শান্তির বাণী
মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়ারাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, তুমি দয়া কর, তোমার দয়া চাই তুমি শান্তি দাও, তুমি বাচাঁও, তুমি বাচাঁনে ওয়ালা, তুমি রহমত করনেওয়ালা, তুমি আহসান করনেওয়ালা, তুমি শাফায়ত করনে ওয়ালা, তুমি ব্যাতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না। হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড় কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে তুমি মাফ কর। কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রাহমানির রাহিম, তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর।
আচ্ছালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুক না কেন হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই। সকলে মিলে ক্ষমা করে সারা দুনিয়া এক হয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।
আমার কথা গুলি প্রথমতঃ শুনলে মনে হবে নতুন, উল্টো এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু তাই বলে চটে যাবেন না উত্তেজিত হবেন না, ক্ষেপে মার মুখী হবেন না। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে পরম আত্মা অর্থাৎ দিল কুরআন দিয়ে বিবেকের মাপ কাঠিতে যাচাই করে সত্যতা ও সঠিকতা নিরুপন করবেন। বর্তমানে পৃথিবীতে সত্যকে মিথ্যার মাঝে দাড় করাতে গেলে সত্যই মিথ্যা হয়ে ধরা দেয়, আসল নকল হয়ে ধরা দেয়। আক্কেলের বিচার হবে, আক্কেল দিয়ে সত্য মিথ্যা আসল নকল যাচাই বাছাই করে নিবেন।
আজ আমরা পার্থিব শান্তির জন্য, ভব পারের মুক্তির জন্য দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, কিছু আটরশি, কিছু বেলতলি, কিছু বাঘের হাট, কিছু সিলেট শাহজালালের দরগাহ বিভিন্ন তির্থস্থানে খুজে খুজে হয়রান হচ্ছি। সারা দুনিয়া কি ভাবে এক নামে, এক ধর্মে, এবং এক আইনে আসতে পারবে। কি ভাবে গজবের হাত থেকে, বাহত্তুর মতবাদ থেকে অভাব অনটনের হাত থেকে, বিশ্ব যুদ্ধের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করতে পারবেন। সে জন্য মুক্ত কন্ঠে পরিষ্কার ভাষায় জগৎ কান্না গোটা বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক দিচ্ছেন।
প্রিয় বিশ্ববাসী ? আপনারা এখনো নিদ্রা মগ্ন, ঘুম আপনাদের এখনো ভাঙ্গেনি
মুসলমানদের পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়া খাটি মুসলমান হতে হবে। হিন্দুদের মহাভারতে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক হতে হবে কিন্তু আশি হিজরী পেরিয়ে বহু বৎসর গত হতে যাচ্ছে এখনো কিয়মত হল না, সারা দুনিয়া এক হলনা। হাশরের মাঠে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচাঁর ও হলনা।
কোরআনের ভাষায় নবী, ভরতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসী এবং বাইবেলের ভাষায় যিশুখৃষ্ট আজও পূর্ন্যবার ফিরে এলো না, যুগে যুগে পথ ভুলা অন্ধ মানুষ গুলোকে সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়ে অন্ধকার নরক হতে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটে ছিল কিন্তু তারা অন্ধ মানুষের নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ যুগের সত্য বিচারের আশা বুকে নিয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। এটাই শেষ যুগ এটাই শাফায়াতের যুগ।
তাই যারাঃ-
পথ ভুলে গিয়েছিল আবার এসেছে ফিরে
দাড়িয়ে রয়েছে দুরে লাজ ভয়ে নত শীরে
