বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এখনে যে কথা গুলি লেখা আছে তা লাল মিয়ার প্রকাশিত বই অমর বাণী গ্রন্থে অন্তভুক্ত ছিলনা। বিশ্ব শান্তিকামী দয়াল মো: লাল মিয়া মৃত্যূর পূর্বে অল্প কিছু কথা অডিও ক্যাসেটে রেকর্ড করে যান, আর তা থেকে শুনে শুনে এখানে লেখা হয়েছে। তাই আপনাদের কারো কাছে যদি এ কথা গুলি নিয়ে কোন দ্বিধাদন্ধ থেকে থাকে তাহলে দয়া করে লাল মিয়ার রেকর্ড করা কথা গুলির সাথে মিলিয়ে নিবেন। রেকর্ড করা কথাগুলি শুনতে এই লিংকে ক্লিক করুন বিশ্ব শান্তিকামি দয়াল মোঃ লাল মিয়ার মুখের বাণী
সারা দুনিয়া সত্যের জামানা হয়ে যাবে
সেই দিন থেকে রেডিও থেকে আজান দিবে
এক সেকেন্ডে সারা দুনিয়া আজান চলে যাবে
যার যার ঘরে ঘরে সব জাতীয় মেয়ে পুরুষ সহকারে নামাজে দাড়াবে
সারা দুনিয়া এক সংগে নামাজ আর ভিবিন্ন কোন দল নাই
সারা দুনিয়া এক দল, এক নামাজ
আর কোন মসজিদ মাদ্রাসায় যাইতে হবে না
হিন্দুদের মন্দিরে, খৃষ্টানদের গীর্জায় যাওয়া লাগবে না
সারা দুনিয়ায় ঘরে ঘরে নামাজ চলবে
খাটি মুসলমান হয়ে গেলএই টা কোরআনে লেখা সারা দুনিয়া মুসলমান হতে হবে। ভারতে লেখা সারা দুনিয়া এক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের বাইবেলে লেখা সারা দুনিয়া এক হতে হবে। সমস্ত মিলাইয়া একই আইন একই দ্বারা যখন হয়ে যাবে
তখন সারা দুনিয়ায় বিছমিল্লাহ কুলহু আল্লাহ
দুইটা সুরার নামাজ থাকবে
আল্লাহ রাসুল দুইটা নাম থাকবে
ভাত আর পানি দুইটা ঔষুধ থাকবে
যা কুদরতে পানি তৈয়ার, কুদরতে ভাত তৈয়ার, আমিও কুদরতের তৈয়ার, সমস্ত কিছুই কুদরতের তৈয়ার। এই কুদরতের উপড় কেউ হাত উঠাইতে পারবে না। কুদরত যে রয়ে গেছে, কুদরতে ফলের ন্যায় মানুষও ধরাইতে পারে, আগে মানুষও ছিল গাছে, গাছে ছিল আপনারা সবাই জানেন। তাহলে এই হিসাবে সারা দুনিয়া এই আইনে আসতে হবে। তাহলে কি করতে হবে ? যার বস্ত্র নাই বস্ত্রহীন ঐ খানে লিখে দিয়াছে, তাহলে ষোল আনা কইলে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায়। তাহলে এই যুগে রেডিও থেকে আওয়াজ আসবে কোর্টে, কোর্ট থেকে থানায় আসবে, থানা থেকে গ্রামে আসবে। কি ? গ্রাম সরকারের উপড় ভার আসবে
আজ কে থেকে যার জমি নাই জমি দাও
যার বাড়ী নাই বাড়ী দাও
যার ঘর নাই ঘর দাও
যার গরু নাই গরু দাও
যার বীজ বিছুন নাই দাও
যার নাঙ্গল জোয়াল নাই দাও
যার চঙ্গ নাই দাও
দাও দাও কইরা কইলে
যার বউ নাই বউ দাও
যার স্বামী নাই স্বামী দাও
দাও দাও কইরা কইলে
সারা দুনিয়ার চেয়ারম্যান, মেম্বার, সরকার
তারা প্রত্যেকেরে সমান মত দিবে
যদি কেহ কম দেয় আর ধরা পড়ে, তাহলে গরুর মত জবেহ করা হবে। দুই একজন ধরা পরলে গরুর মতো জবেহ করা হবে, টেলিভিশন সামনে রাইখা জগতেরে দেখানো হবে তাহলে আর কেউ কাউকে কম দিবে না। ষোল আনা দিবে, যদিও কেউ কম দেয় নেড়ে চেরে সমস্ত সমান করে ফেলবে। তাহলে সেই সময় কি বলা হবে ? মা হাওয়া বাপ আদম হইতে এখন পাইকারী বলা হয় ভাতে খাবে পরে পাইকারী বলা হয়। হাকিম, উকিল মোক্তার দারগা, পুলিশ, চকিদার, দফেদার মেম্বার, প্রেসিডেন্ট, মৌলভী, মুন্সি, পীর দরবেশ, সাধু সন্ন্যাষী আমাকেও আমি বাদ দিব না সমস্ত কে বলা হবে আজ থেকে মা হাওয়া বাপ আদম কি কইয়া হাল বাইছিলো আজতের মাঠে। সেই কথা কইয়া হাল বাইলে অল্প জমিনে বরকত হইবে, আবার নদীতে মাছ হইবে, গাছে ফল হবে জমিনে বরকত হবে, সারা দুনিয়ায় খিল চাষের মধ্যে মাছ পাবে, খিল জমিনে আবার ধান হবে। আগের কথা গুলি এই পর্যন্ত বলা হল। আপনারা বুজে শুনে আপনারা ঠিক মত আইন গুলি করে নিলে, রাজ রাজা যে দেশের রাজা, যে দেশের প্রজা ঠিকই থাকবে। আর কোন নড়চড় হবে না।
নবী বাদশাহী করে নাই
আর আমাদেরও বাদশাহীর কোন দরকার পরবে না।
আমরা নিজ হাতে খেটে ভাত খাব
আর যে যেমনে রাজ রাজা প্রজা গরীব দুঃখি চেয়ারম্যান মেম্বার যত দারগা পুলিশ সবাই তারা এখন যে রকম আছে এ রকম ভাবেই এখন যে-রকম আছে এইরকম ভাবে আইন গুলি চলে যাবে। আর কোন গন্ডগল পৃথিবীতে হবে না। আর আমাদের বাদশাহীর জন্যও দরকার পরবে না। এই পর্যন্তই আমাদের কথা।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এই কথা গুলি যখন হাটতে, বসতে, খাইতে, শুইতে, হাল বাইতে, জাল বাইতে, মসলা বাটতে, তরীতরকারী কুটতে, গাছ থেকে ফল পারতে, গাছ লাগাইতে জিকির হালের মত সারা দুনিয়ায় সর্বক্ষন যখন পাঠ করতে বলবে তখন আল্লাহ ও রাসুল খুশি হবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর খুশি হবে। এই দোয়া পড়ে আর দোয়া নাই আমরা দোয়া চাই।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর।
এই দোয়া পড়ে আর দোয় নাই আমরা দোয়া চাই
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মুরশিদ, মাগরেব, সানাল, জুনাল, আকাশ, পাতাল, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর হাজী গাজী সকলের চরণে ছালাম জানাই আজই। দয়া করো মোরে কুদরতের জোরে সব কিছু করতে পার এ সংসারে, নুর নবী ভাই তোমার ধর্মের দোহাই, তোমার কুদরতের পা ধরে মাফ চাই। কুদরতে মাফ কর মোরে, ঈমান দাও বেঈমানেরে, আবার যেমন রাজনীতি ঠিক হইতে পারে। কুদরতের জোরে কথা বাতায়ে দাও অন্তরে যেমন কোন ভুলত্রুটি না হয় দুনিয়ার উপড়ে। দিনের পর রাত্রে বন্দি কি করতে আইলাম? কি করি? কোথায় যাই? কোথায় যাব? সব জায়গায় তোমার বাদশাহী কোন জায়গায় কম নাই আকাশ পাতাল নদী নালা বানাইয়া কুদরতে করিতেছ খেলা নুর নবী। কুদরতে গাছের গোড়ে থেকে ফল দিতে পার, মায়ের উদরে সন্তান বানাইতে পার কুদরতে চান সূয্য আকাশে উঠাইতে পার। কুদরতে গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, পশু, পাখি, জীব জানোয়ার, গাছ-গাছরা, মাছ সমস্ত তোমার কুদরতে তৈয়ারী। সকলেই তোমাকে ডাকতেছে সকলেই তোমার উম্মত উম্মতকে শাফায়ত করবে বলে স্বীকার করে ছিল।
