তু তার কুদরত দেখে চিনতে হবে। যেমন গাছের বাকলার নাম নবী, ভিতরের সার আল্লাহ। মানুষের কায়া হল নবী, ভিতরের রূহু হচ্ছে আল্লাহ। ধানের তুষ নবী ভিতরের চাল আল্লাহ।
তাহলে আল্লাহ রাসুল এক না হলে
কোন কিছুই পয়দা হয় না।
আদম যদি হাওয়ার সাথে না মিশতেন তবে আমরা হতাম না।
আমরা শুধু আল্লাহ কে ডাকি নবী কে ডাকি না। আমরা যদি শুধু আল্লাহ কে ডাকি তাহলে নবী অসন্তুষ্ট হন। কাজেই এবার আল্লাহ রাসুল এক সংগে বলতে হবে। তবেই আল্লাহ রাসুল প্রত্যেকেই খুশি হবেন।
আল্লাহর নুরে নবী তৈয়ার আর নবীর নুরে সারা জাহান তৈয়ার
আমরা ডাকব নবী কে, নবী ডাকবেন আল্লাহ কে।
মাতা যদি পিতার আসল পরিচয় না দেন
সন্তানের ক্ষমতা নেই পিতার আসল পরিচয় পাবার
আমরা বলব মা খেতে দিন ? ঘরে খাবার না থাকলে মা বাবা কে বলবেন। খাবার নেই সন্তানের জন্য খাবার আনতে হবে। আমরা ডাকব মাকে মা ডাকবেন বাবাকে। নবী কে ডাকলেই আল্লাহ কে পাওয়া যাবে। কাজেই এবার সবাই আল্লাহ মাবুদ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ রাসুল বলুন।
দুনিয়ার সকলে আল্লাহ়্ রাসুল বলেন
সোজা পথে চলেন নইলে গন্ডগোল সামনে
**দরগা পূজা**
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দ ময়
লভিব মুক্তির স্বাদ, এই বসুধার
মৃত্তিকার পাত্র খানি ভরি বার বার
তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত
নানা বর্ণ গন্ধময় প্রদীপের মতো
সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমার শিখায়
তোমার মন্দির মাঝে ইন্দ্রয়ের দ্বার
রুদ্ধ করে যোগাসন সে নহে আমার।
যা কিছু আনন্দ দৃশ্যে গন্দে গানে
তোমার আনন্দ রবে তার মাঝ খানে।
মোহ মোর মুক্তি রূপে উঠিবে জ্বলিয়া
প্রেম মোর ভক্তি রূপে রহিবে ফলিয়া।
সংসার ত্যাগ করে আগর বাতি মোম বাতি জ্বেলে, গাজা, সিদ্দি খেয়ে মেয়ে পুরুষ ডাক ঢোল পিটিয়ে দরগায় লাফা লাফি করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না।
কর্ম ই ধর্ম, কর্ম ছাড়া ধর্ম সাধন হয় না
সৎকর্ম দ্বারাই মুক্তির পথ প্রশারিত সম্ভব
কবরে রূহ জায় না। কাজেই মৃত ব্যাক্তি কে পুজা করলে কোন কাজ হবে না। জিন্দা ব্যাক্তির পুজা করতে হবে। জ্ঞানি গুনি মহতগন কে জীবদ্দশায় চিনতে হবে। জানতে হবে কায়া বদলের পর কবরে মাথা ঠুকলে কাজ হবে না।
১) দেবতা মন্দির মাঝে ভক্ত প্রবীন
জপিতেছে জপ মালা বসি নিশি দিন।
হেনকালে সন্ধ্যা বেলা ধুলি মাখা দেহে
বস্ত্রহীন জীর্ণ দীন পশিল সে গৃহে।
কহিল কাতর কন্ঠে গৃহ মোর নাই
এক পাশে দয়া করে দেহ মোর ঠাই।
সসঙ্কোচে ভক্তবর কহিলেন তারে
আরে আরে অপবিত্র দুর হয়ে যারে
সে কহিল চলিলাম চোক্ষের নিমিষে
ভিক্ষারী ধরিল মুর্তি দেবতার বেশে।
ভক্ত কহে প্রভু মোরে কি ছল ছলিলে ?