সম্মুখে চলে না পথ তুলিতে পারে না আখি
কাছে গিয়ে হাত ধরে ওরে তোরা আন ডাকি
ফিরাসনে মুখ আজ নিরব ধিক্কার করি
আজ আন স্নেহ সুধা লোচন বোচন ভরি
অতীতে বরষি ঘৃণা কি বা তাহার হবে ফল
আধার ভবিষ্যত ভাবি হাত ধরে লয়ে চল
স্নেহের অভাবে আছে এই লজ্জাবন প্রাণ
সঙ্কোচ হারায়ে ফেলে আন তারে ডেকে আন
আসিয়াছে ধরা দিতে শত স্নেহ বাহুপাশে
বেধে ফেল আজ ওরে গেলে যদি নাহি আসে।
দিনেকের অবহেলা, দিনেকের ঘৃণা ক্রোধ
একটি জীবন তোরা হারাবী জীবন শোধ
তোরা কি জীবন দিবি অপেক্ষা বিষ বান
দুঃখ ভরা ক্ষমা লয়ে আন, ওরে ডেকে আন।
ক্ষমাই পরম ধর্ম, এটা আউলিয়াদের সত্য বিচার করে ক্ষমার যুগ, এ যুগে ন্যায় অন্যায়ের বিচার করে কলির জীব কে ভব পার করে বিশ্ব বাসিকে স্বর্গ সুখ দান করার জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের পূর্ণ্যবার আগমন ঘটবে। এ যুগে পূর্ব যুগের সকল অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ণ বিচার হবে। সকল দোষী লোক গুলো ধরা পড়বে সারা দুনিয়ার সবাই কম আর বেশি দোষী, একজন মাত্র নির্দোষী এবং নিষ্পাপ, এ যুগে সেই নির্দোষী নিষ্পাপ, বিশ্ব শান্তিকামি, বিশ্ব নেতা সত্যের সাধক, আল-আমিন ঈমানদার ব্যাক্তি, সত্য, শান্তি ও মিলনের বাণী নিয়ে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন।
যুগে যুগে যিনি
এ যুগে ও তিনি
যুগে যুগে একই জন
একজন ছাড়া কেউ উম্মতি উম্মতি করতে পারবে না, এক বিন্দু দুই জানলে হবে গুনাহগার। যিনি শাফায়াতের মালিক পাড়ের কান্ডারী, উম্মতের জামিনদার উদ্ধারকর্তা ও মুক্তিদাতা। এটাই শাফায়াতের যুগ, শাফায়াতের আশে যিনি পূর্ব যুগে বাদশাহী পেয়ে বাদশাহী না করে উম্মতের জন্য দিওয়ানা হয়ে দারিদ্রতার চরম শিখরে আরোহন করে দিন যাপন করে গেছেন। যার হাতে রয়েছে আলৌকিক ক্ষমতা, যার এলেম হবে গাইবি এলেম। যার তত্ত্ব কথায় খন্ডন হবে বাহাত্তুর মতবাদ। ভুল ভাংবে গোটা বিশ্ব বাসির। যার সত্য ও সঠিক রাজনীতি দেবে সারা বিশ্বকে স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে। যার পরশে মাটি হবে স্বর্ণে পরিণত। শেষ যুগের উম্মতের জন্য যিনি পূর্ব যুগের স্বর্নের পাহাড় ব্যায় না করে বর্তমান আখেরী শেষ যুগের উম্মতের জন্য আমানত রেখে গেছেন, তার দ্বারা উদ্ধার হবে পূর্ব যুগের লুকানো গুপ্ত ধন রত্ন। পরিবর্তন হবে নামদারি মানুষের মাঝে জীব আত্মার।
আজ আমাদের গাছে ফল নেই, নদীতে মাছ নেই, জমিনে বরকত নেই, গাভির দুধ নেই, প্রকৃত যেন বদলে গিয়ে বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে পশু আত্মা মানব কায়া ধরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা রোগে শোকে অভাব-অনটনে, অন্যায় অত্যাচারে, সুদে, ঘুষে আরজকর্তা, জটিল সমস্যায় জর্জরিত।
কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না
কেউ খাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে না
কিন্তু না
তা হবে না
তা হবে না।
এ যুগে সবাইকে সমান ভাবে সব কিছু বন্টন করে নিতে হবে, যুদ্ধ করে সংগ্রামের ভিতর দিয়ে নয় মানবতার মধ্য দিয়ে।
তাইঃ- আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই
সকলের সুখ সখা, সুখ শুধু তাই
আমার একার আলো সে যে অন্দকার
যদি না আমি সবারে অংশ দিতে পাই।
সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে যাইব
কাহারে বল ফেলিয়া পশ্চাতে
ভাইটি আমার সেজে, ভাইটি আমার
নিয়ে যদি নাহি পারি হতে অগ্রসর
সে আমার দূর্বলতা শক্তি সে আমার নয়।
সবাই আপন কে আমার পর ?