কোরআনের উপড় লিখে ছিলে কোরআন অনুযায়ী তুমি তোমার উম্মতের আশি হিজরীর পর এ যুগে স্বয়ং তোমার উম্মতেরে শাফায়ত করতে ভিশন করে, না করলে উপায় নাই। নুর নবী তুমি তোমার উম্মত। সব জায়গায় গাছের পাতা লতা বলিতেছে মোহাম্মদ রাসুল মানব জাতী সারা দুনিয়া করে দিয়েছি ভুল, স্বপ্নে জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন জানতে পারে। স্বপ্নেই হেদায়েত কর তুমি তোমার উম্মতেরে, স্বপ্নেই ভুল ভাংবে, সারা দুনিয়া যেমন ভুল ভাংতে পারে তবেই তো হিন্দু, মুসলমান মৌলভী, মুন্সি, পীর, ফকির, সাধু, সন্ন্যাষী মারামারি কাটা কাটি গন্ডগোল হবে না এ সংসারে।
নুর নবী তুমি তোমার উম্মতের রোগতার বেমার আজার, বিষ, ব্যাথা, বিতলা বসন্ত সর্দি কাশ, মামলা, মোকদ্দমা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চুরি, ডাকাতি, মেঘ, তুফান, রোদ্র, এ সমস্ত গজব তুমি তোমার উম্মতের উপড় নাজিল করে দিয়েছ যাকে বেমার বলে।
নুর নবী তুমি তোমার কুদরতের হাত লাগাও, তুমি মার উদরে সন্তান বানাও মা বলতে পারে না। গাছের গোড়ে থেকে ফল দাও গাছে টের পায় না। গাভির ভিতরে দুগ্ধ দাও গাভী টের পায় না। হাসমির ভিতরে ডিম বানাও হাসমি টের পায় না। এমনি ভাবে কুদরতের হাত লাগাও সারা দুনিয়া বিস্তার। এই যে ভাত, মাছ তরিতরকারী, আম কাঠাল, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, ধান, চাউল, হলুদ, মরিছ, পিয়াজ, রসুন কত কমু সর্বময় সব জায়গায় তোমার কুদরতের হাতের তৈয়ারি ঔষুধ এগুলি বিশ্বাস কইরা খাইলে রোগ দুরে যাইতে পারে তবুও ডাক্তার কবিরাজ দিয়াছ। তোমার দ্বারা কিছুই লাগবে না এ সংসারে এগুলি তোমার কুদরতের হাতের বানানো ঔষুধ, এগুলি বিশ্বাস কইরা খাইলে রোগ দুরে যাইতে পারে তবেই তো শান্তি পাইবে তোমার উম্মত এ সংসারে। নুরনবী তুমি তোমার উম্মতের রুজি রোজগার বরকত সমস্ত তুমি তোমার কুদরতে দান কর, আবার যেমন ভাতে মানুষ বিছরাইতে পারে, এমনি ভাবে ধন তোমার কাছে রয়ে গেছে, তুমি দয়া কর, আমি তোমার উম্মতের জন্য ভিক্ষা চাই। তুমি পাক মুখে বলেছ, শেষ জামানার উম্মতের কি উপায় এখন যদি আমি স্বর্নের পাহাড় ভেঙ্গে খাই। ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, ফাতেমা, শের-আলী স্বয়ং তুমি নিজে না খেয়ে উম্মতের জন্য রেখে দিয়েছে, ধন, রত্ন, লজবের মানিক, খেত খামারী, সিন্দুক, বন্ধক, থালা, বাসন এমনিতে তেলের খনি আজ অব্দি উম্মতের দান করতেছে। পুকুর পুশকুনি জায়গায় জায়গায় রয়ে গেছে ডাক দিলেই পাওয়া যাইতো, তোমার উম্মতে চুরি, ডাকাতি, অন্যায়-অত্যাচার জুলুম কইরা যাইতেছে এ জন্য চাপাইয়া দিয়াছ। এ যুগে কি প্রকারে দিবা স্বপ্নে জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন জানতে পারে, স্বপ্নেই জানাও ঘরে ঘরে সারা দুনিয়া যেমন দেখতে পারে স্বপ্নেই যেমন সারা দুনিয়ায় ঘরে ঘরে পাইতে পারে। তবেই তো আগিলা জামানা হয়ে যাবে, কোন অভাব থাকবে না। আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য, এ যুগে তোমার উম্মত কে দিতেই হবে।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মুখ দিয়াছ আহার চাই কি প্রকারে দিবা তুমি জান ভাই, আমি তো একটা বানাবার ক্ষমতা নাই। শুধু করি অন্যায়, কোরআনে বলিয়াছ অন্যায় স্বীকার কইরা মাফ চাইলে তুমি মাফ করবা, তুমি খালাশ কর। তুমি তোমার উম্মতেরে দিয়াছ, যারা যারা দিয়াছে যারা যারা এর মধ্যে অংশ আছে প্রত্যেকের জন্য, যারা যারা কষ্ট কইরা লাল মিয়ার বাড়িতে হেঁটে লইয়া আসছে, সারা দুনিয়ার জন্য, যারা যারা সামনে দিয়াছে প্রত্যেকের জন্য সারা দুনিয়ার জন্য আমি সারা দুনিয়ার জন্য বলিতেছি, সারা দুনিয়ার জন্য মাফ চাই। তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর। সারা দুনিয়া যেমন শান্তি পাইতে পারে। মুখ দিয়াছ আহার দিতেই হবে। কি প্রকারে দিবা তুমি জান ভাই, আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য। আজ অব্দি সোনাপুর শহর স্বর্ণের মসজিদ রয়ে গেছে, কাঠুরিয়া কুড়াল বেইচ্চা ভাত খাওয়াইছে তার জন্য গাজী, কালু, জুলহাস তোমার কাছে স্বপ্নে মাফ চেয়ে ছিল, তুমি দিয়ে ছিলা। যে পেয়েছে ঘরে ঘরে পেয়েছে, যে পায় নাই, ঘরেও পায় নাই বাহিরেও পায় নাই। এমনি ভাবে লাল আর্বতনে তুমি কুদরতে মেঘ সারলে শিলের মত মেঘের পানির মত স্বর্ণ দিয়া বুজাইয়া যাবে, কোন অভাব থাকবে না। আমি ভিক্ষা চাই তোমার উম্মতের জন্য, এ-যুগে ভিক্ষা দিতেই হবে ।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কোরআনে লিখিয়াছ তুহি তুহি সব রং মেরা, তুহি হায় সব রঙ্গেই খোদা। সব রঙ্গেই তোমার নাম নিশানা রয়ে গেছে, নাম কমু কত ? যেমন গাছের গোড়ে থাইকা নানা রকম ফুল, নানা রকম ফল তৈয়ার হইতেছে, এমনি ভাবে নাম নিশানা রয়ে গেছে। তুমি তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়ার সকলের বাদশাহী উঠাইয়া দিয়া স্বয়ং তুমি বাদশাহীর মধ্যে বইসা গেলে তুমি হুকুম করলে আমি কেন যেমন ইসমাইলের ছুড়ি কথা বলে, পাথর দুই খন্ড হয়ে যায়, পাথরে কথা বলে এমনি ভাবে হুকুম করলে গাছে মাছে, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী, পশু, পাখি, জীব জানোয়ার মাটি, দূর্বা চান সুর্য্য জঙ্গলের হরিণ, লঙ্কার, হনুমান আগে যে কথা গুলি বলে ছিল, সেই কথা গুলি খবরের কাগজে, টেলিভিশনে, গানে, বইয়ে পুস্তুকে কত কমু সাত ভাই চম্পার কাহিনী নতুন করে জাগাইয়া দাও। সারা দুনিয়া যেমন শুনতে পারে বুজতে পারে, চিনতে পারে, জানতে পারে, তবেই তোমার উম্মত হেদায়েত হয়ে যাবে। আমার হেদায়েত লাগবে না।