দেবতা কহিলো মোরে দুর করে দিলে ?
জগতে দরিদ্র রূপে ফিরি দয়া তরে
গৃহহীনে গৃহ দিলে আমি থাকি ঘরে।
(২) ভজন পুজন সাধন আরাধন
সমস্ত থাক পড়ে
রুদ্ধ দ্বারে দেবালয়ের কোণে
কেন আছিস ওরে
অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে
কাহারে তুই পুজিস সঙ্গোপনে?
নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে
দেবতা নাই ঘরে
তিনি গেছেন সেথায় মাটি ভেঙ্গে
করছে চাষা চাষ
পাথর ভেঙ্গে কাটছে যেথায় পথ
খাটছে বার মাস।
রৌদ্র জলে আছেন সবার সাথে
ধূলা তাহার লেগেছে দুই হাতে।
তারি মতন শুচি বসণ ছাড়ি
আয়রে ধুলার পরে।
আমরা আদম হাওয়ার সন্তান, পূর্ব যুগে তাহারা চাষাবাদ করে গেছেন। নবী নিজে কাজ করে গেছেন। কাজেই এবার কুরআন বিক্রি করে, গান বিক্রি করে, খাওয়া চলবে না। পীর, ফকির সাধু, সন্ন্যাষী, মৌলভী মুন্সি, সবাই শুচি বসন ছেড়ে দিয়ে নিজ হাতে নবীর আইন মেনে নবীর মত খেটে খান।
তানা হলে -
খাইছ টাকা দিবানা
সবত বাড়ী থাকব না
আমরা যদি কারো অন্যায় না করি
কারো ক্ষতি না করি
তাহলে জেল খানার দরকার পরবে না
কোর্ট কাচারী দারগা পুলিশ
হাকিম উকিল কারো দরকার পরবে না
সবাই যদি আদর্শ মানুষ হয়ে যাই। তখন উচু নিচুর পার্থক্য থাকবে না। কেউ সাব, কেউ কুলি কেউ মিয়া, কেউ খা, কেউ ভুইয়া, এটা স্মরন করতে হবে সবাই মাটির মানুষ। সবার শরীরে একই রক্ত মাংস।
ছেড়ে দিয়ে বাবুয়ানা মাটি খুড়ে ফলাও সোনা
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
দেশ মাতারই মুক্তি কামী দেশের সেজে আশা।
দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড় ?
পুর্ণ্য তত হবে না কো সব করিলেও জড়।
মুক্তিকামী মহা সাধক মুক্ত করে দেশ
সবারই সে অন্ন যোগায় নেইকো গর্ব লেশ।
ব্রত তাহার পরের হীত সুখ নাহি চায় নিজে
রৌদ্র দাহ তপ্ত তনু শুকায় মেঘে ভিজে
আমার দেশের মাটির ছেলে করি নমস্কার
তোমার দেখে চূর্ণ হোক সকল অহংকার
তুমি মোদের সবার নেতা তুমি মহা প্রান
তোমায় দেখে চূর্ণ হওক ভন্ড সাধকের নাম।
**কবর**
কবর শুধু দুর্গন্ধ চাপা দেওয়ার জন্য
মৃত দেহ মাটির নিজে রাখা হয়
রূহু মরে না, রূহু অমর
রূহু শুধু কায়া পরিবর্তন করে
রূহু একদিনের তৈয়ার
আল্লাহ বলছেন, মানুষ তোমরা যা তৈয়ার কর তা ভাংবে, পচবে, গলবে, নষ্ট হবে, কিন্তু আমি যা তৈয়ার করেছি তা পচবে না, গলবে না, নষ্ট হবে না। রূহু বাতাস, রুহু মানুষ কে ঠান্ডা দেয় রূহু আকাশে যায় না, পাতালেও যায় না। আকাশ এবং জমিনের মাঝ খানে বিরাজমান।
দুনিয়ায় যারা নবীর আইন মত চলবে
তারা যুগে যুগে মানুষ কুলে জন্ম নিবে
আর যারা বেঈমানি করবে
পশুর আরচন করবে
তারা পশু পাখি মাছ গাছ এ সমস্ত জীবের কুলে যাবে।
