** সন্তানের প্রতি কতর্ব্য **

সন্তান কে যদি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান

যদি ইসমাইলের মত আউলিয়া বানাতে চান

তবে সারা দুনিয়ার সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর

তার মুখে গাভীর দুগ্ধ, মধু, সরিষার তৈল

চিনি এবং মিশ্রির পানি দিবেন না।


যতক্ষন পর্যন্ত বুকের দুগ্ধ না আসবে নাম নিয়ে শুয়ে রাখবেন। যখন সন্তানের খোরাক আসে তখন সন্তান ক্রন্দন করবে মায়ের বুকে দুগ্ধ আসবে। আপনি গরুর দুগ্ধ পান করালে গরু কে মা বলতে হবে এবং গরুর স্বভাব চরিত্র দেখা দিবে। সে জন্য আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়তে চাইলে গরুর দুগ্ধ, বকরীর দুগ্ধ মধু, এ সমস্ত খাবার জন্মের পর মায়ের দুগ্ধ পান না করা পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন না। সবাই কে মায়ের দুগ্ধ পান করাতে হবে। এভাবে কাজ করলে সন্তান বাধ্যগত হবে।


পিতা মাতার মনে কোন দিন কষ্ট দিবে না। তার কারণ পশুর আত্মা তার মাঝে প্রবেশ করতে পারেনি। নাম মানুষ কার আত্মা কিসের কেউ বলতে পারবে না। তবে চিন্তা করলে খেছালত দেখে চিনতে পারবেন। সন্তানের প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন মা। মা সব সময় সন্তান কে ধর্মের বাণী শিক্ষা দিবেন। আদর সোহাগে আপ্যায়ন করবেন। বাবা, সোনামনি, নবী মার খাইছেন মারেন নাই, গালি দেন নাই, চুরি করেন নাই, মিথ্যা কথা বলেন নাই, খারাপ কাজ করেন নাই, নবী যে কাজ করেন নাই, সে কাজ করো না করলে অন্যায় হবে, তার পরিণাম কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। তাকে আরো স্মরন করিয়ে দিতে হবে।


মহা জ্ঞানি মহাজন

যে পথে করে গমন

হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়

সেই পথ লক্ষ্য করে

স্বীয় কীর্তি ধ্বজাধরে

আমরাও হব বরণীয়


কখনো নিষ্ঠুর বাক্যে প্রেম ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠা হয় না। কঠিন ব্যবহার ও রূঢ়তায় মানবাত্মার অধঃপতন হয়। সাফল্য কিছু লাভ হলেও আত্মা যে দরিদ্র হইতে থাকে। সুযোগ পাইলেই সে আপন পশু স্বভাবের পরিচয় দেয়।


যে পরিবারের কর্তা ছোটদের সংগে অতিশয় কদর্য্য ব্যবহার করে সেই পরিবারের প্রত্যেকের স্বভাব অতিশয় মন্দ হইতে থাকে। শিশুর প্রতি এক একটা নিষ্ঠুর কথা, এক একটা মায়াহীন ব্যবহার তাহার মনূষ্যত্ব অনেক খানি কমাইতে থাকে, এতএব শিশুকে নিষ্ঠুর কথা বলিয়া তাহার সংগে প্রেমহীন ব্যবহার করিয়া তাহার সর্বনাশ করিওনা। একটা মধুর ব্যবহার অনেক খানি রক্তের মত-শিশুর মনুষ্যত্বকে সঞ্জীবিত করে, পরিবারের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য সকলেরই চেষ্টা করা উচিত। ইহাই পরিবারের প্রতি প্রেম।