** সত্যানু সন্ধান **

একটি নবযুগ আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত ; মান্য অতিথির মতো সম্বর্ধনা করে না আনলে সে ঘরে আসতে নারাজ। অনাহূত গৃহে প্রবেশ করতে সকলেরই লজ্জা হয় নবযুগও লজ্জা অনুভব করছে, তার লজ্জা ভাঙ্গানোর ভার আমাদের উপড় কিন্তু যে অতিথী এল সে শত্রু না মিত্র ? প্রকৃত হিতকামী না প্রতারক ? তা না জেনে তো তাকে গ্রহন করা যায় না। তাই তার যথা সম্ভব পরিচয় নেওয়া দরকার।

আগন্তক আমাদের পর নয়, মানব সভ্যতার শিশু, অতীত ও বর্তমানের সন্তান। সে নিজ থেকেই এসেছে, তার সম্পর্কে আমাদের অবহিত হতে হবে মাত্র, আর এ ক্ষেত্রে অবহিত হওয়াই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা, তার কন্ঠে যে অস্পষ্ট বাণী, তার অর্থ হে মানুষ ভয় করোনা, তোমার মধ্যে যা শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান, অবিনশ্বর ও অশেষ সম্ববনাপূর্ণ তার রক্ষার ভার আমার হাতে, আর সে জন্যেই আমার আগমন।

তার বর্তমান যুগে কি সে সব রক্ষার ক্ষমতা নেই ? শ্রেষ্ঠ ও মূল্যবান কে ভুলে বর্তমানে আমরা কি শুধু অপকৃষ্টের সাধনা করে চলেছি ? ব্যতিক্রম হয়ত আছে, তবে মোটের উপড় কথাটা সায় না দিয়ে উপায় কি ? মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিব্যাক্তি সৃজনশীলতা আজ শোচনীয় রূপে পরাভুত। ধূর্ততা ও ফন্দিবাজীতার স্থানে সমাসীন। এ দুর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার জন্যই নব যুগের আগমন।

সত্যই ধর্ম, সত্যই শান্তি

সত্য আছে যেখানে

আল্লাহ্ রাসুল আছে সেখানে

সত্য আছে যেখানে

শান্তি আছে সেখানে

প্লাবিত অসত্যের মাঝে সত্যকে ভাসিয়ে তুলতে গেলে উপাধি পেতে হয় পাগল, ভন্ড, প্রতারক নাস্তিক। সাজা হিসেবে গ্রহন করতে হয় কারাভোগ, আবার গন-পিটুনিতে ভবলিলা সাঙ্গ করতে হয়। সত্য সে যুগে যুগে গোপন থেকে যায়। অসত্যের মাঝে মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না। এটা সত্যের যুগ।

এবার আসুন সবাই নির্ভয়ে সত্যকে খুজে বের করে অসত্যের মাঝে দাড় করিয়ে নিরাশ আর হতাশনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করি।


আচ্ছালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, আচ্ছালামু আলাইকুম, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুন না কেন সকলে সত্যের পতাকা নিয়ে বের হওন। আর নিরব থাকলে চলবে না, গোপন থাকলে চলবে না। পরিচয় দিয়ে জগৎকে বহুমুখি সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। সবে মিলে একত্রিত হয়ে, সকল দোষী লোক গুলোকে চিহ্নিত করে, অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ম বিচার করে জগৎকে শান্তির রাজ্য গড়ে তুলি।

কাগজের পাতায় লিখে দিলাম আল্পনা

অমর বাণী কইবে কথা যেদিন আমি থাকব না

সংসারের মাঝে কয়েকটি সুর

রেখে দিয়ে যাব করিয়া মধুর

দু একটি কাটা কড়ি দেব দুর তারপর ছুটি নিব

ইতি - মোঃ লাল মিয়া