দুনিয়ায় যে সমস্ত খাদ্য খাবার খেয়েছি যত রকম জীব অহরহ হত্যা করেছি মৃত্যূ কালে সবাই সামনে এসে হাজীর হবে। আল্লাহ রূহু কে হুকুম করবে মানুষ কুলে থেকে পশুর আচরণ করেছ এবার বেহুশ পশুর কুলে যাও। এক একটি জীবের ভিতর ৬৪ বছর করে থাকতে হবে। তারপর আবার মানুষ কুল। এটা শেষ যুগ এবার যারা জেনে শুনে মানুষ কুল হারাবে তারা আর মানুষ কুলে আসতে পারবেনা। জেনে পাপ করলে মাফ নেই।
**বেহেস্ত**
বেহেস্ত অর্থাত অনন্ত সুখ
এ দুনিয়াটাই বেহেস্ত
মরলে বেহেস্ত নেই
এই দুনিয়ার বালা খানা খেয়ে
আরাম আয়েসে দিন কাটিয়ে
যে বলবে মরলে বেহেস্ত পাব
সে মরে গিয়ে গরু হয়ে খর খাবে
কুকুর হয়ে ফেনা খাবে।
গুরু ভেড়া, মুরগা মুরগী, মাছ, তরীতরকারী, আম কাঠাল, আনারস, পেপে, কত নামি দামি ফল খেয়েছি, তবুও বেহেস্ত স্বীকার করি নেই। মরলে এ সমস্ত কুলে গিয়ে মানুষ কে খাওয়া দিতে হবে। বদলা খেয়েছি আবার নিজেকে খাওয়া দিতে হবে। আমরা মৌলভী সেজে কুরআন পড়ে বাড়ী বাড়ী দাওয়াত খেয়েছি, কুরআন পাঠ করে টাকা নিয়েছি। ওয়াজ করে টাকা নিয়েছি কুরআন বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করেছি। গায়ক হয়ে বাড়ি বাড়ি গান বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করেছি, ফকির, দরবেশ, সাধু, সন্ন্যাসী হাকীম উকিল সেজে ফাকি দিয়ে খেয়েছি, মাফ চেয়ে খাই নাই। এ জামানায় মাফ নিলে আখেরাতে মাফ নাই। যার অন্যায় করেছ সে যদি খালেছ নিয়তে মাফ না দেন তাহলে আল্লাহ রাসুল মাফ দিবেন না। হাশরের দিন টাকা পয়শা থাকবে না জান দিয়ে ঋন শোধ করতে হবে। গরু, ভেড়া, মুরগা, মুরগী, মাছ গাছ এ সমস্ত কুলে গিয়ে খাওয়া দিতে হবে।
মানুষ জনম দূর্লভ জনম
কাজেই যদি মানুষ কুলে থাকতে চান
বেহেস্ত যদি থাকতে চান
তবে নবীর আইন মোতাবেক চলতে হবে
নবী পেলে খেয়েছেন
না পেলে অনাহারী থাকতেন
নিজ হাতে খেটে জিবীকা নির্বাহ করেছেন
এ যুগে সবাইকে নিজ হাতে খেটে পরিশ্রম করে জিবীকা নির্বাহ করতে হবে। ফাকি দিয়ে আর খাওয়া চলবে না।
**দোজখ**
দোজখ অর্থাত ভয়ানক স্থান
দুনিয়ায় তিন টি দোজখ, পেট, চুলা ও সূর্য্য
এ ছাড়া দোজখ নেই
পেট খানা বড় দোজখ
যার নাম অয়েল দোজখ
দুনিয়ায় যা কিছু খাই সব পেটে মজে, সূর্য্য ঠান্ডা কে গরম করে ভিজা কে শুকায়। চুলা দোজখে লাকরী খরী যা কিছু দেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চুলা দোজখ দিয়ে ভাত রান্না করে পেট দোজখ ঠান্ডা করি। পেট দোজখ ঠান্ডা থাকলে দুনিয়াটাই ঠান্ডা। পেটের দায়ে দিনটা দোজখ। বন্দেগীর জন্য রাতটা বেহেস্ত।
বেহেস্ত থেকে যদি দোজখের কাজ করি
পশু পাখি জীব জানোয়ারের কাজ করি
তাহলে মরলে জীব জানোয়ার তৈয়ার করে
মারবে কাটবে জবেহ করে খাবে
তখন বলার শক্তি থাকবে না।