তুমি তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর
ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার
আখেরাতে করবে বলে স্বীকার করে ছিলে
জীবন ভরা যুগে যুগে আখেরাত চলে গেল ফিরে এলো না
যে মরে তারই আখেরাত, যে মরে তারই কিয়ামত
যে মার উদরে নতুন আসে তার জন্য এই দুনিয়াটা বেহেস্ত
এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর
সারা দুনিয়ায় কোন যুগে বাদশাহী করে নাই
এ যুগে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার
সত্য বিচার কইরা, উম্মত লইয়া
সারা দুনিয়ায় তোমার বাদশাহী করতেই হবে, আমি ভিক্ষা চাই
হাজার হাজার কোটি কোটি ছালাম জানাই
আল্লাহ রাসুলের চরণের উপড়।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবি আল্লাহ্
তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম জালিলু তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া ছাত্তারু
তুমি তোমার উম্মতেরে মাফ কর।
**বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম**
আচ্ছালামু আলাইকুম, আবু বকর সিদ্দিক।
আচ্ছালামু আলাইকুম, উসমান গনি।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আব্দুল কাদের জিলানী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- তৈয়ম।
আচ্ছালামু আলাইকুম- তাহের।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বিল্লাল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইসমাইল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ফাতেমা জান্নাত যার নাম।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইমাম হাছেন।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইমাম হোসেন।
আচ্ছালামু আলাইকুম- উমর মিয়া।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আবু হামজা।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আবু তালেব।
আচ্ছালামু আলাইকুম- আয়নাল হক।
আচ্ছালামু আলাইকুম- মুনসুর হাল্লাল।
আচ্ছালামু আলাইকুম- শেখ ফরিদ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বোয়ালী কলমদার।
আচ্ছালামু আলাইকুম- নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
আচ্ছালামু আলাইকুম- গাজী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- কালু।
আচ্ছালামু আলাইকুম- জুলহাস।
আচ্ছালামু আলাইকুম- খাজা খোয়াজ খিজির।
আচ্ছালামু আলাইকুম- লাইলি।
আচ্ছালামু আলাইকুম- মজনু।
আচ্ছালামু আলাইকুম- শিরী।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ফরহাদ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বোলহান।
আচ্ছালামু আলাইকুম- বইদ্দা জামান।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ছবরে মুলুক।
আচ্ছালামু আলাইকুম- ইশাহ।
আচ্ছালামু আলাইকুম- জুলেখা।
আচ্ছালামু আলাইকুম- এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, ইটা, চাকা, গোবর ধুলা, রং পানি, মাইর কিলের ভয়ে লুকিয়েছে কেউ গাছের ভিতর, কেউ মাছের ভিতর, গরুর ভিতর, ঘোড়ার ভিতর, বকরীর ভিতর, খন্দকের ভিতর, পাথরের ভিতর, বোয়াল মাছের ভিতর, কুমিরের ভিতর, কুয়ার ভিতর, আগুনের ভিতর, শাপলা ফুল, চিনাই, ধান, চাউল, পিয়াজ, রসুন হলুদ, মরিছ, আটা ময়দা কত কমু লাজন্তি গাছ সমস্ত কত কমু পশু পাখি সমস্তের মধ্যে লুকিয়েছ। যাহার নাম দোযখ বানাইয়া দিয়াছ।
কোন কর্মে কম করেন নাই যেন যুগে যুগে সংক্ষেপে বলতেছি, যুগে যুগে আমি অন্যায় করে যাইতেছি, অন্যায় থেকে ক্ষমা চাই, জেল খানা থেকে মুক্তি চাই।
(৯মিনিট ৫০ সেকেন্ড থেকে ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড এই ৪ সেকেন্ড কি বলেছে তা বুজতে পারি নাই বিধায় লেখা হয় নাই)
যেমন আসতে পারে এই ক্ষমতা ভারাইয়া দাও, কা কে কি দিবা স্বপ্নে ঘরে ঘরে জানাইয়া দাও। যেন আসবে বসবে বুজবে চিনবে জানবে, তবেই তোমার নামাজ, রোজা, আইন কানুন, গুন গান, সারা দুনিয়া গাইবে।
হে নুর হে নবী তুমি সারা দুনিয়া লইয়া
কোন যুগে বাদশাহী করো নাই
এই যুগে তোমার উম্মত লইয়া
সারা দুনিয়ার বাদশাহী করিতেই হইবে
হে নুর নবী তোমার কুদরতে সারা দুনিয়া গাছে কথা বলে ছিল, মাছে কথা বলেছিল সমস্ত কত কমু চান সূর্য্য কথা বলে ছিল, পাথর দুই খন্ড হয়ে যায়, ছুরি পর্যন্ত কথা বলে ছিল, পাথর পর্যন্ত কথা বলে ছিল। কথা গুলি সব জায়গায় বলে ছিল। এই যুগে সমস্ত বন্ধ হয়ে গিয়াছে। নুর নবী তোমার কুদরতে আশি হিজরীর পর কি হয় তা বলা যায় না। আবার না বলা ও যায় না। সে জন্য বন্ধ হয়ে গিয়াছে। এ জন্য আমি বলতেছি
লেকচারের অতি প্রথমে আমি বলতেছি
স্বভাব ভাল কর, অভাব দুরে যাবে
স্বভাবের দোষে অভাব