হৃদয়ের যোগ সে কি কভু ছিন্ন হয়
এক সাথে বাচিঁ আর এক সাথে মরি
এসো বন্ধু জীবন সুমধুর করি।
ন্যায্য অধীকার হতে প্রতিটি মানুষ বঞ্চিত, চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি, বদমাসী, নাচ-গান, বেশ্যালয়ে গমন ইত্যাদি পাপ কার্যে লিপ্ত। আমরা দুঃখের মহা সমুদ্রে সাতার কাটছি, গজবের মাঝে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। কে দেবে এই গজবের হাত থেকে রেহাই ? কে দেবে এর পূর্ণ সুষ্ঠ সমাধান ? আজ ক্লান্তি লগ্নে চরম বিপদের দিনে এই ভয়াভহ পরিস্থিতিতে তিনি কোথায় ? ভয় নেই বন্ধু গন, ভয় নেই।
আজও তিনি জিন্দা, অমর হায়াতুন্নবী আখের, যাখের, বায়তন, গুপ্তন, সব জায়গায়ই তিনি, যুগে যুগে শুধু ভিবিন্ন নাম ধারন করে কায়া পরিবর্তন করে নুরতনে নুরের খেলা খেলিতেছেন। যিনি দুঃখের মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সুখের পর্বত চুড়ায় পৌছে দেবেন।
তাই তিনি বলেনঃ-
আমরা চাই বিশ্বদার উদার প্রাণ
অভেদ খৃষ্টান হিন্দু
দ্বোষ নাই এক বিন্দু
নিরেখ জগতে ভরা এক আল্লাহ রাসুল
জ্ঞান সত্য নীতি পুজে
দলা দলি নাহি বুজে
সে জানে সকলে এক মায়েরই সন্তান
মরমে মহত্ব পূর্ন
হীনতা করেছে চুর্ন
হৃদয়ের ভাব সব উদার মহান
ন্যায় তরে প্রিয় ত্যাগী
প্রীতিতে পরানু বাগী
সমাদরে রাখে জ্ঞানি গুনীর সম্মান
অনুতপ্ত অশ্রুদার
কখনো সহেনা তার
অনুতাপি পাপী পেলে পূন্য করে দান।
বিশ্বের উন্নতি আশা
বিশ্বময় ভালবাসা
বিশ্বের মঙ্গল করি দান
মরতে সে দিবে পথ
উপাস্য নমস্য মম
বসুদা কৃতার্থ তারে কোলে দিয়ে স্থান
আমরা সাধি সাধনা সে দেবে তার প্রাণ
সবারে বাসবে ভাল
নইলে মনের কালি ঘুচবে না
আছে তোর যাহা ভাল ফুলের মত দে সবারে
করিস তুই আপন আপন
বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।
যারে তুই ভাবিস কনি তার মাথায় আছে মনি
বাজা তোর প্রেমের বাশি, ভবের বনে ভয় বা কারে
সবাই যে তোর মায়ের ছেলে
রাখবি কারে কারে ফেলে
একই নায়ে সকল বায়ে যেতে হবে ওপাড়ে।
যিনি জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একই নায়ে ভবপার করবেন বলে পাড়ের ঘাটে বাসা বেধে কেদে কেদে নয়ন জলে বুক ভাসিয়ে সবাইকে মুক্তির ডাক ছেরে আশায় আশায় মুক্তি ও মহামিলনের দিন গুনছেন। তাই তিনি ভার ক্রান্ত হৃদয়ে অশ্রু সজল নয়নে গাইছেন।
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
আমি কান্দি নদীর কিনারায়
বেলা বইয়া যায়।
মনের দুঃখ মনে রইয়া যায়
কেমনে পাড়ি ধরি রে ডেউ ওঠছে সাগরে রে
দিবানিশি কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া
ও মনো রে যারা ছিল চতুর নাইয়া তারাই গেল বাইয়া
হায় হায় আমি অদম রইলাম পরে আমার ভাঙ্গাতরি লইয়া।
মনের দুঃখ কইনারে বন্ধু রাইখাছি অন্তরে রে
দিবা নিশী কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া।
নদীর একুল ঐ ধইরা উথাল পাতাল ঢেউ
বৈঠা হাতে আমি একা সঙ্গে নাই মোর কেউ
চারিদিকে তর্ক ওঠে সাঙ্গ নাহি হয়
কথায় কথায় ভারে কথা, সংসয়ের উপরে চাপিয়ে সংসয়
কেবলি বাড়িছে ব্যাকুলতা
ফেনার উপড়ে ফেনা ডেউয়ের পরে ডেউ