এ যুগে সব মাফ চেয়ে করতে হবে, ক্ষেতে হবে। আমরা দৈনন্দিন আল্লাহ রসুলের অগনীত অন্যায় করে চলেছি। আল্লাহ রাসুলের তৈয়ারী জিনিষ খাই নষ্ট করি একটি বানাতে পারি না। তাহলে মুরগা মুরগী, গরু ভেড়া, জবেহ করার সময় যদি বলি, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, কারন আমি জবেহ করিতেছি তৈয়ার করতে পারব না। অন্যায় করতেছি, তাই মাফ চাই। তখন জীবে বলবে হে আল্লাহ্ রাসুল তুমি তাকে গরু ভেড়া, জীব জানোয়ার বানাইওনা।
**কিয়ামত ও হাশর**
আপনারা পরিক্ষার মাধ্যমে যখন ইমাম মেহেদী (আঃ) কে খুজে বের করবেন, তিনি তখন রেডিওতে আড়াই দিন তার বক্তব্য পেশ করবেন। তার কথা শুনে সারা দুনিয়া ভয়ে কম্পমান হবে। এতদিন কি শুনেছি আর এখন কি বলে? তার কথার উপড় ভিত্তি করে প্রত্যেক ঘরে ঘরে তর্কযুদ্ধ হবে, তর্কযুদ্ধের পর সবার ভুল ভাংবে এবং গোটা বিশ্ব এক হবে।
সারা দুনিয়া একমত
এরই নাম কেয়ামত
তখন সবার মাঝে সত্যের কুরআন
অর্থাত দিল কুরআন
মানে পরমাত্মা নাজিল হবে।
পরমাত্মা দিয়ে সবার গোপন পরিচয় দিবে
কে কোন যুগে কি ছিলেন ? কি করেছেন ?
দোষী লোক গুলি ধরা পড়বে, তখন ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার করে মহা মিলন ঘটবে। এরই নাম হাশর।
এই দুনিয়া চিরস্থায়ী এটার প্রলয় হবে না
মানুষ সত্য সেবী বহে আউলিয়া হবে
দুনিয়া চাদের মত নতুন রূপ ধারন করবে
স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হবে।
বৃষ্টির পানিতে মাছ পাবে। খিল ক্ষেতে ধান হবে। ভাতে মানুষ বিছরাবে। গরু পর্যন্ত ভাত খাবে। কাগজের টাকা থাকবে না স্বর্নের কুদরতি টাকা হবে।
**ইসলামিক দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় আইন**
(১) সারা দুনিয়ার সবাই মিথ্যা কথা, রাগ, হিংসা, অশ্লীল ভাষায় গালাগালি
চির পরিত্যাগ করতে হবে।
(২) মুখে মিথ্যা কথা বললে জিহ্বা বাটা হবে, চোখে কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করে নারী
নির্যাতন করলে চোখ তুলে ফেলা হবে। হাতে চুরি করলে, ডাকাতি করলে
হাতের বাজু কাটা হবে।
(৩) সারা দুনিয়ার কারা বন্দীদের কে মুক্তি দিতে হবে। কারাবন্দী গন ধর্মীয়
প্রতিজ্ঞা পত্রে সই করতে হবে, যে আমি যে কাজ করে কারাগারে নিক্ষিপ্ত
হয়েছি জীবনে এ অপকর্ম আর করব না।
(৪) ভিক্ষুক রাখা হবে না। যে গ্রামে যে পাড়ায় যে মহল্লার ভিক্ষুক সে
সেস্থানেই অবস্থান করবে। গৃহ হীনের গৃহ দান, বস্ত্র হীনের বস্ত্র দান, ভূমি
হীনের ভূমি দান করতে হবে।
(৫) বিলাশ দ্রব্য ও মাদক দ্রব্য প্রস্তুত এবং ব্যবহার চির নিষিদ্ধ।
(৬) পতিতালয় তুলে ফেলা হবে। তাদের বিবাহ বন্ধনের ষুষ্ঠ ব্যবস্থা অবলম্বন
করতে হবে।
(৭) বিবাহ বন্ধনে নারী পুরুষ উভয়কে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। পাত্র পাত্রীর
সুচিন্তিত মতামত জ্ঞাপন করে একে অপর কে মনোয়ন করতে হবে
পরবর্তী কালে একে অন্য কে পরিত্যাগ করা চির নিষিদ্ধ।