মুখ থেকে মিথ্যা কথা যলদি ছাড়
মুখটা পাক পবিত্র কর
অল্প দিনে বাংলা পাইতে পার।
আল্লাহ কাজী হবেন, রসুল খলিফা হবেন। লালমিয়া মাত্র চকিদার জানাইয়া যায় জয়নাল আবেদিন থাকবে সমস্ত পৃথিবীর রাষ্ট্রের অধিকারী, তারপর হবে হিন্দু মুসলমান সূক্ষ্ণ বিচার
তার আগে আয়ুব খান, মিস্টার জিন্নাহ, জহর লাল, মাওলানা ভাসানী, ইয়া হিয়া খান টিক্কা খান মজিবর, জিয়া খান, এরশাদ যে কোন নেতাই হোক না কেন এ জামানায় ভোট নিয়ে দলের দল লোক সেজে মারা মারি করতে করতে সারা পৃথিবী তুলার মত উড়িয়ে দিবে। সমস্ত পৃথিবীর নদী নালা শুকিয়ে যাবে, বরকত দুরে যাবে, এক ধানে এক ধান হবে, সোয়া হাত উপড়ে সূর্য্য আসবে নিজের জমি তামা হবে, মস্তক গলে মাটিতে পড়বে, শেয়াল কুকুরে চেটে খাবে, কাগজের টাকা দুরে যাবে, চারার মধ্যে নম্বর দিবে তবুও খর্দজাল খাজনা খাবে। হাটের খাজনা, ঘাটের তহশিল জায়গা জমিনের খাজনা যদি বন্ধ না হয় তাহলে বাংলা পেলে কোথায় ? বাংলা পেয়েছে গরু, ঘোড়া ভেড়া, বকরী দিনের বেলা খায় রাত্রে বাংলায় চলে যায়। বাংলা পেয়েছে শিয়াল, শুকুনে মরা খায় বাংলায় চলে যায়, বাংলা পেয়েছে রেডিও ঢাকা কথা বলে চিটাগাং যায়। এ ছাড়া মানুষে বাংলা পান নাই। বাংলা গোরস্থানে যায়। বাংলা যদি ঠিক রাখতে চান? কিছু জিনিষ থাকবে কিছু জিনিষ বাদ যাবে। বাংলা যদি ঠিক রাখতে চান ভেজলিন, পাউডার, স্নো আলতা জলদি ছাড়েন মেয়েদের মাথায় লাল তেনা বান্দা বন্ধ করেন।
তাস খেলা, জুয়া খেলা, বল খেলা, ঘুষ খাওয়া
এ সমস্ত আর্বজনা কাজ গুলি ছারেন।
পাটে পানি দুধে পানি মিথ্যা কথা আড়তদারী
গরীব কে কম মেপে দেওয়া
পাল্লা বাটখারা ঠিক করেন, খারাপ কাজ গুলি ছারেন
তাহলে প্রত্যেকটা মুসলমান হইতে পারেন
আর না হলে একটা মুসলমান ও নাই।
আমরা পার্থিব খাবারের জন্য সারা দুনিয়া আমরা বেঈমান হয়েছি ভাই। বেঈমানি কাজ হইতে যে পর্যন্ত না বাচব সে পর্যন্ত খাটি মুসলমান হতে পারব না। বেঈমানি কাজ গুলি না ছাড়লে আমরা ঈমান ঠিক রাখতে পারব না। যদি এই আইন, এই আইন সমস্ত মিলাইয়া সারা দুনিয়ার রাজা প্রজা গরীব দুঃখি সমস্ত একত্রে এই কথা গুলি বুজাইয়া মিল কইরা তারপরে রাষ্ট্রে যখন এই আইনের মধ্যে এসে পরবে, সারা দুনিয়ার রাজা এরশাদ আউলিয়া হলে সারা দুনিয়া আউলিয়া হয়ে যাবে আমাদের এই বাংলার সারা দুনিয়া আউলিয়া হয়ে যাবে। প্রত্যেক রাজ রাজার যেখানে যার রাজত্ব আছে রাজা ঠিকই থাকবে প্রজা ঠিকই থাকবে, উজির নাজির ঠিকই থাকবে, চেয়ারম্যান, মেম্বার ঠিকই থাকবে দারগা পুলিশ ঠিকই থাকবে আর কোন নষ্ট হতে পারবে না। যারা বেঈমানি করবে তারা বাসদ হয়ে যাবে। এই পর্যন্ত আমার কথা ইতি হল, বেঈমানি যারা করবে তাদের রাজা হবে না। ঈমানদার যারা চলবে এই আইনের ভিতরে তারাই চলবে।
সারা দুনিয়ায় রেডিওর মধ্যে বিচার থাকবে
সারা দুনিয়ার ঘরে ঘরে থেকে খবর পৌছাবে গ্রাম সরকারের কাছে
গ্রাম সরকার পৌছাবে থানায়, থানা থেকে পৌছাবে কোর্ট কাচারীতে
কোর্ট কাচারীতে থেকে পৌছাবে রেডিওর মধ্যে
ন্যায় অন্যায়ের বিচার সমস্ত সারা দুনিয়ায় জানাতে হবে।
রেডিও থেকে জানানো হবে ন্যায় অন্যায়।
কেউ একবার যদি অন্যায় করে আর একটা প্রাণীও যদি মাফ চায় তাহলে তাকে খালাশ দিতে হবে যে না জেনে করছে। আবার যদি অন্যায় করে না বুঝে করছে বুঝে নাই আবারো যদি অন্যায় করে ছাড়া হবে যে সে মনে ছিল না। এই রকম ভাবে একেক কর্মে অহুদের যুদ্ধের মধ্যে আমি বলব কত ? অহুদের যুদ্ধের মধ্যে একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত মাফ করে ছিল। যুদ্ধ করতে করতে সাতবার পর্যন্ত মুসলমানের কুলে এসেছিল আবার বেঈমানের কুলে গিয়ে ফিরা যুদ্ধ করে ছিল। এই রকম একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত পার পেয়েছিল, তারপর সে যুদ্ধে কি করে ছিল ? উমর মিয়া কে সংঙ্গে দিয়ে দেয়, কাঠের তলোয়ার, কাগজের ঢাল নিয়ে সেখানে চলে যায়, এক প্রান্তে থেকে অপর প্রান্তে চলে যায় আর মারো মারো বলে ছিল, তাহলে থাই ধরি হাক মেরেছিল, মারো কাফের মারো পুরুষের পুরুষঙ্গ পর্যন্ত খুলে গিয়ে ছিল হাই ধরি হাকের চোটে। তাহলে সেই যুদ্ধের মধ্যে একেক কর্মে সাত বার পর্যন্ত রেহাই করেছিল। আমাদেরও একেক কর্মে সাতবার পর্যন্ত রেহাই করতে হবে। তারপরে আর কোন প্রাণীও যদি বলে তাহলে আর কারো কথা মানবে না তার হাতের বাজু কাটা হবে, দোনো হাতের বাজু কাটা হবে। জুলনা তাদের কাধে দিয়ে জুলনায় লেখা থাকবে চৌদ্দ বাড়ি তফাত গেলে ভিক্ষা পাবি তয় নিজে গুনে যাবি, মেয়ে তার সংঙ্গে দেওয়া হবে। এতদিন চুরি কইরা ভাত খাওয়াইছে এই জন্য মুখে ভাত ওঠাইয়া দেবার এবং ভিক্ষা জুলনায় থুইবার জন্য। এই সাজা গুলি মানুষ দেখলে একবার দুইবার তিনবার আবারও বলতে হয় যদি এক বাড়ি কম কয় দিবে এক থাপ্পর দুই বাড়ি কম কইলে দুই থাপ্পর, তিন বাড়ি কম কইলে তিন থাপ্পর, এই থাপ্পর টা খাইয়া ঘুইরা পরে না যেমন মরে, মরলে বিচার চলে গেল।
এই রকম ভাবে যদি থাপ্পর গুলি
খবরের কাগজে, টেলিভিশনে, গানে, বইয়ে
সব জায়গায় উঠাইয়া দেয়
তাহলে পৃথিবীতে আর কারো অন্যায় কেউ করবে না
সারা দুনিয়া এক আইনে আসতে হবে
এই আইনে না আসলে আমরা কেউ শান্তি পাব না।
লাল মিয়া কয় তিন জায়গায় দোষী
এক খানে বলে ছিল নবী মেরাজ চলে গিয়েছিল
মেরাজ হইতে সাতাইস বছর চলে যায়
আজই অব্দি স্বপ্ন গুলি মেরাজ
মেরাজের মত সংবাদ পাইতেছে