গর্জনে বধির শ্রবন তীর কোন দিকে আছে নাহি জানে কেউ
হা হা করে আকুল পভন কল্ললের মাঝে নিয়ে এসো কেহ
পরিপূর্ন একটি জীবন
নিরবে মিটিয়া যাবে সকল সন্দেহ, থেমে যাবে শহস্র বচন।
তাই আজ সারা দুনিয়ার সেই নির্দোষি নিষ্পাপ, বিশ্ব নেতা নবি-কুল শ্রেষ্ঠ বর্তমান যুগে যিনি হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) নাম ধারন করে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন। সেই দয়াশীল ক্ষমাশীল, উধার, মহৎ, মিলনদূত মুক্তিদাতা বিশ্ব শান্তিকামি কে যদি আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পেতে চান, সারা দুনিয়া যদি এক নামে এক ধর্মে এবং এক হতে চান, বাহাত্তুর মতবাদ খন্ডন করে যদি বিশ্ববাসির ভুল ভাংতে চান, যদি আসমানি জমিনি গজব হতে রেহাই পেতে চান। তবে আপনারা সবে মিলে মোঃ লাল মিয়া……….কে বিশ্বের যে কোন বেতার ভবন থেকে তার গাইবি এলেম তত্ত্ব কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারের আয়োজন করুন। কারন একটি মানুষ কে অন্দকার নরক হইতে বুজিয়ে ভুল ভেঙ্গে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য বহু তর্ক বির্তকের সম্মুখিন হতে হয়।
বেতার মাধ্যমে প্রচার করলে গোটা দুনিয়ার সবার বুঝ হবে এবং ভুল ভাংবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কেউ মরেনি। শুধু অত্যাচারীর ভয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। যখন বিশ্ব শান্তিকামি মোঃ লাল মিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বিশ্ববাসির উদ্দেশ্যে পেশ করতে থাকবেন তখন তার মুক্তির ডাক শুনে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুক না কেন সবাই এসে বলবে আমার নাম ইমাম মেহেদী (আঃ) একের পর এক সবাইকে সেখানে বলতে দেওয়া হইবে।
যার কথা সবচেয়ে ভাল হবে এবং যার প্রচারিত ইসলামিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক আইন গোটা বিশ্ববাসি মেনে নেবে তার নাম হবে ইমাম মেহেদি (আঃ) সেখানে কোরআনের ভাষায় নবী ভারতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসি এবং বাইবেলের ভাষায় যিশু খৃষ্ট চিহ্নিত হয়ে সারা দুনিয়ার সবাইকে শাফায়াত করে আযান দিবেন। এক জামাতে সারা দুনিয়া যে যেখানে থাকুন না কেন নামাজ আদায় করতে হবে এটা পরিক্ষার যুগ, পরিক্ষার মাধ্যমে সেই নিষ্পাপ নির্দোষি মহান ব্যাক্তিকে আপনাদের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পাবেন এটাই মুক্তি মিলন এবং বিশ্ব শান্তির এক মাত্র সহজ ও সঠিক পথ।
সারা দুনিয়া একমত
এরই নাম কেয়ামত
আল্লাহ কাজি হবেন রাসুল খলিফা হবেন, লাল মিয়া মাত্র প্রচারক, জানিয়ে দিচ্ছি নবির গোষ্ঠির প্রদীপ জয়নাল আবেদিন থাকবে গোটা পৃথিবীর রাষ্ট্রের অধীকারি (পূর্ব যুগে ইমাম হোসেনের পুত্র ) এর আগে সারা দুনিয়ার যে কোন রাষ্ট্রের যে কোন সচেতন নেতাই হোক না কেন তাকে যে কোন ভাবে হোক গদিচ্যুৎ হতে হবে।
ভোট নিয়ে দলের দল সেজে মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ করতে করতে সারা দুনিয়া তুলার মত উড়িয়ে দিবে। ১২ আনি লোক মরবে মাত্র ৪ আনি লোক থাকবে। ৪ আনি লোক নিয়ে দুনিয়া আবার চাঁদের মত নতুন হবে।