(৮) হাটের খাজনা, ঘাটের ডাক, জায়গা জমিনের খাজনা বন্ধ করা হবে।
(৯) সারা দুনিয়ায় একটা বাংলা থাকবে। যার নাম নবীর মাদ্রাসা, রেডিও
সেন্টার থেকে আযান পাচঁ ওয়াক্ত দেওয়া হবে এবং সেখানে জামাত হবে।
প্রত্যেক ঘরে ঘরে রেডিও থাকবে, মাদ্রাসা হতে আযান শুনলেই নামাজের
জন্য তৈয়ার হতে হবে এবং মাদ্রাসার জামাতের সাথে নামাজ আদায়
করতে হবে, এক জামাতে নামাজ।
(১০) কেউ কুরআন বিক্রি করে, কেউ গান বিক্রি করে, সাধু সন্ন্যাষী পীর
ফকিরী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না। সবাই কে নবীর
মত নিজ হাতে খেকে খেতে হবে। (সংক্ষিপ্ত)
**চলার নিয়ম দোয়া**
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
তুমি দয়া কর, তুমি শান্তি দাও
তুমি বাচাও, তুমি বাচানে ওয়ালা
তুমি রহমত করনে ওয়ালা
তুমি আহসান করনে ওয়ালা
তুমিই শাফায়ত করনে ওয়ালা
তুমি ব্যতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না।
হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড়
কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার
তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে, তুমি মাফ কর
কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রাহমানির রাহিম
তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর।
এ দোয়া অর্থাৎ উপরোক্ত কথা গুলি বর্তমানে সত্য আউলিয়াদের যুগে, হাটতে, বসতে, খাইতে শুইতে হাল বাইতে, ঝাল বাইতে, মসলা বাটতে, তরীতরকারী কুটতে, গাছ লাগাতে, গাছ হতে ফল পারতে, ঘরে প্রবেশ করতে, ঘর হতে বাহির হতে, মোট কথা পার্থিব সকল সৎ ও প্রয়োজনীয় কাজে সারাক্ষন জিকিরের ন্যায় পাঠ করতে হবে। এই কথা গুলি বলে নবী আবু জেহেলের ভয়ে মক্কা হতে মদীনা তের দিনের রাস্তা তের কদমে যান। প্রত্যেক কদমে একটি করে মঞ্জিল হয়। এই কথা বলে নবী যাবেরের বাড়ীতে দুই ছেলে জিন্দা করেন। বিবি ফাতেমা কুলসুমের বাড়ীতে এক ডেগ খানা মদীনার সবাই কে খাওয়ান। বর্তমান যুগে এ কথা বলে ভাত খেলে অল্প ভাতে পেট ভরবে। বিনা ঔষুধে রোগ হতে আরগ্য পাবে। গাছে ফল হবে নদীতে মাছ হবে, জমিনে বরকত হবে। জিনিষের স্বাধ গন্ধ আবার ফিরে পাবে। খিল ক্ষেতে ধান হবে, ভাতে মানুষ খুজবে। গরু পর্যন্ত ভাত খাবে। আজরাইল অবসর পাবে বাপের আগে সন্তান মরবে না।
এনাম ভুল করিলে পরবি ফেরে
হারাবী দুই কুল নবী দ্বিনেরই রসুল
এ নাম হয় না যে আর ভুল।
**নামাজ**
শুনেছি কুরআনে বান্দার গোনাহ মাফ হবে না নামাজ বীনে
বট বৃক্ষ তরু লতা সবই জ্যান্ত কয় না কথা
সময় মত নোয়ায় মাথা ভক্তি করে আল্লাহ রাসুল
এবার সারা দুনিয়ার সবাইকে নিদৃষ্ট সময়ে মাথা নোয়াইতে হবে, আর নইলে পুলিশের বারি খেতে হবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর এ যুগে মানুষের কুলে তারাই হবে এ যুগের পুলিশ।