যে যা অন্যায় করে, অন্যায় থাকিয়াছে স্বভাবের দোষে এই সুরুত গুলি দেখতে পায়। আর মানুষের কাজ করলে মানুষের সুরুত দেখতে পায়।
তাহলে সে মেরাজের বয়ান যে মসজিদে আরম্ব করেছিল, সে মসজিদে আছিল কয়েক জন লোক তারা বলে ছিল আপনার কথা মানি কিন্তু আমাদের বান্দা পইতাটা থাক, তাহলে সে খানে যদি বলত পইতা রাখতে পারবি না তাহলে হিন্দু থাকত না, সবাই মুসলমান হইয়া যাইত। আরেক খানে এই মেরাজের বয়ান আরম্ব করে ছিল, সেখানে বলে ছিল আপনার কথা মানি কিন্তু আমাদের নেংটি টা থাক। তাহলে এখন আমাদের রায়তে বলে উত্তরা ভুত কাছা দেয় নেংটি ফালাইয়া তাহলে সেই কাছার দাগা টা ফেলে দিলে আর নেংটি রাখতে পারত না। তাহলে তাহাদের উত্তইরা ভুত কইতনা। তাহলে আরেক জায়গায় এ রকম মেরাজের বয়ান আরম্ব করে ছিল, আপনাদের প্রত্যেকের জানা আছে, আমি বলব কত ? সে খানে বলে ছিল আমাদের মাথার টিকি টা থাক বুজিয়ে ফেলে দিবে তাহলে সেই খানে রয়েছিল সেই খানে মারোয়ারী এই মারোয়ারী থেকে জাত গুলি আমরা বহুত হয়ে গিয়েছি।
কথা কইলে কথার কোন মাথা নাই
অনেক কথা বুজে শেষ নাই
ধানের নামে শেষ নাই
মাছের নামে শেষ নাই
গাছের নামে শেষ নাই
মানুষের নামেরও শেষ নাই
শেষ নাই বিদ্যার ও কোন শেষ নাই
আকাশ পাতাল যতই ঘুরুক না কেন
চন্দ্রের মধ্যে যাক, সুর্যের মধ্যে যাক কোন শেষ নাই।
তার কুদরতে সব কিছু রয়ে গেছে যেমন কুদরত লাগাইয়া দিয়াছে চিড়াখানার মত কুদরত লাগাইয়া দিয়াছে। সূর্য্যে ষোল আনা ডিউটি দিতাছে চন্দ্রে ষোল আনা ডিউটি দিতাছে সব তো উম্মদের জন্য হুকুম করেছেন নবী। যে সুর্য্য তুমি না থাকলে ভিজা পোড়া শুকাইতে পারবে না। আবার সুধাইতাছে চন্দ্র তুমি না থাকলে রাত্রে চলতে পারবে না। আমার উম্মত দুঃখ পাবে, সেই জন্যে তোমাদের ডিউটি দিতেই হবে। তুমি অন্যায় করেছ এবার অন্যায়ের ডিউটি উম্মতের জন্য আমায় দাও।
এই রকম হুকুমে খাইছ টাকা দিবানা ঐ খানে লেখা খাইছ টাকা দিবা না বসত বাড়ী থাকবে না। এই দেহে যা যা খেয়েছি নিজ চোখে দেখে চোখকে বুজাতে পারবে না সে চোখ তো লগে দিছিলাম চোখে দেখছছ, নিজ হাতে জমিন বুনছছ, নিজ হাতে গাছ লাগাইছছ সেই গাছে ফল হইছে সেই ফল খাইয়া তুই কইছছ মরলে বেহেস্ত, এখন কোথায় যাবি বল? এই হাতে ধইরা গাছ লাগাইছছ, পায়ে হেটে গেছছ, আমি সংক্ষেপে বলতাছি, পায়ে হেটে গেছছ, বল এখন কোথায় যাবি ?
তখন এই হাত পা গুলি লগে থাকবে না
ঐ ফলের ভিতর রুহের বিচার
এই খাচতানের বিচার নাই
রুহুর বিচার, রুহু দ্বারা আবার ফল হতে হবে
মুরগা মুরগী হতে হবে, জান দিয়ে শোধ করবে
কোরআনে লেখা আমার মুখের কথা না।
হাশরের দিন কিয়ামতে জান দিয়ে শোধ করবে
যে মরে তারই হাশর, যে মরে তারই কিয়ামত
যে মার উদরে নতুন, আবার হতেছে তার জন্য এটা বেহেস্ত
চিরজীবন বেহেস্ত থাকবে, এটা কোন দিন দংশ হতে পারে না।
দংশ হতে পারে না কেন ? কারন আল্লাহ রাসুলের হুকুমে তৈয়ারী।
তৈয়ারী জিনিষ কোন দিন ধংশ হতে পারে না।
তবুও ধংশ জায়গায় জায়গায় দেখায়, তুফান বানিয়ে সাগর ভেসে পাহাড়ে পর্যন্ত পানি হয়ে তলিয়ে যায়। মানুষ, গরু, ঘোড়া, ভেড়া, বকরী ভেসে চলে যায়, এই রকম ভেসে চলে যায় এটার নাম কেয়ামত, সারা দুনিয়া দেখাইতাছে, তবুও আমরা বুজিনা। বুজিনা তবুও আমরা রাজনীতির জন্য পারাপারি বাহাদুরী করি। গাজী বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই। কালু বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই, যে আজ বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী করে নাই বনে চলে গিয়াছে তাহলে রাজ রাজার বাদশহী কয়দিন করেই বিনাতক্তা ফেলে দিয়ে বনে চলে গিয়াছে।
আজ অব্দি চিরিয়াখানা রয়ে গেছে, আজ অব্দি যাদু ঘর, লাল মিয়া কয়
সারা দুনিয়া জাদুঘর বানাইয়াছে। কেন ?
চন্দ্র করে দুই খন্ড, চিরিয়াখানা গেলে দেখতে
পাবেন, জোড়ায় জোড়ায় রেখে দিয়েছে, মানুষে তাদের খোরাক দেয়।
তাহলে নবী আল্লাহ উম্মতের আহার তৈয়ার করতেছে এর নাম হল আল্লাহ কাজী, রসুল খলিফা, তাহলে নবী যা বলে আল্লাহ তাই করে। নবী যা বলে চান সুর্য্য তাই করে, গাছ পালা গরু ঘোড়া, ভেড়া, বকরী নবী যা হুকুম করে তাই করতে হয়। না করলে উপায় নাই। নবী কে ছাড়া কোন জিনিষ তৈয়ার হয় নাই। নবী যদি না হইত এই দুনিয়া অন্ধকার থাকত
নবী চন্দ্র কে দুই খন্ড করে বুজাইয়া ছিল যে এই দুই খন্ড করে যদি দেখাও তাহলে তোমার কথা শুনব, তোমার দ্বীন মানব, তোমার কথা মানব, তোমার আইন মানব তখন দুই খন্ড করে তার মাথার আঙ্গুল দিয়ে টান মেরে ছিল।
( অডিও ক্যাসেটের দ্বিতীয় পার্ট লাল মিয়ার ছেলে জয়নালের উদ্দেশ্যে )
আমি স্বিকার করলাম, মালেক ভিক্ষা নিতে চায় আমি দান করলাম। তুমি স্বপ্নের কথা যা শুনেছ কানে শুনেছি মনে মনে সেই সপ্ন যে বৃথায় যাবে না বাবা, যে আগের যুগে যে রকম আক্রমন করেছিল, এরকমই ভাবেই স্বপ্নটা ঠিক সেই ভাবে তুমি দেখেছ, সেই স্বপ্নের কথা তুমি প্রচার করে দিয়েছ, যেন আগে দুই তিন জন ছেলে ছিল আর পিছনে পিছনে লোক ছিল, তারা পিছনের লোক ভেগে গেল। আর আমরা এই ভাবে চলে ছিলাম সেই খানে
তুমি রূপ দেখেছিলে যেমন সাহশ মাছ বাবা গো সেই সাহশ মাছ আমিই.ছিলাম যুগে যুগে এই যুগে মানুষ কুলে এসেছি আবার সেই রূপ বিবর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। হাতি আমি ছিলাম, সেই হাতি রূপে তুমি দেখেছ, যে ভাবে নবী জন্ম নেয় নাম দিমু কত ?