যে পর্যন্ত পরিক্ষার মাধ্যমে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) কে খুজে বের না করবেন ততদিন পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় নদী নালা এমন কি মহাসমুদ্র শুকিয়ে মরুভুমিতে পরিণত হবে। সারা দুনিয়া কারবালা প্রান্তরের ন্যায় পানি পানি বলে চিৎকার করবে। বরকত দূরে যাবে, এক ধানে এক ধান হবে, সোয়া হাত উপরে সূর্য্য আসবে নিচের জমি তামা হবে, মাথার ঘাম পায়ে পরবে। শৃগাল কুকুরে চেটে খাবে কাগজের টাকা দূরে যাবে, চারার মধ্যে নাম্বার দিবে তবুও অত্যাচারী এজিদের গুষ্টি খাজনা খাবে।
গাছের ফল গাছে খাবে, নদীর মাছ নদী খাবে, গাভীর দুগ্ধ গাভী খাবে। চুরি ডাকাতী, গুন্ডামি বদমাশী জুলম অত্যাচার, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, নাচ, গান, মারা মারি, কাটা কাটি, যুদ্ধ প্রভৃতি নাশকতা মূলক পাপ কার্য্য বৃদ্ধি পাবে।
সারা দুনিয়ায় মেঘ তুফান ঝড় বৃষ্টি রোদ্রের প্রচন্ডতা ভুমিকম্প ইত্যাদি, আসমানি জমিনি গজবে সারা দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। দিনের পর দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে অভাবের সৃষ্টি হবে। বর্তমান যুগে ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে বেশি। পুরুষের পুরুষত্ব থাকবে না, মেয়েদের ভয়ে ছেলেরা গাছে ওঠবে তথা হতে প্রসাব করবে মেয়েরা খাবে তাতেও সন্তান হবে। পরিবার পরিকল্পনা এ সমস্ত গন্ডগোল করলে চলবে না। জন্ম মৃত্যূ আল্লাহ রাসুলের হাত কুদরতের সামান্য দু ফোটা পানির দ্বারা মায়ের উদরে সন্তান তৈয়ার হয়। এ কুদরতকে বাধা দিয়ে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। কুদরত অর্থাৎ মহাশক্তি ইচ্ছা করলে গাছে ও ফলের ন্যায় সন্তান ধরাতে পারবে।
মুখ দিয়াছেন যিনি
সর্ব জীবের আহার যোগান তিনি
কাজেই কুদরতে বিরুদ্ধে কাজ করে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত, এজিদ, সিমার কেউ কোন দিন জয়ী হতে পারেনি আর পারবেও না। নাগীনিরা দিকে দিকে ফেলিয়াছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যার্থ পরিহাস। বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই। দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে। সারা দুনিয়া কারবালা যুদ্ধ প্রান্তর।
প্রতিটি রাষ্ট্র, প্রতিটি সম্প্রদায় নিজ নিজ আইন টিকিয়ে রাখার জন্য, আনবিক যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু না ধর্মে কোন জোর জুলম নেই। জোর পূর্বক কাউকে এক আইন ছেড়ে অন্য আইনে নেওয়া ব্যাবিচার, তাকে যুক্তির মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে ভুল ভেঙ্গে নিতে হবে।
কাজেই এবার আর যুদ্ধ নয় মিমাংসায়ই শান্তি, যুদ্ধ বন্ধ করুন। অর্ধমের মিথ্যা অস্ত্র ফেলে দিয়ে শান্তির ধর্মের সত্যের অস্ত্র স্বর্গীয় প্রেম ভালবাসা শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করুন। যুদ্ধ করে যদি শান্তি আনতে পারতেন তবে কারবালা প্রান্তরে পূর্বে যুগের নবীর গুষ্ঠি অত্যাচারী পাপীষ্ট জালিম এজিদের হাতে শহিদ হতেন না।