এ যুগে আল্লাহ রাসুল দুটি নাম
ভাত এবং পানি
বিছমিল্লাহ শরীফ এবং সুরা ইখলাছ
এই ছয়টি জিনিষ প্রধান থাকবে
নামাজ পড়া কথাটা ছাড়তে হবে। নামাজ আদায় করা বলতে হবে। কারন কুরআনে বর্ণিত আছছালাতু যাকাত অর্থাত নামাজ যাকাত দাও, নামাজ আদায় কর। নবী আবেুজাহেলের ভয়ে ভেড়া গুহায়ে যে নামাজ আদায় করে ভয়ঙ্কর বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান এ যুগে সে নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজের নিয়ম কানুন
নামাজ পাচঁ ওয়াক্ত - (১)ফজর- ছয় রাকাত। (২) যোহর- বার রাকাত। (৩) আসর- আট রাকাত। (৪)মাগরেব- সাত রাকাত। (৫) এশা- পনের রাকাত।
কয়েকটি শর্ত
(১) সমস্ত নামাজ গুলি সুন্নত হবে, ফরজ এবং নফল থাকবে না। ছোট সুন্নত এবং বড় সুন্নত একত্রে সুন্নত হবে। কারন বাপ আল্লাহ আর মা রাসুল, মার কাছে বাপের খবর
নবী কে ডাকলেই আল্লাহ কে পাব
আল্লাহর নূরে নবী তৈয়ার
নবীর নূরে সারা জাহান তৈয়ার
আমরা ডাকব নবী কে, নবী ডাকবেন আল্লাহ কে
আল্লাহর বড় ফরজ হল জীবন বাচান। ভাত খেয়ে জীবন বাচাই এটাই আল্লাহর বড় ফরজ আদায় হয়। নবীর সুন্নত আদায় করলে নবী কে লাভ করতে পারব।
নবী কে লাভ করতে পারলে
নবীর দ্বারা আল্লাহ কে লাভ করতে পারব
নবী ছাড়া আল্লাহ কে লাভ করতে পারব না।
(২) সমস্ত নামাজ গুলি বিছমিল্লাহ শরীফ ও সুরা ইখলাছ
এই দুটি সুরা দ্বারা আদায় করতে হবে।
(৩) সিজদার স্থানে পিতা মাতার চরণ রাখতে হবে।
পিছনে মালেকুল মউতের ভয় রাখতে হবে।
নামাজ আদায় করা মানে আল্লাহ রাসুলের সংগে কথা বলা।
(৪) পাটির দোয়া-বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইন্নি আজি ফাতারা ছামাঅতি আল আরদা হানিফাও অমা আনা মিনাল মুশরেকিন।
(৫) রুকুতে বলতে হবে- একবার আল্লাহ রাসুলের চরণে হাজার হাজার ছালাম জানাই। রুকু হতে আল্লাহু আকবার বলে সোজা আলিফের মত দাড়িয়ে সেজদায় যেতে হবে। (ছামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা বাদ যাবে ) আল্লাহু আকবার বলতে হবে।
(৬) সেজদায় বলতে হবে- একবার আল্লাহ রাসুলের চরণে কুটি কুটি ছালাম জানাই।
(৭) প্রথম বৈঠকে বলতে হবে- বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আত্তাহিয়া অতৈবাদ আচ্ছালামু আলাকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
(৮) শেষ বৈঠকে বলতে হবে- আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
(৯) ডানে বামে ছালাম ফিরাতে হবে না। কারন আল্লাহ যখন ফেরেস্তাগন কে আদম কে সেজদা করতে বলে ছিলেন, তখন সব ফেরেস্তা সেজদা করে ছিল, কিন্তু মকরোম আবেদ সেজদা করেনি। তাই সব ফেরেস্তা ডানে বামে তাকিয়ে দেখেছিল যে মকরোম আবেদ সেজদা করল কি না ?