ক্যাসেট বানাইয়া দিলাম সেই ভাবেই তুমি দেখেছ সেই স্বপ্ন কোন দিন ভুল হতে পারে না বাবা তুমি কোন ভয় পেয়ো না, বাবা তুমি মনের মধ্যে কোন দুঃখ নিওনা ভেঙ্গে বললে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায় বাবা বলব একবার কিন্তু বাবা তুমি স্বপ্নের ঘরে তালা দিলে তখন তুমি, স্বপ্ন আরেকটা যখন তুমি পালঙ্কের শুয়ে চকির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলে আমি চৌকির নিচে ছিলাম, তুমি আমাকে টেনে উপড়ে উঠাইতে চেয়েছিলে, বাবা গো এখনো আমাদের উপড়ে উঠা হয় নাই। যখন আমরা একত্রে হবো তুমি দেশে আসবা আমরা একত্রে হবো, সেই দেশে কি রাষ্ট্র কি ভাবে চলছে কি আইন চলছে সেই দিকে যখন বই পড়বে জানবে শুনবে স্বপ্নে খেলাবে আর বই বানাইয়া দিছি বইয়ের মধ্যে কিন্তু রাষ্ট্র গুলি আসবে ঠিক কি না সমস্ত পরিক্ষাতেই যখন আসা হবে বাবা তাহলে আমরা আমরা একত্র হয়ে গেলে সারা দুনিয়া আবার লোকে জানবে, শুনবে বাবা গো আর আমি বলব কত ? জীবনের মত কইরাও শেষ নাই বাবা কিন্তু তুমি সেই কারাগারের জয়নাল আমি সই দিয়েছি টিপ দিয়েছি, এই মালেক সারা দুনিয়ার মালিক ছিল। মালিক সে নষ্ট করে দিয়েছে, সে মালেক এখন বিপদে পড়েছে বাবা। তোমার টাকা সে টাকা আমিই দেব কোন দিন দুঃখ করবে না বাবা গো, তার জন্য চিন্তা করবেন না বাবা গো, আমি আর বলব কত, জান দিয়ে তুমি শোধ করে টাকা ওঠাইয়া দিও মালেকের, আর বিদেশ থেকে আসবার আগে দিতে পার তো দিলে আর না পারলে নাই যখন তুমি বাড়িতে আসবে তখন টাকা যে প্রকারে পারে টাকা ওঠাইয়া দেওয়া হবে বাবা, আপনাকে ঠকানো হবে না এই মনে মনে চিন্তা বাবা, সারা দুনিয়া যেমন আমরা টাকা কিছুই না, সারা দুনিয়া যেমন আমরা একত্রে চিন পরিচয় দিতে পারি, এই মানুষ গুলিই আর কোন দিকে রাজ রাজা একত্রে হইতেছে, বাদশাহী ছেড়ে দিয়ে আবার প্রতেক্যে বিখারীর বেশে যাইতেছে আপনার সেই খানেও রাষ্ট্রে কইতেছে কানে শুনতেছেন, ভুল করতে পারবেন না বাবা তাহলে এখন এই যুগে থেকে আমরা যেমন উদ্ধার হইতে পারি, প্রত্যেকের লগে চিনা পরিচয় স্বপ্নের ঘরে, জাইন্না শুইন্না একাত্র হইতে পারি, সেই কাহিনি আপনি দিয়েছেন শেষ কাহিনি দিয়েছেন কিন্তু নাম বলব কত, দুই বার শেষ কাহিনি দিয়েছেন, আমরা যেমন এরকম কান্না কাটি করে একাত্র রাষ্ট্র ঠিক করি আমরা যাইতে পারি সেই দোয়া চাই । প্রত্যেকের জন্য আপনার কাছে দোয়া চাই আমিও দোয়া করি আল্লাহ রাসুল কুদরতে যেমন কবুল করে সারা দুনিয়া যেমন হইতে পারে, বাবা গো যেই দিন আমি পাড়ের ঘাটে বসাইয়া দিয়ে ছিলাম আমি বলে ছিলাম বাবা গো তুমি সারা দিন বসে থাকবে সন্ধ্যা হলে আসরের টাইম হলে একজন আসবে সেই তোমাদের খোরাক নিয়ে আসবে আমাদের খাটনি লাগবে না বাবা, নিজে বেয়ে পাড় হয়ে যাবে আবার সেই দিয়ে যাবে খোরাকের টাকা। বলে ছিলাম বাবা সে ঘাটে তুমিই বসে ছিলে, সেই আগের যুগে আর এই যুগে একই কথা যুগের বিবরণ আমি বলব কত বাবা গো মনের মধ্যে কোন দুঃখ নিওনা কষ্ট নিও না, প্রত্যেকেরে মাফ করে দিও, কিতাবে লেখা আছে ইমাম হোসেন মাফ করে দিবে না, প্রত্যেকে ইমাম হোসেনের দায় নেবে, নবী কিন্তু ইমাম হোসেনের পুত্র জয়নাল সে মাফ করে দিবে আগের কথা সেই কাহিনি এই যুগে আরম্ব হয়েছে সারা দুনিয়া জোড়া কলঙ্কের ঢোল
সারা দুনিয়া বাবা গো আমরা একাত্র হয়ে যেন বাজাইতে পারি, ধর্মের ঢোল বাজাইতে পারি
সারা দুনিয়া যেমন শান্তি পাইতে পারে এই দরকার
টাকা পয়শা কিছুই না।
তোমার ভাইকে তুমি দেখেছ আর টাকার কথা বলব কি, যা আমাদের কিসমতের বাটে আছে তাই হবে। সংক্ষেপে আমি বলতেছি বাবা আমাদের কিসমত বাদ সেটা আমাদের ভাগ্য পরিক্ষা, এই যুগে ধরা দিতেই হবে, টাকার জন্য চিন্তা করবেন না, কিন্তু দ্বীনের জন্য, দ্বীন দ্বীনা দ্বীন মোহাম্মদিন নাম করো শাই আখেরী নবী দ্বীন পয়গম্বর, এই যুগে শেষ আখেরী নাম রাখা যায়, যখন না কি বিদায় হয়ে যায় ইমাম হোসেন মক্কা ছেড়ে দিয়ে যায় সেই সময় কি বলে ছিল, বাবা গো সেই কথা আখেরী ছালাম লও ওহে নানা জান, তোমারই হোসেন যায় কারবালার ময়দান, কারবালার ময়দানে যাইয়া দিবে গলা কাটাইয়া, কাদবে সারা দুনিয়া হোসেন হোসেন করে কাদবে সারা জাহান, (এখানে কয়েকটা কথা বুজতে পারি নাই)
নবীই সাপ নবীই বিচ্ছু
নবীই চৌকিদার, নবীই জোতা সেলায়
আবার নবীই শাহস মাছ
নবীই সব কিছু এক হয়ে সব কিছুর খেলা খেলাইতেছে