ও ভাই ভয় কে মোরা জয় করিব হেসে গোলা গুলিতে নয় গভীর ভালবেসে
অস্ত্র দিয়ে দেশ জয় করা যায় কিন্তু কারো মন জয় করা যায় না, ভালবাসা দিয়ে ভুবন জয় করা যায় এটা কেয়ামত হাশরের সত্য বিচারের যুগ।
তাই
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুরাসুর।
পৃথিবীটাই স্বর্গ নরক
এখানে জিন্দা মরার সত্য বিচার করে
মহা মিলন ঘটবে।
হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী নিত্য নিঠুর দ্বন্ধ
ঘুর কুটির পন্থা তাহার লোভ জটিল বন্ধ
হিংসা পতনের মূল
হিংসায় করেছি সারা দুনিয়া ভুল
কাজেই এবার হিংসা নিন্দা ছেড়ে দিয়ে আর কাল বিলম্ব না করে, কোরআন পন্থি কোরআন নিয়ে, ভারত পন্থি ভারত নিয়ে এবং বাইবেল পন্থি বাইবেল নিয়ে দ্রুত পথে এগিয়ে আসুন। সমতল ভুমিতে একত্রিত হয়ে এজিদ, সিমার, ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাত যতগুলো দোষী লোক আছে তাদের কে চিহ্নিত করে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচার করে মহা মিলন ঘটাই। অতীত অন্ধ ক্ষমাই পরম ধর্ম। অতীতের সকল দুঃখ কষ্ট ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে জীবন্ত বর্তমান কে সাথি করে ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বর্গীয় সুখের আশা বুকে নিয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করি।
বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও
লাল মিয়ার ডাকে সারা দাও
সবে মিলে একই কন্ঠে আওয়াজ তুলি কোথায় রে মোর দয়াল নবী, একবার দেখা দে । যার অলংকার তার অঙ্গেই শোভা বর্ধন করে বেশী। আখের যাখের, বায়তন গুপ্তন সব জায়গায় বাদশাহী নবী। বাদশাহী পাইয়া বাদশাহী তিনি করলেন না। উম্মতের লাগিয়া হইলেন তিনি দিওয়ানা। যিনি বর্তমান যুগের বাদশাহীর জন্য পূর্বযুগে চরম দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করে গেছেন। যার কাজ তারই সাজে, কাজেই এবার সবাই চলুন, আর বেঈমানী এবং বিশ্বাস ঘাতকতা না করে নবীর বাদশাহী ফিরিয়ে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় ছেরে দিয়ে সত্যের পতাকা উত্তোলন করি।
সবারে বাসিব ভাল, করিব না আত্ম পরভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ
মানুষের মাঝে মানুষের কভু রবে না বিচ্ছেদ
সর্বত্র মৈত্রির ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে কত না যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হল কত হানা হানি
এবার মোদের পূর্ন্য সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৈাহার্দের বাণী
হিংসা দ্বোষ রহিবে না কেহ কারো করিবে না ঘৃনা
পরষ্পরে বাধি দিবে প্রেমের বন্ধনে
বিশ্ব জুড়ে এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা
মানব জাগিবে নব ষ্পন্দনে।
পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী লাভ করুক অমরত্ব। মানবাত্ত্বা সত্য মিথ্যা, ন্যায়, অন্যায় চেনা জানার জন্য হয়ে ওঠুক মৃঘের মত সজাগ। প্রতিটি প্রাণীই হোক আত্ম সচেতন।