**আযান**
হযরত বিল্লাল (রাঃ) এর আযান, সে আযান দেবার সময় হযরত বেলাল (রাঃ) আল্লাহ রাসুল কে সামনে দেখতে পেতেন। এ যুগে সেই আযান দিতে হবে। প্রত্যেকটি লাইন বলার পূর্বে মনে মনে বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করতে হবে।
আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার
লাইলাহা ইল্লালাহ
লাইলাহা ইল্লালাহ
মুহাম্মদ রাসুল আল্লাহ
মুহাম্মদ রাসুল আল্লাহ
আল্লাহ আকবার
আল্লাহ আকবার।
আযান শেষে মুনাযাত বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
**নামাজের নিয়ত**
১। ফজর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল ফজরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
ফজর (খ) দ্বিতীয় দুই রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, রাকাতে ছালাতিল ফজরে, সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
২। যোহর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহর সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
(খ) যোহর দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
(খ) যোহর তৃতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল যোহরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৩। আসর (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল আসরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
আসর (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল আসরে সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৪। মাগরিব (ক) প্রথম তিন রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ছালাছা রাকাতে ছালাতিল মাগরিব সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
মাগরিব (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল মাগরিব সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
৫। এশা (ক) প্রথম চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
এশা (খ) দ্বিতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
এশা (গ) তৃতীয় চার রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আরবা রাকাতে ছালাতিল এশা সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
বেতের (ঘ) চতুর্থ তিন রাকাত – বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ছালাছা রাকাতে ছালাতিল বেতের সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার।
বেতেরের নামাজে দোয়া কুনুতের পরিবর্তে পাঠ করতে হবে
আল হাক্কু মুত্তাকা, ষুরুহাত্তা, ষুর তুমুল মাকাবির। কাল্লা ছাত্তাকা তালমুনা ছুম্মা কাল্লা ছাত্তাকা তালামুন। কাল্লা লাও তালা মুনা, ইলমান ইয়াকিন। লাতারা বুন্নাল জাহিমা, ছুম্মা লাতারা বুন্না হা আয়নাল ইয়াকিন।
**নিম্নরূপ ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে**
ফজর (ক) প্রথম চার রাকাত সুন্নত- প্রথমে নামাজের স্থানে দাড়িয়ে বলতে হবে।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইন্নিআজি ফাতারাছছামাতে অল আরধা হানিফা অমা আনা মিনাল মুশরেকিন।
তারপর- বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আরবা রাকাতে ছালাতিল ফজরে, সুন্নত রসুল আল্লাহ, তৈয়ম তাহের বিল্লাল, ইসমাইল আল্লাহু আকবার, বলে নিয়ত করতে হবে।
নিয়ত করে বলতে হবে বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, কুলহু আল্লাহ হুয়াহাদ, আল্লাহ হুছছামাদ লামইয়ালিদ অলাম ইউলাদ, অলাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
আল্লাহু আকবার বলে রূকুতে যেয়ে একবার বলতে হবে, আল্লাহ রসুলের চরনে হাজার হাজার ছালাম জানাই। রুকু হতে আল্লাহু আকবার বলে সোজা আলিফের মত দাড়িয়ে সিজদায় যেয়ে একবার বলতে হবে, আল্লাহ রসুলের চরণে কুটি কুটি ছালাম জানাই।
এ ভাবে দুই রাকাতের প্রথম বৈঠকে বলতে হবে। বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আত্ত্যাহিয়া অতৈবাদ আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
চার রাকাতের শেষ বৈঠকে বলতে হবে, বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