সেই কায়ার স্বপ্ন তুমি দেখেছ, তাতে ভয় পাবা না, এই যুগে আর ভয় নাই। ধর্মের ঢঙ্কা যেমন আমরা বাপ বেটা মালেক একাত্র তিন জন হয়ে এখানেই আর এই দুনিয়া কিছু করতে পারবে না, কুদরত জয়নাল আমার, তোমার মধ্যে ঈমান আসতেছে, কুদরত জয়নালের মাথা সে সময় থাকবে না, যে মালেক আগে ছিল সেই মালেকই এখানে এসে পৌছাইছে আর থাকবে না যেই খানে না কি বলেছে সিঙ্গায় ফুক দিবে সারা জাহান চূর্ণ্য হয়ে যাবে সে ও আমাদের ঘরে, বাবা গো কালু নাম সেও আমাদের ঘরে, চিন্তা করবেন কি ? আর চিন্তা করার কোন কারন নাই, বাবা গো যে ফুক দিবে সেই আমাদের ঘড়ে বাবা গো আমি নাম বলব কত, এই পর্যন্তই বিদায় বাবা, বাবা গো এখনো আপনার স্বপ্ন গুলি বাকি রয়েছে বাবা গো, এখন ওঠাইয়া তারাতারি সে বিদেশ থেকে মক্কা থেকে যেমন আগে মক্কা ছিল মক্কা ছিল কারাগারে, এই কারাগারে এইটার নাম চাকরী, সেই কারাগারে তোমাকে পাঠাইয়া দেওয়া হয়েছে, তুমি বেড়াইতে গিয়েছ বাবা আর কিছু টাকার মনে করবা না যে আমি টাকা কামাই করে আনতে পারলাম না এই দুঃখ কোন কিছুই নাই ভাগ্যের কথা তুমিই বলেছে ক্যাসেটের মধ্যে যে ভাগ্যের ফলা ফল এই যুগে যেমন পাওয়া যায়, এই ভিক্ষাই চাই বাবা, জীবন ভরা কইলে ফুরাবে না।
হে মালিক তুমি কুদরতে আর কোথায় থাকবে লুকাইয়া চীরদিন লুকাইয়া থাকলে জীবনের মত কান্না হবে না, হে জয়নাল ইমামের ইমাম হোসেন আমি বলব কত এই জন্যই সেই বইয়ের মধ্যে লেখা নাম গুলি আজ অব্দি নাম গুলি বলতেছি নাম বললে আমার ক্যাসেট বুজাই হয়ে যায়।
বাবা আমি বলব কত অপর পৃষ্টায় আমি বলব এখন আমি আপনার কাছ থেকে বিধায় নিতেছি বাবা যেমন আমরা একত্রে হতে পারি তুমিই বলেছে বাবা আমি বিদেশ গেলে ফিরে এসে দেখব কি সে জবান আমাকে দিয়া যাও আমিও দিয়েছি বাবা যেই প্রান্তেই থাকো না কেন আবার ফিরে এসে দেখা হবেই হবে, না হইলে এই যুগে কেন আমরা মাইর কিল খেয়ে ছিলাম, কেন ইটা চাকা গোবর ধুলা খেয়ে ছিলাম, কেন তুমি নদীর পাড় বসে ছিলে, নদীর পাড় বসে ছিলে, তাইলে সেই বসার গান শুনেছি কানে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি কোন দুঃখ নাই মনে, আমি এই পর্যন্ত ইতি দিলাম, আপনার ভক্ত বৃন্দ আর কমু কত সারা দুনিয়া যত ভক্ত বৃন্দ আছে যেই খানে সকলের চরণে যেমন ছালাম পৌছতে পারে এমনি ভাবে দয়া কর আমি ভিক্ষা চাই তোমার দরবারে, হাজার হাজার কত কমু সারা দুনিয়ায় যেমন ছালাম পৌছতে পারে সকলেই যেমন একাত্র হওয়া যায়, এমনি ভাবে মাথা ঠুকে ক্ষমা কর, আজকে যেমন আসতে পারে এই সংসারে, আজ কে যেমন বাতাস সেই রিতি মতই চলতেছে বাতাস বন্ধ হয় নাই আর একবারে বাতাস জোড়েও আসে নাই মেঘের জন্য দিয়ে ছিলাম, কালু আর রাফিল বলে ছিল, যখন নাকি রেডিওর মাথা কত কমু রেডিওর মাথা উপরে দেয় বাশের মধ্যে লাগায় সে সময় বলে ছিল বৃষ্টি আসবে কাগজ পেচাই আমি বলছি ওশের (কুয়াশা) জন্য, ঐ রাফিলই বলছে ওশ তো পড়বে মেঘ না আসলে, তাইলে ওশ পড়বে, আর এই ওশের জন্য কাগজ সেই খানে পেচাইয়া দিয়াছে তাইলে বৃষ্টি আসবার প্রায় প্রায় মানুষই বলেছে বৃষ্টি আসবে তাইলে সেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে নুর নবী কিন্তু বাতাস রিতিমত চলেছে, এরকম বাতাস ঠান্ডা না থাকলে উম্মত যেন কুদরতে নবীর উম্মত যে বাচবে না এই জন্য সেই বাতাস সেই আইন এখন পর্যন্ত রিতি মত চলছে আমি বৃদ্ধ কমু কত ? আপনেই খবর যাবে সেই খানে, আজকে কয় দিন ধরে আরম্ব হইছে পশ্চিম উত্তর দিক থেকে বাতাস এরকম বেগে চলে যাবে, আমি আর বলব কত, বাবা আমি ইতি দিলাম, কথা কইলে কথার কোন মাথা নাই, আমি প্রত্যেকের কাছে ভিক্ষা চাই। জীবনের মত কান্দনে বেহেস্ত যাবে, সকলে যেন আমরা একত্রে চিহ্ন হতে পারি।
মায়ের ঘরে নবী সন্তান জন্ম নিয়ে ছিল
আপনারাও মায়ের ঘরে নিয়েছেন যার যার মা
লাল মিয়া ও মায়ের ঘরে নিয়েছে
এই জীবিত মানুষ গুলি নবী
নবী বলে স্বীকার করলেই সারা দুনিয়া হবি
আর কোন গন্ডগোল নাই মূর্তি পুজা করার ক্ষমতা নাই। অল্প কথায়ই বেশি হয়ে যায় অল্প গুড়ে যদি চা মিষ্টি হয় বেশি গুড় দিয়ে লাভ কি ? অল্প মসলায় যদি সিন্নি পাক হয় আর বেশি মসলা দিয়ে লাভ কি ? বেশি হলুদ দিয়ে তিতা হয়ে যায়, বেশি মরিচ ঝাল দিলে খাওয়া যায় না, এ রকম রিতিমত লেগেছে, মায় যেমন তরকারীতে লবন দেয় বেশি দিলে খাওয়া যায় না কম হইলে ভাল লাগে না। রিতিমত আমরাও চাই রিতিমত একাত্র যেমন হইতে পারি সবাই সারা দুনিয়া, এই ভিক্ষা চাই জয়নাল বাবা, সেই নামে নাম সেই নামেরই জয়নাল সেই লাল মিয়া নাম উমর মিয়া কাঠের তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করেছে কাগজের ঢাল সেই উমর মিয়ার ঘরের লাল মিয়া, যিনি এই যুগে সমস্ত যুগের দুঃখ গুলি খন্ডন হয়ে গেছে, এই যুগে উমর মিয়ার ঘরের লাল মিয়া
এই যুগে যেমন লামে আলিফ লুকাইছে
লামে আলিফ সত্য কথা কইলেই বের হয়ে যাবে।
..আর মারফত থাকবে না
সমস্ত শরিয়ত যে কথা আমরা বুজি সেই কথা থাকবে
আর যেই ভাষা না বুজি সেই ভাষা দুনিয়া থেকে ওঠে যাবে
আল্লাহ রাসুলের কুদরতে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার
পয়গম্বরের কুদরতে ওঠে যাবে
ঘুমাইলে রূহ লগে থাকে না, সমস্ত বের হয় যায়, আর জিন্দা হইলেই রুহু গুলি আইসা যার যার কাম করে, মানুষ রূপে চলতে আছে এই সংসারে, না বুইজ্জা অন্যায় যার যার ভুল সে সে করে, এই জন্যই যাবে যাহার নাম দোজখ আমি যা খাই নাম টা হচ্ছে গরু ঘোড়া বকরী কত কমু, মোরগা মুরগী রান্না হইলে মুরগার মাংস দিয়ে ভাত খাই এই মেলার পরে। এই তো যারা যারা ছিল তাগো লইয়াই খাই।
