মাতা পিতার প্রতি কতব্য
মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে প্রিয় নাম জগতে আর নাই
দশ মাস দশ দিন মার উদরে দিছেন ঠাই
জন্ম নিয়ে মার বুকের দুগ্ধ খাই মাকেই লাত্থাই
মা কথাটি ছোট্ট হলেও মধুর, পিতা যখন তার মস্তক থেকে ফেলে দেন, স্নেহময়ী মা আদর সোহাগে তার উদরে ঠাই দেন, কত ত্যাগ কত দুঃখ বেদনা মাকে সহ্য করতে হয়। দশ মাস দশ দিন যখন মা উদরে রেখেছেন তখন তার নিজের চলার শক্তি ছিলনা। তবুও তাকে কষ্ট স্বীকার করে সংসারের ঝামেলা মিটাতে হত। খেতে বসতে চলতে সকল অবস্থায় মা কষ্ট ভোগ করেছেন। এর পর যখন জন্ম নিলাম তখন মা নিজে না খেয়ে খাওয়াইছে, না পড়ে পড়াইয়াছেন, নিজে ভিজা জায়গায় শুয়ে আমাকে শুকনা যায়গায় শোয়াইয়াছেন। জীবন ভর সন্তানের জন্য দুঃখ করলেও মঙ্গল কামনা করেন। কুরআনে বর্ণীত মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। আমরা বয়োবৃদ্ধির পর যখন উপার্জন করতে শিখলাম, পাখা যখন মেলে গেল, তখন দুঃখিনি মায়ের কান্না শোনার অবকাশ থাকেনা।
যখন তোমার কেউ ছিলনা তখন ছিলাম আমি
এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি
এখন বন্ধু বান্ধব পেয়েছি, বিয়ে করে স্ত্রী পেয়েছি,কাজেই এখন সেই দুঃখের দিনের জনম দুঃখি মায়ের কথা মনে নেই। আমরা সবাই মায়ের কাছে ঋণী। সবাই মায়ের কাছে অন্যায় করেছি। যে পর্যন্ত মা খালেছ নিয়তে মাফ না দিবেন, আপনি যত বড় জ্ঞানি হন, পীর ফকির, সাধু সন্নাসী হন না কেন, আজমীর শরীফ, মক্কাশরীফ গমন করেন না কেন ? মায়ের আর্শ্বিবাদ ছাড়া আপনার মুক্তি নেই। আমাদের সকলেরই পিতা মাতার বাধ্যগত হওয়া উচিত। পিতা মাতার কর্তব্য সাধনে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া দরকার। তাদের মনে কথায় কাজে কোন ক্রমে কোন অবস্থাতেই দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
মা নেই গৃহে যারক, সংসার অরণ্য তার
দেখিলে মায়ের মুখ, ঘুচে যায় সকল দুঃখ