এরপর ডানে বামে ছালাম ফিরাতে হবে না। সিজদার দিকে দৃষ্টি রেখে দুই হাত হাটুর উপড় স্থাপন করে দুই হাতের শেষ অঙ্গলির প্রথম কর হতে শেষ কর পর্যন্ত বিছমিল্লাহ শরীফ ও সুরা ইখলাছ পাঠ করতে হবে। তারপর দুই হাতের বাকী চার অঙ্গলীর কর শুধু বিছমিল্লাহ শরীফ পাফ করতে হবে।
এটাই তজবী।
তারপর মুনাজাত, বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর
প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজ শেষে মুনাজাতে
এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কে ছালাম জানাতে হবে
নিম্নরূপ ভাবে
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়ারাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবী আল্লাহ তুমি মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইয়া জালিলু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইয়া ছাত্তারু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবুবকর ছিদ্দিক।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ওসমান গনি।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আঃ কাদের জিলানী।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - তৈয়ম।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - তাহের।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - বিল্লাল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইসমাইল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ফাতেমা জান্নাত যার নাম।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইমাম হাছেন।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - ইমাম হোসেন।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - উমর মিয়া।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবু হামজা।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আবু তালেব।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - আয়নাল হক।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - মুন্সুর হিল্লাল।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - শেখ ফরিদ।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - বোয়ালী কলমদার।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - গাজি।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - কালু।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - জোলহাস।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম - খাজা খোয়াজ খিজির।
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুন না কেন হে আল্লাহ রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই।
**রোজা**
শুধু উপবাস করলেই রোজা হয়না, দ্বীনের নবীর রোজা হল, তিনি পেলে খেয়েছেন না পেলে না খেয়েছেন। রাস্তায় লাখ টাকার মাল পড়ে রয়েছে। নবী চোখে দেখে চোখ কে বুজিয়েছেন, চোখ তুই আনবার চাইলে কি হবে ? আমার মন যদি না যায়। মনকে বুজিয়েছেন মন তুই আনবার চাইলে কি হবে ? আমি হাতে না ধরলে। হাত কে বুজিয়েছেন হাত তুই আনতে পারবি না। যদি আমি পায়ে হেটে না যাই। পা কে বুজিয়েছেন, পা তুই মালের দিকে যাবি আমি অন্য দিকে যাব। এ পঞ্চ ইন্দ্রয়ের সংগে সংগ্রাম করা, এটাই হল নবীর রোজা।
(ক) চোখের রোজাঃ এই চোখে জীবনে অন্যের মালের দিকে লুলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে না এবং
পরের স্ত্রীরির দিকে কুদৃষ্টি দান করবে না।
(খ) মনের রোজাঃ জীবনে মনে মনে কুচিন্তা করবে না। ভাল মন্দ বিচার করে কাজ করবে।
(গ) মুখের রোজাঃ জীবনে মুখে মিথ্যা কথা বলবে না এবং কাউকে গালি দিবে না।
(ঘ) হাতের রোজাঃ জীবনে হাতে কারো মাল বিনা অনুমতিতে ধরিবে না এবং চুরি করবে না।
(ঙ) পায়ের রোজাঃ জীবনে পায়ে হেটে অসৎ কর্মের দিকে অগ্রসর হবে না।
চোখ বান্দা, মন বান্দা
মুখ বান্দা, হাত বান্দা, পা বান্দা
এ পঞ্চ ইন্দ্রিয় বান্দা
এরই নাম আল্লাহর বান্দা
নবীর খাটি উম্মত।
এর আগে আল্লাহ বান্দা বলে স্বিকার করবেন না এবং নবী উম্মত বলে স্বীকার করবেন না।
বিন্দু মাত্র প্রকাশিত হল
মহা সমুদ্র রয়ে গেল