এই খানে বলা আছে মোট সারা দুনিয়ায় একটা বাংলা থাকবে
সেখানে আযান দিবে এক সেকেন্ডে সারা দুনিয়ায় আযান চলে যাবে
যার যার ঘরে ঘরে মেয়ে পুরুষ সহকারে
সব জাতীয় নামাজে দাড়াবে
আমি আইন গুলি বলব কত ? এই পর্যন্ত বলা হল
বাবা গো সেই মসজিদের মধ্যে অল্প কয়জন মানুষ থাকবে
আর সারা দুনিয়া এক জামাতে নামাজ হবে
কিতাবে পূরণের কথা রয়েছে লাল মিয়ার মুখের কথা নয়
এই যুগে সমস্ত থুবাইন্না কথা বললে এখন সময় চলে যায়, যেন বেশি কথা বলার দরকার নাই, অল্প কথায় যদি বুজানো যায় তাহলে আর বেশি কথা লাগবে না, শুধু রেডিওর মধ্যে বই চলে গেলেই (এখানে কয়েক টা কথা বুজি নাই ) যে রেডিওর মধ্যে রাষ্ট্রের মধ্যে ধরলে গর্ভমেন্টের কাজ করো এই বই যদি গর্ভমেন্টের হাতে যায় আর কথা বিচার করে ধরে, সেইখান থেকে রাষ্ট্র আবার ঠিক হয়ে আমার বাংলায় আসতে পারে, তার জন্য চিন্তা করবা না এই সংসারে হয়ত বাংলার বাংলার মধ্যে রেডিওর মধ্যে গেলে এরশাদ ধরলে এরশাদে এই বইটা উঠাইয়া দিলে রাষ্ট্র ঠিক হয়ে যাবে আর কোন গন্ডগোল নাই আমাদের ও গন্ডগোল করতে হবে না বাবা, আপনার ও যুদ্ধ করতে হবে না যেই স্বপ্ন দেখেছেন যে পিছের লোক বেগে গিয়েছে আর এই ভাবে হাওয়া হয়ে গিয়াছে, আবার পিছনে চেয়ে দেখ উত্তর পশ্চিম কানি দিয়া দরজা সেখানে বিছরাইতে বিছরাইতে তালাশ কইরা চেয়ে দেখ আমি শোয়া আমায় বলছো বাবা, তয় বাবা আমি বিশ্রাম করতেছি একটু বিশ্রাম করে নেই এখন ওঠবো না, আপনেও স্বপ্নের মধ্যে সেটা লাল মিয়ার কানে শোনাইয়াছেন, বাবা গো শুইনা সন্তুষ্ট হইলাম, এখন সেই উত্তর পশ্চিম দিকে দরজা দিয়া যেমন ঘর ওঠানো যায় এই আমি দোয়া চাই। আমি যেন সে জায়গায় শুইতে পারি বাবা গো তোমরা যেন দেখতে পার এরকমই চাই আমি, বাবা কবর টা আগে সাজানো চাই এই তো আমার ভিক্ষা আর কিছুই দরকার নাই, বাবা এই পর্যন্ত ইতি দিলাম।
আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া রাসুল আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া নাবি আল্লাহ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া জালিলু, আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া ছাত্তারু আচ্ছালামু আলাইকুম আবু বক্কর সিদ্দিক, আচ্ছালামু আলাইকুম ওসমান গনি, আচ্ছালামু আলাইকুম আব্দুল কাদের জিলানী, আচ্ছালামু আলাইকুম তৈয়ম, আচ্ছালামু আলাইকুম তাহের, আচ্ছালামু আলাইকুম বিল্লাল, আচ্ছালামু আলাইকুম ইসমাইল, আচ্ছালামু আলাইকুম ফাতেমা জান্নাত যার নাম, আচ্ছালামু আলাইকুম ইমাম হাসেন, আচ্ছালামু আলাইকুম ইমাম হোসেন, আচ্ছালামু আলাইকুম উমর মিয়া, আচ্ছালামু আলাইকুম আবু হামজা, আচ্ছালামু আলাইকুম আবু তালেব, আচ্ছালামু আলাইকুম আয়নাল হক আচ্ছালামু আলাইকুম মুনসুর হেল্লাল, আচ্ছালামু আলাইকুম শেখ ফরিদ, আচ্ছালামু আলাইকুম বোয়ালী কলমদার, আচ্ছালামু আলাইকুম নিজামুদ্দিল আউলিয়া, আচ্ছালামু আলাইকুম গাজী, আচ্ছালামু আলাইকুম কালু, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলহাস, আচ্ছালামু আলাইকুম খাজা খোয়াজ খিজির, আচ্ছালামু আলাইকুম লাইলী, আচ্ছালামু আলাইকুম মজনু, আচ্ছালামু আলাইকুম শিরী, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলহাস, আচ্ছালামু আলাইকুম বোলহান, আচ্ছালামু আলাইকুম বইদ্দা জামান, আচ্ছালামু আলাইকুম ছবরে মুলুক আচ্ছালামু আলাইকুম ইশাহ, আচ্ছালামু আলাইকুম জুলেখা
আচ্ছালামু আলাইকুম একলাখ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকো না কেন কেহ পাথরের ভিতর, কেহ ফুলের ভিতর, কেহ গাছের ভিতর, কেহ মাছের ভিতর সর্বময় সব জায়গায় নাম বলব কত, সকল যেমন একত্রে এই যুগে মায়ের গর্ভে জন্ম হইয়া একত্রে আসতে পারে এমনি ভাবে দয়া চাই।
সারা দুনিয়া হাওয়া বাতাস তুফান চান সূর্য্য প্রত্যেকের কাছে ভিক্ষা চাই, সারা দুনিয়া যেমন একত্রে হইতে পারি, কুদরতে যেমন আসা যায়, বাদশাহী যেমন ঠিক হয়ে যায় এই ভিক্ষা চাই কুদরতের হাতে, আমি কুদরতের কাছে পা ধরে মাফ চাই তারাতারি যেন কবুল হয়ে যায়
সমস্ত জীবিত মানুষগুলি নবী
ঘরে ঘরে ফাতেমা, যার যার পোলা মেয়ের নাম ইমাম হোসেন
খালি আমাদের শুধু একটা নাম না
যার যার নিমাই সন্ন্যাষীর ভাষায়
নিমাই সন্ন্যাষীর মার মত মানলে মায়েরে
প্রত্যেকের নামই নিমাই সন্নাষী ঘরে ঘরে কোন ভুল নাই
যেমন যিশুখৃষ্ট যেরকম মাইর খেয়েছে প্রত্যেক ভাষায় কিতাবে শাস্ত্রে ঘরে ঘরে যিশুখৃষ্ট আমরা আমরাই এই দুনিয়ার মধ্যেই সব কিছুর ন্যায় অন্যায়ের বিচার হবে, খাওয়া পড়ার বিচার হবে, যে যে অন্যায় রাস্তায় খেয়েছে সে অন্যায় রাস্তায় চলে যাবে, আর কোন গন্ডোগল থাকবে না, বাবা গো আমি ভিক্ষা চাই।